একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা||আমার বাংলা ব্লগ [10% shy-fox]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে।আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে যাচ্ছি। আমাদের এই জীবন ক্ষণিকের। কখন যে কি হয়ে যায় তা আমরা বুঝতে পারি না। আসলে জীবনের কোনই মূল্য নেই। আজকে সকাল বেলায় সকালের খাবার খাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাজে এক আত্মীয়র বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। রাস্তার মধ্যে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা:

Source
আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। আসলে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই বড় ধরনের ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে। হয়তো দুর্ঘটনা হঠাৎ করেই হয়ে যায়। আমরা এই পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত থাকি না। তবে এরকম পরিস্থিতির মধ্যে এর আগে কখনো পরিনি। আজকেই প্রথম এই ধরনের একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি যখন লেখাগুলো লিখছিলাম তখনও আমার বুকের মাঝে শব্দ করছিল। শুধু ভাবছিলাম সেই মুহূর্তে যদি আমার মৃত্যু হয়ে যেত তাহলে কিছুই করার ছিলনা। আমার পরিবারের সবাই কতটা কষ্ট পেতো এই কথাটা ভাবতেই কেন জানি খুবই কষ্ট লাগছিল। আমাদের দেশে এমন অনেক ব্রিজ আছে যেগুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছে। হয়তো সংস্কার করা হচ্ছে না। ব্রিজের মেয়াদ পার হয়ে গেছে তবুও সংস্কার করা হচ্ছে না। আর এই ব্রিজগুলোতে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। আমি যখন মোটরসাইকেলে করে সেই ব্রিজ পার হচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করেই আমি একেবারে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। ব্রিজের মাঝের অংশে এতটা উঁচু ছিল যে মোটরসাইকেল সেখানে গিয়ে জোরে ধাক্কা লাগে। আমি মোটরসাইকেল থেকে অল্পর জন্য পড়ে যায়নি। কিন্তু শরীরে প্রচণ্ড রকমের ঝাকি খেয়েছি। সেই মুহূর্তে যদি আমি সেখানে পড়ে যেতাম তাহলে মনে হয় আজকেই আমার জীবনের শেষ দিন হতো।
একদিকে লোহার ব্রিজ অন্যদিকে কিছু কিছু ফাঁকা জায়গা যেখানে রেলিং পর্যন্ত নেই। সেই জায়গাগুলো দিয়ে যদি নিচে পড়ে যেতাম তাহলে হয়তো এই পৃথিবীতে থাকার আশা ছেড়ে দিতে হতো। আসলে আমি এরকম পরিস্থিতির মধ্যে কখনো পরবো তা ভাবতেই পারিনি। যখন আমরা কোন বিপদের মধ্যে পড়ি তখন হয়তো কোন রকমের সেন্স থাকে না। আমি ওই মুহূর্তে কি যে পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম সেটা হয়তো আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। তবে সেই মুহূর্তটি সারা জীবন আমার মনে থাকবে। এক সপ্তাহ আগে সেখানে আরো একটি এক্সিডেন্ট হয়েছিল। একজন পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে সেখানেই এক্সিডেন্ট করে মারা গিয়েছেন। সেই সময় আশপাশের লোকের মুখে কথাগুলো শুনে আমার মন খারাপ লেগেছিল। আসলে সেরকম পরিস্থিতি আমারও হতে পারতো।
আমাদের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যেগুলো সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকে। হয়তো কিছু কিছু স্মৃতি অনেক মধুর কিংবা কিছু কিছু স্মৃতি সারা জীবন ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। তেমনি ভয়ঙ্কর একটি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। আসলে এরকম পরিস্থিতি আমার জীবনে আসবে সেটা কল্পনাতেও ছিল না। ক্ষণিকের এই পৃথিবীতে কখন যে আমরা এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাব সেটা ভাবতেই পারি না। হয়তো এই কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে। আপনাদের সাথে কথা গুলো শেয়ার করতে পেরে ভেতরটা বেশ হালকা লাগছে। জানিনা এই ভয় কত দিনে কাটবে। তবে কেন জানি বুকের ভেতর শূন্যতা অনুভব করছি। সত্যি আমাদের এই ক্ষণিকের জীবন কখন যে শেষ হয়ে যাবে বুঝতেই পারি না। কত বন্ধু বান্ধবী, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ছেড়ে একদিন পরপারে চলে যেতে হবে। হয়তো আপনাদের সাথে কোনদিন আর কথা হবে না। কিংবা আপনাদের কাছে শেষ বিদায়ও নেওয়া হত না।
