ভ্রমণ- মেলায় ভ্রমণ পর্ব ১||আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমাদের এলাকায় বেশ কিছুদিন থেকেই মেলা চলছে। যদিও এবার মেলায় যাওয়ার সুযোগ কিংবা সময় কোনটাই হয়নি। তাই আজকে ভাবলাম যেহেতু প্রয়োজনীয় কিছু বই কেনার জন্য বাহিরে যেতে হবে তাই সেই সুযোগে মেলায় যাবো আর ঘোরাঘুরি করবো। আর এই বিষয়ে একটি পোস্ট সবার মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।
মেলায় ভ্রমণ পর্ব ১:
Location
মেলায় ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর সেই সাথে পছন্দের কোন কিছু কিনতেও ভালো লাগে। যেহেতু আজকে বই কেনার জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম। তাই মেলা থেকে তেমন কিছু কেনা হয়নি। শুধুমাত্র টুকিটাকি কিছু জিনিস কিনেছিলাম। তবে ঘুরে ঘুরে সব জিনিস গুলো দেখতে আমার বেশ ভালো লেগেছিল। প্রথমে যখন গেলাম তখন দেখি খুব সুন্দর করে একটি গেট সাজানো হয়েছে। আর গেটটি দেখেই আমি ছবি তুলে নিয়েছি। দেখতে অনেক ভালো লাগছিল। গেট সাদা রঙের হওয়াতে দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগছিল। মেলায় স্কুল আর কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বেশি ছিল। কারণ মেলার অপজিটে ছিল মহিলা কলেজ এবং গার্লস স্কুল।
Location
Location
এরপর আমি চলে গেলাম টিকিট কাউন্টারে। সেখানে গিয়ে দেখলাম টিকিটের মূল্য ১০ টাকা করে। আমি যেহেতু একাই গিয়েছিলাম তাই একটি টিকিট চাইলাম। আর লোকটি আমাকে একটি টিকিট দিলেন। বিনিময়ে টিকিটের মূল্যস্বরূপ ১০ টাকা নিলেন। আমিও টিকিট নিয়ে সোজা গেটের কাছে চলে গেলাম। আর টিকিট জমা দিয়ে ভিতরে চলে গেলাম। যদিও টিকিট কাউন্টারে ভিড় ছিল না। তাই খুব সহজেই টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম। যেহেতু আমি সকাল সকালে সেখানে গিয়েছিলাম তাই তো ভিড়ের পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল।
Location
মেলায় প্রবেশ করে প্রথমে চোখ গেল আচারের দোকানের দিকে। মেলায় যাবো অথচ আচার কিনবো না তা কি করে হয়। গিয়ে দেখলাম দোকানে লোকজন নেই। তাই আর আচার কেনা হলো না। সেখানে বিভিন্ন রকমের আচার দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণ পর অবশ্য আচার কিনেছিলাম। তবে আচারের দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি ছিল। কি আর করার মেলায় গিয়ে আচার খাব না এটা হতেই পারে না। তাইতো আমি কিছু আচার কিনে নিয়েছিলাম বাসায় এসে খাবো বলে। যদিও এবারের আচারগুলো খেতে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। তবে কি আর করার টাকা দিয়ে যখন কিনেছি জোর করে হলেও খেতে হবে। দরকার পরে পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে 🤣🤣।
Location
Location
এবার সামনের দিকে এগোতেই দেখি জামা কাপড়ের দোকান। ছোট বাচ্চাদের জামা কাপড়ের প্রতি কেন জানি আমার আলাদা রকমের অনুভূতি কাজ করে। ছোট ছোট জামা কাপড় দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এই জামাগুলো কিনে কি করবো সেটাই ভেবে পাইনা। যেহেতু এই জামা কাপড় গুলো দেওয়ার মতো সেরকম কেউ নেই তাই আর ছোট জামাগুলো কেনে হলো না। অবশেষে আমি নামাজের জন্য একটি হিজাব কিনে নিলাম। হিজাবটি অবশ্য ভালোই ছিল। সুতি কাপড়ের হিজাবগুলো পড়তে ভালো লাগে। আর গরমের সময় বেশি কাজে লাগে।
Location
মেলায় সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে যেই দোকানগুলোতে সেগুলো হলো চুড়ির দোকান। চুড়ি দেখলেই তো লোভ সামলানো মুশকিল। চুড়ি দেখে আমিও কাছাকাছি চলে গেলাম। অন্য কোথাও ভিড় না থাকলেও চুড়ির দোকানে অনেক ভিড় ছিল। তাই আমি সুযোগই পাচ্ছিলাম না চুড়ি গুলো দেখার। স্কুল-কলেজের মেয়েগুলো হুড়োহুড়ি খেয়ে চুড়ি দেখছিল আর চুড়ি কিনছিল। তারা সবসময় দল বেঁধে ঘোরাঘুরি করছিল। আসলে তাদের এভাবে ঘুরতে দেখে আর তাদের আনন্দ দেখে আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সবকিছুই আজ অতীত হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে সেই বন্ধুরা।
Location
Location
এভাবে হাঁটতে হাঁটতে আরো কিছুদুর এগিয়ে গেলাম। বিভিন্ন রকমের স্টল দেখতে পেলাম। এই স্টল গুলোতে মেয়েদের বিভিন্ন রকমের সাজ-সজ্জার জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দেখতে তো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অবশেষে আমার একটি আয়না পছন্দ হয়ে গেল। কাঠের ডিজাইন করা আয়নাটি দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল। মাত্র ১৫০ টাকার বিনিময়ে আমি এই সুন্দর আয়নাটি কিনেছিলাম। আমার তো বেশ ভালো লেগেছিল। আজকে না হয় এই পর্যন্তই থাক। আরো অনেক গল্প বাকি আছে। সেই গল্প গুলো না হয় পরের পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
