করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুভূতি||আমার বাংলা ব্লগ [10% shy-fox]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে।আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে যাচ্ছি। আজ আমি ভিন্ন ধরনের একটি লেখা নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আজ আমি আমার করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। আশা করছি আমার লেখাগুলো সকলের কাছে ভালো লাগবে।
করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুভূতি:
Location
করোনা মহামারীর প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য আমরা ইতোমধ্যেই অনেকে দুটি করোনা ডোজ দিয়েছি। এখনো অনেকে তৃতীয় অর্থাৎ বুস্টার ডোজ দেননি। আমি গত দুদিন আগে করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ সম্পন্ন করেছি। আসলে প্রথম দুটি করোনা ডোজ ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর আমি অনেক পার্থক্য খুজে পেয়েছি। প্রথম দুটি ডোজ দেওয়ার পর আমার কয়েক দিন টানা জ্বর ছিল। তবে তৃতীয় ডোজ দেওয়ার পরে শুধু মাত্র 2 দিন জ্বর ছিল। আরেকটি মূল বিষয় হলো যখন আমি টিকাদান কেন্দ্র গেলাম তখন দেখতে পেলাম সবাইকে একই ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আমি এখানে অনেকেই জিজ্ঞাসা করার পর জানতে পারলাম এখানে অনেকে ফাস্ট ডোজ দিতে এসেছে এবং সেকেন্ড ডোজ দিতে এসেছে। তখন আমি বুঝতে পারলাম না আসলে বুস্টার ডোজ কি। সবাই যদি একই ডোজ দিচ্ছে তাহলে এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়।
Location
Location
দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর আমি আমার ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। একে তো প্রচন্ড গরম তার উপর দীর্ঘ লাইন সবকিছু মিলে মিশে একাকার এক অবস্থা। অনেক দূর পর্যন্ত লাইন ছিল। লাইনে দাঁড়িয়ে সবাই অপেক্ষা করছিল কখন তার ডোজ দেওয়ার সময় হবে। আমি যেহেতু একটু সকালে গিয়েছিলাম তাই আমার খুব একটা দেরি হয়নি। তারপরও এক ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। দীর্ঘক্ষণের প্রতীক্ষার পর আমি আমার বুস্টার ডোজ দেওয়া সম্পন্ন করেছি। প্রথমে বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য যখন গিয়েছি তখন লক্ষ্য করলাম সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। দীর্ঘ এক লাইন দেখে মনে হল আজ বোধহয় আর দিতেই পারব না। অবশেষে আমি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর এই বুস্টার ডোজ দিতে সক্ষম হলাম।
Location
Location
আসলে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে আমার মতামত একটু ভিন্ন মনে হয়েছে। কারণ সবাই যখন একই ডোজ নিচ্ছে তাহলে এর পার্থক্য কোথায় সেটাই উপলব্ধি করতে পারলাম না। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো প্রথম ও দ্বিতীয় বার যে ডোজ দেওয়া হয়েছে সেগুলো ছিল এক কোম্পানির আর পরের বুস্টার ডোজ ছিল আলাদা কোম্পানির। এতে আসলে কতটা উপকার হবে এটা নিজেও জানিনা। আর প্রথম দুটি টিকা দেওয়ার সময় যে পরিবেশ ছিল এবং ভালো ব্যবস্থা ছিল শেষের দিকে এসে আসলে সেরকম পরিস্থিতি নেই। প্রথমদিকে খুবই যত্ন সহকারে টিকা দেওয়া হতো এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং রক্ত বন্ধের জন্য তুলা দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবাই এত ব্যস্ত যে টিকা দিতে পারলে মনে হয় বেঁচে যাচ্ছে। তাদের কাজগুলো তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য চেষ্টা করছে তারা। এমনকি টিকা দেওয়ার সময় বসে টিকা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। দাঁড়িয়ে থেকেই টিকা দিতে হচ্ছে। আসলে এতে আমাদের কতটা ক্ষতি হচ্ছে সেটা তারা বুঝতে পারছে না। তারা শুধু দায়সারা কাজ করে বেঁচে যাচ্ছে। এমনকি এক টুকরো তুলা ও পেলামনা। সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা দিতে গিয়ে। অনেকেই হয়তো ব্যথা পেয়েছে। আসলে এটা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য এরকমটা হচ্ছে। তাদের কাছে মনে হচ্ছে যেন সব গরু-ছাগলরা এসেছে ঠিকানার জন্য।
Location
Location
আমার মনে হয় এভাবে যদি তারা অসচেতনতার সাথে টিকা কার্যক্রম চালায় তাহলে অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হবে। প্রথমের দিকে যে যত্ন ছিল এবং সচেতনতা ছিল তা এখন আর নেই। বড় বড় টিকা কেন্দ্র গুলোতে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ছোট পর্যায়ের টিকা কেন্দ্র গুলোতে কি অবস্থা তা ভাবতে অবাক লাগছে। তারা শুধু তাদের দায়িত্বে অবহেলা করছে না মানুষগুলোকেউ অবহেলা করছে। তারা শুধু ভাবছে এই কাজগুলো তাদের দ্রুত শেষ করা উচিত। কিন্তু এর ফলে যে সকলের প্রতি অবহেলা হচ্ছে সেটা আসলে মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাদের এই খামখেয়ালিপনা ও দুর্ব্যবহার সত্যিই বেদনাদায়ক। কারণ চিকিৎসা খাতে যদি এরকম খামখেয়ালিপনা থাকে তাহলে মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাবে না। তারা যেহেতু চিকিৎসা পেশার মত একটি মহৎ পেশার সাথে জড়িত তাই তাদেরকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। এই মানব সেবার পেশায় থেকেও যদি তারা দায়িত্বের প্রতি অবহেলা করে তাহলে খুবই খারাপ দেখায়। তাই তাদের কাজগুলো যদি তারা ভালোবেসে ও নিয়মকানুন মেনে এরপরে করে তাহলে সকলের জন্য উপকার হয়।
Location
Location
আসলে চিকিৎসাক্ষেত্রে জনগণের সাথে এই গাফিলতি প্রতিটি হসপিটালেই প্রায় লক্ষ করা যায়। আমরা যদি নিজেরা সতর্ক হই এবং এর প্রতিবাদ করি তবেই এরকম পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। আর সে সব মানুষগুলোকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। কারণ তাদের গাফিলতি আমাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই নিজের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য আগে থেকে যদি আমরা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে এবং সচেতন হই তাহলে তারাও তাদের গাফিলতি গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। আমি আমার অনুভূতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। আমি জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তবে আমি চেষ্টা করেছি বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আসলে আপু বর্তমানে মানুষ আর মানুষ নেই, আপনি যেরকম বলেছেন যে আমরা মনে হয় গরু ছাগল গিয়েছিলাম টিকা নেওয়ার জন্য, এটা তাদের কাছে আসলে ঠিক যে আমরা গরু ছাগল। আসলে তারা তাদের জায়গায় মনে করছে তারাই শুধু মানুষ আর আমরা যারা টিকা নিতে গিয়েছি তারাই গরু-ছাগল। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো যদিও বুস্টার ডোজ আমিও দিয়েছি একইভাবে একই পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্যেই আমাকেও দিতে হয়েছে, বিষয়টি আসলে খুবই বেদনাদায়ক। কিন্তু বর্তমানে আপনি যে সেক্টরেই যান না কেন সেটা সেবামূলক হোকা আর সেবামূলক এর বাইরে হোক সব জায়গায় মানুষকে অবহেলা ভোগান্তির মধ্যে যেকোনো কাজ করতে হয়। মানুষ মানুষকে সহযোগিতা করতে চায় না শুধু টাকাটাই চেনে তারা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার বুস্টার ডোজ নেওয়ার অভিজ্ঞতাগুলো খুব সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন এবং আমার পোস্ট পড়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসলে বর্তমান পরিস্থিতি এরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে যে মানুষের মূল্য কেউ দিতে জানে না। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে আপনি ব্যপার টা ঠিক ধরেছেন। টিকা যে নিবে তাকে অবশ্যই বসে দিতে হবে। নতুবা হটাৎ করে অন্য কোন সমস্যা হয়ে যেতে পারে। সত্যি বলতে এগুলো কতৃপক্ষের গাফিলতি ছারা আর কিছু না। তবে আমাদের এখানে ব্যবস্থা সব সময় ভাল এবং কড়াকড়ি। যদি কোন ঔষধ বা টিকা প্রথম বার নেন তারপর দ্বিতীয় বার নেন তাহলে হবে ডাবল ডোজ এবং একই ঔষধ তিনবার নিলে তাকে বলে বুষ্টার । মূলত বুষ্টার শব্দটি মানে ভিন্ন কোন ঔষধ নয়। একই ঔষধ তিন বার নেওয়াকে বুষ্টার ডোজ বলে। আর তৃতীয় ডোজ যদি অন্য কোম্পানির দেয় কিন্তু উহার কাজ একই রকম হয় তাহলে তাকে ক্রস টিকা বলে । এটি বেশী কার্যকর । ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
অবশেষে আপনিও করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া শেষ করলেন আপু এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। আমি কর্ণ ভাইরাসের দুইটি ভ্যাকসিন দিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ এর এসএমএস আসে নাই।
প্রথমত বলি চিকিৎসা এখন ব্যাবসা কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। আমরা এটাকে আমাদের জীবন বাঁচানোর হাতিয়ার হিসেবে চিন্তা করলেও তারা মনে করে এটি ব্যাবসা তাই যা তা আচরণ করে কাজ শেষ করতে চায়। যাক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সব সম্ভব। ভালো অভিঙ্গতা শেয়ার করেছেন। সুস্থ থাকুন দোয়া রইল 🥀
আমি কালকেই গিয়ে বুস্টার ডোজ দিয়ে এসেছি। কিন্তু আমাদের এলাকায় এতটা ভিড় ছিল না আপু। গিয়েছি আর ৮-১০ মিনিটের ভেতর ভ্যাকসিন নিয়ে চলে এসেছি। যাইহোক বুস্টার ডোজ দেয়ার পরে হাতে কিন্তু প্রচুর ব্যাথা হয় আপনি অবশ্যই প্যারাসিটামল খেয়ে নেবেন এতে ব্যথা এবং জ্বর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনার করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার অনুভূতিটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
আমার ফোনে প্রায় একমাস আগে বুষ্টার্ড মেসেজ এসেছে কিন্তু আমি এখনো দেইনি। প্রথম যখন চীনের তৈরি করা সিনোফার্ম টিকা দিলাম তখন আমার কোন ব্যথা লাগেনি তা বুঝতেও পারেনি কিন্তু মর্ডানার টিকার কারণে হাতে অনেক ব্যথা ও জ্বর আসতে পারে। আমার পরীক্ষা জ্বর আসলে বা হাত ব্যাথা করলে অনেক সমস্যায় পড়বো তাই এখনো টিকা দেওয়া হয়নি। তবে আপনার টিকা দেয়ার অভিজ্ঞতা করে ভালো লাগলো। আমরা যাই করি না কেন আমাদের সুরক্ষা আগে নিশ্চিত করতে হবে। কি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে নিজেকে সুরক্ষিত রেখেছেন যা একজন সুনাগরিকের কর্তব্য। তবে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নার্সদের গাফিলতি সত্যি মেনে নেয়ার মত না বিভিন্ন হসপিটালে ও তাদের স্বৈরাচারী মনোভাব দেখা যায়। যা মেনে নেওয়ার মতো না। আপনি দারুন একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এখন পর্যন্ত করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি। তাই আপনার করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়া দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনার করোনার ডোজ সম্পন্ন হাওয়াই আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যাক আপনি এখন শঙ্কামুক্ত। প্রত্যেকেরই উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকাগুলো নিয়ে নেয়া। আমি এখনো দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারিনি। আপনার বুস্টার ডোজ নেয়া দেখে মনে হচ্ছে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে আছি। ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য