এই পৃথিবীতে আসলে আমরা শুধুই অতিথি। ক্ষুদ্র জীবনে আমরা কত কিছুই না করতে চাই। কিন্তু হঠাৎ করেই যখন জীবন থমকে দাঁড়ায় তখন অপূর্ণ ইচ্ছে গুলো অপূর্ণই থেকে যায়। হয়তো হঠাৎ করেই দুর্ঘটনা এসে সামনে দাঁড়ায়। তখন দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় হাজারো তাজা প্রাণ। প্রিয়জন হারানোর কষ্ট শুধু তারাই বোঝে যারা দুর্ঘটনায় প্রিয়জনকে হারিয়েছে। আমি শুধু এতটুকুই বলতে চাই এরকম পরিচিতির মধ্যে যেন কেউ না পরে। আসলে সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা আমি ভুলতেই পারছি না। নিজের অনুভূতি টুকু শুধু আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। হয়তো নিজের অনুভূতি টুকু খুব ভালোভাবে তুলে ধরতে পারিনি তবে চেষ্টা করেছি কথাগুলো উপস্থাপন করার জন্য। সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই ক্ষণিকের পৃথিবীতে কোন হিংসা নয় কোন বিদ্বেষ নয়। ক্ষুদ্র জীবনে সবাইকে মানুষ হতে হবে। মানুষ তো সবাই হয় তবে মনুষত্ববোধ ও মানবিক গুণে গুণান্বিত মানুষ হতে হবে।
প্রথমেই আপনি ঠিক আছেন এটা জেনে ভালো লাগলো।আসলেই আমরা পৃথিবীতে শুধুমাত্র অতিথি মাত্র।আসলেই এই ধরনের ব্রিজ এর জন্য প্রতি বছর অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।ব্রিজ গুলো সংস্কার জরুরি।আপনার অভিজ্ঞতাটি বেশ ভইঙ্কর ছিল।যাইহোক আপনি সাবধানে চলবেন এবং আপনার মানসিক সুস্থতা কামনা করছি,দ্রুত সুস্থ হন খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে।ধন্যবাদ সুন্দর লিখেছেন আপনি।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু এই পৃথিবীতে আসলে আমরা শুধুই অতিথি। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো। আল্লাহ আপনাকে বাচিয়ে দিয়েছেন। আপনার জন্য দোয়া রইল 🤲 খুব তাড়াতাড়ি ভয় কেটে যাবে ইনশাল্লাহ।
এই পৃথিবীতে আমরা ক্ষণিকের অতিথি। হয়তো মাঝে মাঝে এরকম ভয়ংকর অভিজ্ঞতার স্বীকার হলে সত্যিই খারাপ লাগে। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
আপনার মনের ভিতরে এখন কি চলছে আমি শুধু তাই ভাবছি এরকম একটা দুর্ঘটনা থেকে আপনি বেঁচে উঠেছেন সেটাই আমাদের জন্য সবকিছু। সত্যি আমাদের দেশে এরকম অনেক ব্রিজ আছে যেগুলোতে অনেক এক্সিডেন্ট হয়ে থাকে। যারা মারা যায় তাদের পরিবার একদম নিঃস্ব হয়ে যায়। সত্যি দুর্ঘটনার সময় কোন সেন্স থাকে না কোন কিছু ঠিক থাকে না।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমার মনের ভিতর কি চলছিল তা শুধু আমি বুঝতে পারছি। এরকম একটি দুর্ঘটনা থেকে আমি রক্ষা পেয়েছি বিষয়টি ভাবতেও ভয় লাগে না। আসলে সেই সময় কোন সেন্স থাকে না।
আসলে এ দেশের কালভার্ট বলেন আর রাস্তা বলেন! যে বেহলা দশা! দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। নিমিষেই মৃত্যুর মুখে পড়ে যাচ্ছে। এমনকি প্রাণ ও চলে যাচ্ছে। তবে আপনার অভিজ্ঞতা শুনে আমারই ভয় লাগলো। সাবধানে চলাফেরা করাই ভালো হবে। সাবধানে থাকুন, নিরাপদে থাকুন আপু 🌼
সত্যি ভাইয়া এদেশের রাস্তাঘাট এবং ব্রিজগুলোর বড়ই বেহাল দশা। তাইতো দুর্ঘটনা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে সজন হারানোর হাহাকার। অবশ্যই সাবধানে থাকবো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।
অনেক বড় বিপদ থেকে আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করেছে। সেজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। ঠিকই বলেছেন আপনি যেকোনো দুর্ঘটনায় বা বিপদের সময় আমাদের কোন জ্ঞান থাকেনা। এরকম কথা খারাপ রাস্তা বা ব্রিজের জন্য কত মানুষের প্রাণ যায়। আসলে আমরা দুনিয়ার দুদিনের অতিথি। ক্ষণিকের এই জীবন কখন যে কার শেষ হয়ে যায় তা আসলে বলা যায় না। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার গল্পটি পড়ে আসলে আমার কাছে খুবই ভয় লেগেছে। অনেক বড় বিপদ থেকে আপনি বেঁচে এসেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের দোয়ায় এই যাত্রায় সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। সত্যিই আপু এই বিপদের সময় যেন নিজেকে জ্ঞান শূন্য মনে হয়েছে। যদিও আমরা এই পৃথিবীতে ক্ষণিকের অতিথি কিন্তু এই দুর্ঘটনা গুলো মেনে নিতেও কষ্ট হয়।