পানি দিয়ে আচার গিলে খেতে কিন্তু ভালোই লাগবে আপু😂। যাইহোক মেলায় গিয়ে একা একা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমার খুব ভালো লাগে। চুড়ির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া চমৎকার একটি আয়না কিনেছেন মাত্র ১৫০ টাকা দিয়ে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম আপু। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
টাকা দিয়ে কিনেছি যে কোন উপায়ে খেতেই হবে 🤣। সত্যি ভাইয়া অনেক ভালো লেগেছে ঘোরাঘুরি করতে। তবে সাথে কেউ হলে আরো ভালো লাগতো।
আসলে একা ঘুরাঘুরি করার চেয়ে সাথে কেউ থাকলে আরও বেশি ভালো লাগে। তবে আমার কাছে মাঝেমধ্যে একা ঘুরতেও ভালো লাগে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু মেলায় ঘুরতে আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। সত্যি আপু ছোট বাচ্চাদের জিনিস গুলো দেখতে ও কিনতে অনেক ভালো লাগে। আমি আমার বাচ্চাদের জন্য সব সময় কিনি।যাইহোক আপু কাছাকাছি থাকলে হয়তো কিনে আমাদের দিতে পারতেন হা হা হা।তবে কাঠের আয়না গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মেলায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু মেলায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আগে জানলে তো আপনার মেয়েদের যেন কিছু কিনে পাঠিয়ে দিতাম। 😍😍
কখনও কিন্তু শুনিনি পানি দিয়ে আচার গিলে খায়। আপনি কিন্তু বেশ মজা করে মেলায় ঘুরার প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা মেলা ঘুরার দৃশ্য দেখে আমারও মেলায় ঘুরতে মন চাইছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আচারটা খেতে একদমই ভালো ছিল না। তাই ভাবলাম পানি দিয়ে গিলে খেলে টাকাটা উসুল হবে আর কি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
মেলায় প্রবেশ করতে দেখি টিকেটও লাগে। এটা প্রথম দেখলাম আপু। তবে হস্তশিল্পের অনেক স্টলই বসেছে ভিতরে। আপনি এতো টাকা দিয়ে আচার কিনে ধরা খেয়ে গেলেন নাকি 😁। আচার তো ভালোই লাগে।
আমাদের এদিকে মেলায় প্রবেশ করতে গেলে টিকিট লাগে ভাইয়া। সত্যি ভাইয়া মেলা থেকে আচার কিনে খেতে বেশ ভালোই ধরা খেয়েছি। একদমই ভালো ছিল না খেতে।
বাহ মেলার টিকেট তো বেশ সুলভ মূল্যে পেলেন আপু আপনি। এখন তো দশ টাকার টিকেট মানেই বেশ খুশির কথা। কারণ সবকিছুর দাম বাড়তি কিন্তু মেলাতে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা মানে সবাই প্রবেশ করতে পারবে। তাছাড়া মেলার দৃশ্য গুলো আপনি খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন। খুবই সুন্দর একটি মেলার প্রদর্শনী আপনি দেখালেন। আশা করি আরও অনেক পর্ব আপনার মাধ্যমে দেখতে পাব।
জি আপু মেলায় প্রবেশের মূল্য অনেকটাই কম। কারণ স্টুডেন্টরাই বেশি যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
মেলায় ঘুরতে আমিও বেশ পছন্দ করি তবে একা একা ভালো লাগে না। কয়েকজন মিলে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। মেলায় গেলে নতুন নতুন অনেক কিছু দেখা যায়। তবে সব কিছুর দাম বেশি রাখা হয় মেলায়। তবে কেনার চেয়ে আমার আবার ঘুরতে ও খেতে বেশি ভালো লাগে। মেলায় ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি আপু সবাই মিলে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু সেদিন আমি একাই গিয়েছিলাম। তাই খুব একটা ভালো লাগেনি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু মন্তব্যের জন্য।
মেলা প্রবেশ করতে টিকেটের প্রয়োজন হয় নাকি৷ আমাদের এখানে যে মেলা হয় সেখানে আমরা যখন ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারি এবং যখন ইচ্ছা তখন বের হয়ে যেতে পারি। তবে এই মেলায় টিকিট নিয়ে প্রবেশ করতে হয় তা আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম৷ যেভাবে আপনি এখানে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন তা খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
পরবর্তী পর্বগুলো দেখার আশায় রইলাম।
জি ভাইয়া মেলায় প্রবেশের জন্য খুবই অল্প মূল্যে টিকিট বিক্রি হয়। তবে মেলায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ওও আচ্ছা ভালো৷ মেলায় ঘোরার মজাই আলাদা যা বলে প্রকাশ করা যাবে না।
আসলে মেলায় ঘুরতে গিয়ে কোন কিছু কিনতে না পারলে মনের মধ্যে কেমন জানি একটা অনুভুতি কাজ করে। আমি মেলায় গেলে কিছু হোক একটা কিনে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। আপনি আপনার এলাকার একটি মেলায় গিয়ে ঘোরাঘুরি করেছেন এবং বেশ কিছু কেনাকাটা করেছেন। আসলে মেলায় গেলে আমার আচার খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেলায় গিয়ে কিছু না কিনে ফিরে এলে ভালোলাগেনা। তাইতো টুকিটাকি কিছু কেনার চেষ্টা করেছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।