নাটকের শুরুতে দেখি একটি মধ্যবিত্ত সংসারের জীবনধারা। মিনু তার স্বামীকে ডেকে দিচ্ছে কাজে যাওয়ার জন্য। এরপর সবার জন্য নাস্তা তৈরি করছে। তাদের সাথে মিনুর স্বামীর ভাইয়ের মেয়েও থাকে। তাকেউ নাস্তা করতে দিচ্ছে। এরপর মিনুর স্বামী যখন বাইরে চলে যায় তখন মিনু নিজের কাজগুলো করে। আর হঠাৎ করে তার স্বামী বাসায় ফিরে আসে। এরপর তাকে খেতে দেয় মিনু। কিন্তু তার স্বামীর মুখ দেখেই মিনু বুঝতে পারে কোন কিছু হয়েছে। এরপর মিনু তার স্বামীর কাছে জানতে চায় কি হয়েছে। তখন মিনুর স্বামী জানায় তার চাকরিটা চলে গেছে। এটা শুনেও মিনু তার স্বামীকে সান্ত্বনা দেয়।

মিনু তার সংসার নিয়ে অনেক খুশি ছিল। তার স্বামীর সাথেও তার অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। মিনুর স্বামী অনেকটা হতাশায় দিন কাটাচ্ছিল। একদিকে বাসা ভাড়া অন্যদিকে বাড়িতেও টাকা পাঠাতে হয়। আর নিজের সংসার খরচ সবকিছু মিলিয়ে সে সামলাতে পারছে না। বাজারেও সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এর মাঝেও মিনু তার স্বামীকে ভালো রাখার চেষ্টা করছে। সব সময় ভালোবাসা দিয়ে সংসারটা ভরিয়ে রাখছে। মিনু নিজের স্বামীকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল তাদের সুখের সংসার। সংসারে অভাব ছিল কিন্তু ভালোবাসার কোন কমতি ছিল না। এরপর মিনুর শ্বশুর ফোন করে টাকা চায়। মিনু নিজের ফোন কেনার জন্য জমানো টাকা দিয়ে দেয়।

মিনু তার স্বামী সংসার নিয়ে ভালোই ছিল। কিন্তু দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে টিকে থাকতে পারছিল না। নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম অনেক বেশি। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল তাদের দিনগুলো। সংসার চালাতে তাদের কিছুটা কষ্ট হচ্ছিল। এরপর মিনু তার স্বামীকে বলে ট্যাক্সি চালাতে। মিনুর কথা মত সেও ট্যাক্সি চালাতে রাজি হয়ে যায়। এরপরেও তারা সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিল। ট্যাক্সি চালিয়ে সংসার চালাতে মিনুর স্বামীর খুবই কষ্ট হচ্ছিল। এটা দেখে মিনু তার স্বামীকে বলে সে কিছু করতে চায়। কিন্তু তার স্বামী কোনোভাবেই রাজি হয় না। অবশেষে মিনু ভীষণ মন খারাপ করে।

মিনুর স্বামী মিনুকে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে যায়। তার পছন্দের জিনিসগুলো কিনে দেয় আর মিনুর মন ভালো করার চেষ্টা করে। তাদের সংসারে ভালোবাসার কোন কমতি ছিল না। ভালোই কাটছিল তাদের দিনগুলো। অন্যদিকে বাড়িওয়ালা বাসা ভাড়ার জন্য অনেক কথা শোনায়। মিনুর খুবই খারাপ লাগে। এরপর মিনু তার স্বামীকে বোঝায় তারা দুজনে মিলে যদি উপার্জন করে তাহলে কিছু টাকা ভবিষ্যতের জন্য জামাতে পারবে। আর এখন ভালোভাবে চলতে পারবে। এরপর মিনু অনেক কষ্ট করে তার স্বামীকে রাজি করায়। আর খাবারের ব্যবসা শুরু করে। তার খাবারের মধ্যে থাকে চালের আটার রুটি আর হাঁসের মাংস। মিনু খুশি মনে নিজের ব্যবসা শুরু করে। আর তার স্বামী তাকে সাপোর্ট করে।

প্রথমে ব্যবসা মোটেও ভালো চলছিল না মিনুর। মিনু মানসিকভাবে ভেঙে পরে। রাত জেগে চিন্তা করতে থাকে। এরপর মিনুর স্বামী তাকে শান্ত করে আর বলে ব্যবসায় লাভ লস সবকিছুই আছে। তখন মিনু বলে হয়তো সে ভুল করে ফেলেছে। এরপর মিনুর স্বামী তাকে ভালোভাবে বোঝায় আর বলে চিন্তা করো না সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মিনু কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছিল না। অবশেষে মিনু স্বামীর উপর ভরসা করে আবারো সবকিছু শুরু করে দেয়। হঠাৎ একদিন একজন ফুড ব্লগার মিনুর খাবারের দোকানে আসে আর এসে কিছু ভিডিও করে। মিনুর হাতে তৈরি খাবার খেয়ে তার অনেক ভালো লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। আর দলে দলে লোক আসতে শুরু করে। মিনু খাবার গুলো বিক্রি করে অনেক খুশি হয়।

নিজের দক্ষতায় খাবারের ব্যবসাটা দাঁড় করায়। আর চারপাশে তার হাতে তৈরি খাবারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। মিনু নিজে স্বাবলম্বী হয়। তার স্বামী তাকে সাহায্য করার জন্য ট্যাক্সি চালানো ছেড়ে দেয়। সেই ফুড ব্লগার আবারও তাদের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য আসে। তখন মিনু অনেক খুশি হয়। আর বলে আপনার জন্যই সবকিছু হয়েছে। লোকটি মিনুর রান্নার অনেক প্রশংসা করে। তখন আমরা দেখতে পাই অনেক লোক খেতে এসেছে। মিনু সবকিছুর জন্য তার স্বামীকে ধন্যবাদ দেয়। আর তার স্বামী বলে সব কৃতিত্ব মিনুর। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।