প্রথমে জানায় সৃষ্টিকর্তাকে হাজার হাজার শুকিয়া যিনি আমাদের মাঝে আপনাকে ফিরেয়ে দিয়েছেন কঠিন বিপদের হাত থেকে। আসলে আপু আমরা এই পৃথিবীতে দুদিনের অতিথি হিসেবে এসেছি। সত্যিই তো সবাইকে ছেড়ে এই পৃথিবী থেকে একদিন বিদায় নিতে হবে।এই ক্ষুদ্র জীবনে আমরা কতো কি যে চায়। কিন্তু জীবন থমকে দাঁড়ালে সব ইচ্ছে অসম্পূর্ন থেকে যাবে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে এই কঠিন বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। হয়তো একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু এরকম বিপদের সময় খুবই ভয় লেগেছে। হয়তো এখানেই জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটতে পারতো।
একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারের জন্য সারা জীবনের কান্না।যদি দুর্ঘটনা যদি পরিবারের প্রধান উপার্জন করা ব্যাক্তির হয় তাহলে পরিবারে এক ভয়ানক কাল নেমে আসে।এই ব্রিজ গুলো সংস্কার করা খুবই জরুরী।আপনার ভাগ্য ভালো আপনি একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছেন।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। আর যদি ব্যক্তি হয় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তাহলে তো সেই পরিবারের জন্য ভয়ানক বিপদ নেমে আসে। যাইহোক আমার ভাগ্য ভালো ছিল বলেই হয়তো এত বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
সবথেকে বড় বিষয় আপনি দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। প্রতিদিন শতশত মানুষ দূর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। আপনি অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তাই উপর ওয়ালার কাছে শুকরিয়া। অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে রাস্তায় চলাচল করতে হবে। দোয়া রইল আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া শত শত মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা আজকাল খুবই খারাপ। আপনাদের দোয়ায় বেচেঁ ফিরেছি ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি সাবধানে ভ্রমন করাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ।। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আপনার কোন ক্ষতি হয়নি আপনি সুস্থ আছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ শুকরিয়া।।
আসলে এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে মনের ভিতর অনেক জল্পনা কল্পনা পরবর্তীতে কাজ করে এতে করে মনটা অনেক ভিতিতে পড়ে যায়।।
আপনার জন্য অনেক দোয়া রইল যেন আপনার মানসিক অবস্থার খুব দ্রুতই পরিবর্তন হয়ে যায় ।
প্রথমেই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ,আপনাদের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছেন জন্য।এরকম খারাপ রাস্তা-ব্রিজের জন্য প্রতিবছর যে কত তাজা প্রান ঝড়ে যাচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই।তারপরেও সেগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই।আর ঠিকই বলেছেন ক্ষনস্থায়ী এজীবনে হিংসা বিদ্বেষ ত্যাগ করে আমাদের মানুষ হতে হবে।প্রার্থনা করি জলদি এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন জলদি।
প্রতিবছর দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে। তাজা তাজা প্রাণগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আসলে এই বিষয়ে কারো কিছুই করার নেই। তবে রাস্তাঘাট কিংবা ব্রিজগুলো যদি সঠিক সময় মেরামত করা হয় তাহলে হয়তো এই দুর্ঘটনা গুলো কমে আসবে। সত্যি ভাইয়া আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম।