রেসিপি-মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি🍲|[১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। মুলা আমার খুবই প্রিয়। তাই আমি মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছি। মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল খেতে খুবই ভালো লাগে। তাই মজাদার এই রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি:
মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করি। তবে আজকে আমি যে রেসিপি তৈরি করেছি এই রেসিপিটি খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আসলে মুলার সিজন প্রায় শেষের দিকে। তাই শেষের দিকে মুলার স্বাদ গ্রহণ করতে আবারো পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করে ফেললাম। পুঁটি মাছের ঝোল খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। একদিকে যেমন দেশি ছোট ছোট পুঁটি মাছের স্বাদ অন্যদিকে হচ্ছে মুলা। সবকিছু মিলে মিশে খাবারটি খেতে আরও বেশি মজার হয়। তাই মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
পুঁটি মাছ | ৩০০ গ্রাম |
মুলা | ২০০ গ্রাম |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণমতো |
পেঁয়াজ কুচি | ১ চামচ |
রসুন বাটা | ১/২ চামচ |
জিরা বাটা | ১/২ চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ১ চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | ৪ চামচ |
মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
🍲ধাপ-১🍲
মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে পুঁটি মাছ গুলো খুব ভালোভাবে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর পুঁটি মাছ ভাজার জন্য এরমধ্যে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়েছি। এবার মসলাগুলো দিয়ে পুঁটি মাছ ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
🍲ধাপ-২🍲
এরপর আমি পুঁটি মাছ গুলো ভাজার জন্য একটি কড়াই নিয়েছি। কড়াই যখন গরম হয়েছে তখন আমি তেল দিয়েছি। এরপর তেলের মধ্যে পুঁটি মাছ দিয়েছি ভাজার জন্য। এভাবে আমি পুঁটি মাছ গুলো ভেজে নিয়েছি। এরপর যখন পুঁটি মাছ ভাজা হয়েছে তখন একটি প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি।
🍲ধাপ-৩🍲
এবার মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করার জন্য একটি কড়াইয়ের মধ্যে সয়াবিন তেল দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা ও জিরা বাটা দিয়েছি। এবার চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে তেলের মধ্যে সবগুলো মিশিয়ে নিয়েছি।
🍲ধাপ-৪🍲
এবার পরিমাণ অনুযায়ী হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়েছি। সবগুলো উপকরণ পরিমাণ অনুযায়ী দেওয়ার পর চামচ দিয়ে আবারও নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিয়েছি।
🍲ধাপ-৫🍲
এবার মসলা ভালোভাবে ভুনা করার জন্য পানি দিয়েছি। এরপর আরো কিছুক্ষণ রান্না করে মসলা ভুনা করে নিয়েছি। যখন মসলা ভুনে হয়েছে তখন সুন্দর কালার এসেছে।
🍲ধাপ-৬🍲
এবার আমি মসলা ভুনার মধ্যে কেটে রাখা মুলার টুকরাগুলো দিয়েছি।
🍲ধাপ-৭🍲
এবার আমি মুলা খুব ভালোভাবে ভুনা মসলা সাথে মেশানোর জন্য চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করেছি। ভালোভাবে ভুনা করলে মুলার টুকরোগুলো খেতে ভালো লাগে।
🍲ধাপ-৮🍲
এবার আমি আরো কিছুক্ষণ সময় ভুনা মসলার সাথে মুলার টুকরোগুলো ভালোভাবে ভুনা করার জন্য নাড়াচাড়া করেছি। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা খুলে আবারও নাড়াচাড়া করেছি।
🍲ধাপ-৯🍲
এবার যখন মুলার টুকরোগুলো খুব ভালোভাবে ভুনা হয়েছে তখন আমি ভেজে রাখা পুঁটি মাছ গুলো এর মধ্যে দিয়েছি। আমি যেহেতু মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করব তাই ভেজে রাখা পুঁটি মাছ গুলো দিয়েছি।
🍲ধাপ-১০🍲
এবার আমি পুঁটি মাছ গুলো মুলার সাথে খুব ভালোভাবে মেশানোর জন্য নাড়াচাড়া করেছি এবং ভুনা করেছি।
🍲ধাপ-১১🍲
মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল খেতে আরো বেশী মজাদার ও সুস্বাদু করার জন্য আমি পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়েছি। এরপর আমি আমার তৈরি করা রেসিপি খেতে আরো মজাদার করার জন্য ধনিয়াপাতা দিয়েছি। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
🍲শেষ ধাপ🍲
এভাবে আরো কিছুক্ষণ রান্না করার পর যখন মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি হয়েছে তখন আমি চুলা বন্ধ করে রেখেছি।
🍲উপস্থাপনা:🍲
মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি হলে আপনাদের মাঝে উপস্থাপনের জন্য বাটির মধ্যে তুলে নিয়েছি।
মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। আপনারা যদি এই রেসিপি তৈরি করেন তাহলে বুঝবেন মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি কতটা ভালো লাগে খেতে। আশা করছি আমার তৈরি করা এই রেসিপি সকলের ভালো লাগবে।
খুব অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এ ধরনের রেসিপি আমি খুবই পছন্দ করি। এত অসাধারন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পুটি মাছ দিয়ে রান্না করেছেন দেখে খুবই ভাল লেগেছে। আমি আজ অনেকদিন পুটি মাছ খাই না। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে এ ধরনের রেসিপি খুবই ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আপনার আজকের রেসিপি দুইটা জিনিস দিয়ে রান্না করেছেন সেই দুটো জিনিসের কোনটাই আমি খাইনা। আমার কাছে একেবারে অপছন্দ। কিন্তু আপনার রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। যারা এই খাবার দুটি খায় তাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি সুস্বাদু খাবার।
খুবই মজার একটি রেসিপি। আসলে মুলা এভাবে পুটি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই মজার হয়। আপনার রেসিপিটি আজকে খেতে খুব মজা হবে সেটা এর কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে মুলা দিয়ে শুটকি মাছের ঝোল রান্নার অনেক মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ঝোল রান্নার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল, শুটকি মাছ বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
মূলা অনেক ধরনের মাছের সাথে খেয়েছি। তবে আমার কাছে চিংড়ি মাছের সাথে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। পুঁটি মাছের সাথে কখনো খাইনি। এবার আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপু আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে। আমি অবশ্যই আপনার রেসিপি টি অনুসরণ করে বাসায় একবার হলেও এটি তৈরি করে খেয়ে দেখবো।
ওয়াও অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। মুলা দিয়ে ছোট মাছের রেসিপি। কিন্তু মূল আর নাম শুনলে অনেকেই নাক কেমন কেমন করে। কিন্তু মূল আমার অতি প্রিয় একটি খাবার। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ইশ! পুঁটি মাছ গুলো দেকে সেই ৯০ এর দশকের কথা মনে পড়ে গেলো। একবার এক বালতি পুঁটিমাছ মেরে নিয়ে আসছি বাসায়। মাছ দেখে আম্মু বকা শুরু করছে এতো।মাছ কাটার সময় নাই। হাহাহা সেই দিন আর নেই। একন পুঁটি মাছ ২০০-২৫০ টাকা কেজি। যাইহোক, অনেক ভালো লাগলো আপনার পুঁটি মাছের রেসিপি।
আপু মনি♥ মুলা দিয়ে পুঁটি মাছের ঝোল রেসিপি টি আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে।তাছাড়া রেসিপিটির কালার ও খুবই চমৎকার হয়েছে♥♥