প্রতিযোগিতা-৩৯| উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি সব সময় দারুন দারুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আর সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। এবারও দারুন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। "শেয়ার করো তোমার ইউনিক ঝাল ভর্তা রেসিপি" এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আজকে আমি মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে ঝাল ঝাল ভর্তা হলে আর কিছুই লাগেনা। তাই তো আজকে আমি আমাদের অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় ভর্তার রেসিপি সবার মাঝে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তা রেসিপি:
![IMG_20230711_192526.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZQQmBfesNFhWh1xD1ckDngw173fiA5mjGK5GCxiixY1U/IMG_20230711_192526.jpg)
![IMG_20230711_194410.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYBATCSKC63RdJxwAkSZeNfbTkQiwMp1csEP1HFm9Xmkt/IMG_20230711_194410.jpg)
![IMG_20230711_195304.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcPR5caQDmRcL8319me4ZKVGVD4xvUQJ9F516ipUCefbU/IMG_20230711_195304.jpg)
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তা অনেকের কাছেই প্রিয়। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গাগুলোতেও এই ভর্তা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মাছ ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে শুটকি করে এরপর সেই শুটকি মাছগুলো গুঁড়ো করে এই সিদল তৈরি করা হয়। এর পেছনে অনেক লম্বা প্রসেস আছে। কিন্তু আজকাল বাজারেও সিদল কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই হয়তো বাজার থেকে সিদল কিনে খেয়ে থাকেন। অনেকে আবার সিদল ভর্তার প্রসেস ভালো করে জানেন না। আমার তৈরি করা এই রেসিপি দেখে দেখে যে কেউ সিদল ভর্তা করতে পারবেন। গরম ভাতের সাথে সিদল ভর্তা খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ আমাদের অঞ্চলে খুবই কম আছে। গরম ভাত ও সাথে সিদল ভর্তা আর যদি এক টুকরো লেবু হয় তাহলে আর কিছুই লাগেনা। বিশেষ করে অসুস্থতার সময় গুলোতে কিংবা যখন খাওয়ার রুচি একেবারেই থাকে না তখন যদি এই মজার খাবারটি খাওয়া হয় তাহলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। ঝাল ঝাল সিদল ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমরা বাঙালিরা ঝাল খেতে পছন্দ করি। আর যদি ঝাল ঝাল ভর্তা হয় তাহলে খেতে বেশি ভালো লাগে। তাইতো আমি আমার অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি ভর্তার রেসিপি সবার মাঝে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই জনপ্রিয় সিদল ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
সিদল | ১ পিস |
পেঁয়াজ | ৩ টি |
রসুন | ৪ টি |
হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
কাঁচা পাকা মরিচ | পরিমাণমতো |
শুকনা মরিচ | পরিমাণমতো |
লেবু | পরিমাণমতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
সরিষার তেল | ৩ চামচ |
![IMG20230711141016.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmSFbvjbrp9RyrQiBFT6Vpt3Xv6y2JtxSNs5PrkCxsKQpP/IMG20230711141016.jpg)
![IMG20230711141320.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYBiWdMYuNSXSxRWaZgXtsHg2HFEutgewmnCbT9w11kz7/IMG20230711141320.jpg)
![IMG20230711142522.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbbEPvBm7VEyxe7eJbFba8qRxE2fNiCjT9cXCjzk87K26/IMG20230711142522.jpg)
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তা রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১
![IMG20230711141353.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcLGCtyNHKDUGGsVzDaYvwBrfu2dLjev5JrbhHkZRbLBT/IMG20230711141353.jpg)
![IMG20230711141633.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUS6d2wvzih7Wi7MNgnY3an3MXmf6JiHJkZXPmkcRXw2z/IMG20230711141633.jpg)
সিদল ভর্তা রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে এই সিদলগুলো হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে নেওয়ার জন্য ছোট ছোট করে নিয়েছি এবং হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-২
![IMG20230711142530.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV836r66C3UCMWdFXtR3P5xjqChFY1N4obkzKMibXtRLj/IMG20230711142530.jpg)
![IMG20230711142644.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmf3aXtzxyK7BXXAx4Ba1yLa8Qz9SZVbZNKh6zaPfxycGV/IMG20230711142644.jpg)
সিদল ভর্তা করার জন্য প্রথমে একটি তেলে ভাজা কড়াই চুলার উপর দিয়েছি। এরপর কড়াই যখন গরম হয়েছে তখন পরিমাণ অনুযায়ী তেল দিয়েছি। এরপর পরিমাণ অনুযায়ী মরিচ দিয়েছি। কিছুটা পরিমাণ কাঁচা পাকা মরিচ দিয়েছি আর কিছুটা শুকনো মরিচ দিয়েছি।
ধাপ-৩
![IMG20230711142824.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTRUhJuzzXtsRbvDTuUcLUtFD6zwDga3PRw78HVquGv2X/IMG20230711142824.jpg)
![IMG20230711142839.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRtsJa7kYaZL3fmyrHrHa1AsaqYBnRom1UvpaJRMt9Mmo/IMG20230711142839.jpg)
এবার নাড়াচাড়া করে মরিচ গুলো ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এরপর পরিমাণ অনুযায়ী রসুন দিয়েছি। যাতে করে গরম তেলে রসুন বেশ ভালোভাবে ভাজা হয়।
ধাপ-৪
![IMG20230711142950.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmSkhiaDzkL7pR8BL6P8P19SfCVYnd6DZkgcf7hxA9uSMY/IMG20230711142950.jpg)
![IMG20230711143001.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmatcm6a9BrvC6dsMjXESHeqbuepGA3xafviGLgHSYQZkq/IMG20230711143001.jpg)
এবার পরিমাণ অনুযায়ী পেঁয়াজ দিয়েছি। যাতে করে পেঁয়াজগুলো তেলের সাথে ভালো করে ভেজে নেওয়া যায়।
ধাপ-৫
![IMG20230711143007.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXZvENX2zspHzMqeCE7ecXrGK3gdT3o9G2pRm8cQDSLC8/IMG20230711143007.jpg)
![IMG20230711143056.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQ5F6f84UMH5TxKE8Tr7xN9wLK4zi1S7dT9ADMxTybA3R/IMG20230711143056.jpg)
এবার হালকা পরিমাণে হলুদের গুঁড়া দিয়েছি এবং নাড়াচাড়া করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৬
![IMG20230711143232_01.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQme5kTJRQzAZRtCq99t7AKtViUYcMfk4YzZe6ttXMSW65Z/IMG20230711143232_01.jpg)
![IMG20230711143256.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQt2fJUfqGSxzM1A6f6oqfzgvUn5SwdzaMjR3yiERBZXN/IMG20230711143256.jpg)
এভাবে কিছুটা সময় ভাজার পর পেয়াজ, মরিচ এবং রসুন ভালোভাবে ভাজা হয়েছে এবং সুন্দর কালার এসেছে।
ধাপ-৭
![IMG20230711143328.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQrSqBFxgM4gxNt4jj71n3P2fRbNYPdCK1n7KXtSojLrg/IMG20230711143328.jpg)
![IMG20230711143411.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR525Xexe4MiQ8EYEMQ9GnnYVu6pbeuMMq4qNMwtCXZSH/IMG20230711143411.jpg)
এবার গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা সিদল ভাজা পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচের মধ্যে দিয়েছি।
ধাপ-৮
![IMG20230711143438.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWa3bifohf9gRBEpn58i2aqqm78bMqfruLgMbWUbahFwj/IMG20230711143438.jpg)
![IMG20230711143830.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR8XvqGsKCfE8ZSCTAA8Ec1X3vW2y1Vre6KcPm6ZfBVEY/IMG20230711143830.jpg)
এবার সুন্দর করে নাড়াচাড়া করে সবগুলো উপকরণ সিদলের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে খেতে ভালো লাগে।
ধাপ-৯
![IMG20230711143921.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbT1yq7MqmweAqM2T1Dh56iK76wRmKXdJMNvF6QRqKAYJ/IMG20230711143921.jpg)
![IMG20230711143925.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaRRbo2Ts95Fq1hJdg8KS2wDhZEfBaLx4WTcdA8eCQJyc/IMG20230711143925.jpg)
সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে সিদলের সাথে ভাজা হয়ে গেলে এবার বাটির মধ্যে তুলে নিয়েছি ঠান্ডা করে নেওয়ার জন্য।
ধাপ-১০
![IMG20230711144233.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUEfWvmCBwwDzAQqs6kagdvgFshbQK4fNyLnrWpCQeQZq/IMG20230711144233.jpg)
![IMG20230711144335.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTpDeDMrCcBWpeTHsAwrKUsQyk2HAMc4LG9ZCWrC2UkSL/IMG20230711144335.jpg)
এবার ভর্তা করে নেওয়ার জন্য শিল নোড়া নিয়েছি এবং এর উপর সবগুলো উপকরণ রেখেছি। এরপর পরিমাণ অনুযায়ী লবণ এবং হালকা লেবুর রস দিয়েছি।
ধাপ-১১
![IMG20230711144426.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmejFggkHhvKjp4HTSwVpfsDS6JkFEUkgdgdFsfL7w7kEW/IMG20230711144426.jpg)
![IMG20230711144728.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmda1HBKjGw8bvkVnqdUmWnkGGhkjmCHR2ULRN9CQHVRdv/IMG20230711144728.jpg)
এবার সুন্দর করে বেটে বেটে ভর্তা করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে সিদল, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ সবকিছু একসাথে মিক্স হয় এবং ভর্তা খেতে ভালো লাগে।
শেষ ধাপ
![IMG_20230711_194915.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPx9WxcCtirpMZWPzhZ1LTyfpddmfUWX9VkUxnppaDcrB/IMG_20230711_194915.jpg)
ভর্তার স্বাদ পরীক্ষা করে নিয়ে ভর্তা বাটির মধ্যে তুলে নিয়েছি। এভাবেই এই মজার ঝাল ঝাল সিদল ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছি।
উপস্থাপনা:
![IMG_20230711_191951.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaW22Bv7PfKzC4dF9HGnxX8u3NTvVFAgefQ1GLMckoxbB/IMG_20230711_191951.jpg)
![IMG_20230711_200453.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZh6Nyyk4PfFfGqknMh6ZDhE6n9xT5KMJFr1Qv6uty511/IMG_20230711_200453.jpg)
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তা রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে নিজের পছন্দের খাবার গুলো যখন তৈরি করি তখন অনেক ভালো লাগে। আর ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। আমি জানিনা আপনারা এই সিদল ভর্তা কখনো খেয়েছেন কিনা। তবে এই ভর্তাটি আমার ভীষণ পছন্দের। আপনারা যারা উত্তরবঙ্গের মানুষ তারা হয়তো সবাই সিদল ভর্তা খেয়েছেন। গরম ভাতের সাথে ঝাল ঝাল সিদল ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার তৈরি করা এই ভর্তা খেতে সত্যিই দারুণ হয়েছিল। আশা করছি আমার এই রেসিপি সবার কাছে ভালো লাগবে।
উত্তরবঙ্গের এই সিদল ভর্তা রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু আজকে প্রথম আপনার এই ভর্তা রেসিপি তৈরি দেখে এতটাই ভাল লেগেছে খাইতে মন চাচ্ছে। এমনিতেই ভর্তা রেসিপি আমার খুবই প্রিয় সব সময় যেকোনো ধরনের ভর্তা রেসিপি খেয়ে থাকি। কখনো যদি উত্তরবঙ্গে যেয়ে থাকি তাহলে ইনশাল্লাহ খাব।
যদি কখনো উত্তরবঙ্গে বেড়াতে আসার সুযোগ হয় তাহলে এই খাবারটি খেয়ে দেখতে পারেন ভাইয়া। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তা রেসিপি। আসলে এই রেসিপির নাম আমি আজকে প্রথম শুনলাম। আসলে ইউনিক রেসিপি খেতে বেশ মজাই লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
উত্তরবঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী ভর্তার রেসিপি সবার মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আপনি এই নাম প্রথম শুনলেন। তবে আমাদের অঞ্চলে এই খবরটি অনেক পরিচিত। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তা রেসিপি দেখে খুবি মজাদার মনে হচ্ছে। এতো ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ভর্তা খেতে খুবই মজার। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। ঝাল ঝাল ভর্তা আর গরম ভাত খাওয়ার মজাই আলাদা।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুটকি মাছের রেসিপি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
আপনি শুটকি মাছ দিয়ে নতুন একটি ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখেই খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী একটি ভর্তার রেসিপি আপনাদের সবার মাঝে শেয়ার করেছি। ঠিক বলেছেন ভাইয়া শুটকি মাছ দিয়ে যেকোন ভর্তা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর এই ভর্তাটা খেতেও বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আপু আপনার ডেকোরেশন বরাবরের মতন দারুন হয়েছে। সিদল ভর্তা মনে হয়না খেয়েছি কখনো। তবে আপনার রেসিপিতে খুবই লোভনীয় লাগতেছে। বাজারা পাওয়া গেলে একদিন ট্রাই মারতে হবে অবশ্যই।
আমার রেসিপির ডেকোরেশন আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাইয়া। বাজারে এগুলো কিনতে পাওয়া যায়। শুটকি মাছের দোকানগুলোতে বেশি কিনতে পাওয়া যায়। ভাইয়া একবার খেয়ে দেখতে পারেন।
আপু সিদল কি গো। আমি তো এটা চিনলাম না। কিন্তু চিনি আর নাই বা চিনি আপনার রেসিপি দেখে তো আমার জিভ কে ধরে রাখতে পারছি না। কেন যেন পোস্টে দিকে বার বার চলে যাচেছ। হি হি হি। এতো সুন্দর করে একটি ইউনিক ভর্তার রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে তো বাজিমাত করে দিয়েছেন। শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।
শুটকি মাছ রোদে শুকিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এরপর আরো ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হয়। এরপর শুটকি মাছগুলো গুঁড়ো করতে হয়। গুঁড়ো করে বিভিন্ন প্রসেসের মাধ্যমে এই শীতল তৈরি করা হয়। আপু আপনি আমার বাসায় চলে আসেন আপনাকে অবশ্যই খাওয়াবো।
এই প্রতিযোগিতার জন্য দেখছি উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সিদল ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। এই রেসিপিটা আমি আজকে প্রথমবারের মতো দেখে অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। এই রেসিপিটা দেখতেই বুঝা যাচ্ছে, এটা অনেক বেশি মজাদার এবং সুস্বাদু। যদিও জানিনা গরম ভাতের সাথে এটি খেতে কি রকম, কারণ আমার খাওয়া হয়নি কখনো। কিন্তু খেতে অনেক বেশি ইচ্ছে করছে এখন। আশা করছি প্রতিযোগিতায় একটা সম্মানজনক স্থান অর্জন করতে পারবেন আপনি।
এই ভর্তা উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে অনেক পরিচিত। ভাইয়া আপনি যেহেতু কখনো এই ভর্তা খাননি তাই হয়তো বুঝতে পারবেন না খেতে কেমন। তবে খেতে কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
আপনি তো দেখছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি কথা বলতে, এই ভর্তাটির নামও আমি আগে কখনো শুনিনি। মনে হচ্ছে এটা অনেক বেশি মজাদার একটা ভর্তা। গরম ভাতের সাথে এটা নিশ্চয়ই খেতে ভীষণ ভালো লাগবে। আপনার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটা ইউনিক এবং মজাদার ভর্তা রেসিপি তৈরি শিখে নিতে পারলাম। শেষে ডেকোরেশনটা অনেক বেশি সুন্দর ভাবে করেছেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য কি তৈরি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ করেই মাথায় এলো আমাদের অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি ভর্তার রেসিপি সবার মাঝে শেয়ার করি। তাই তো শেয়ার করলাম আপু। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে।
প্রথমে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আসলে এবারের প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি প্রতিযোগিতা। এরকম একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য আজকে বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভর্তা রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারছি। আপনার আজকের এই সিদল শুটকির ভর্তা রেসিপিটি দেখে খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আর তাছাড়া আপনি ঠিকই বলেছেন শুধু উত্তরবঙ্গে নয় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়ও অনেক সুনাম অর্জন করেছে। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের নোয়াখালী জেলাতেও এই সিদল শুটকির ভর্তা অনেক জনপ্রিয়। তবে কেন জানি আমি তেমন একটা খেতে পারি না আমার খুব একটা ভালো লাগে না এর স্বাদটা। যাইহোক আপনার আজকের এই রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে, নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুস্বাদু একটা ঝাল ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের অঞ্চলেও এই সিদল ভর্তা খাওয়া হয় জেনে ভালো লাগলো আপু। প্রথম প্রথম আমিও খুব একটা খেতে পারতাম না। এরপর একটু ঝাল আর রসুন বেশি দিয়ে ভর্তা করে খেয়ে দেখেছি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। গরম ভাতের সাথে খেতে সত্যিই দারুন লাগে।
আপু, আপনাকে ধন্যবাদ একটি ঐতিহ্যবাহী ভর্তা রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য। আমিও যদিও উত্তরবঙ্গের মেয়ে তবুও আমার এখনো পর্যন্ত সিদল ভর্তা খাওয়া হয় নি। আজ আপনার এই রেসিপি দেখে কিন্তু লোভ হচ্ছে! আপনি সুন্দর করর প্রতিটি ধাপ বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর পরিবেশনের জন্য যে জুটের ম্যাট ব্যবহার করেছেন, সেটাও কিন্তু সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস। প্রতিযোগীতার জন্য শুভকামনা
আপু আমি চেষ্টা করেছি নিজের অঞ্চলের জনপ্রিয় এই ভর্তার রেসিপি সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। একদিন এভাবে এই ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।