আসসালামু আলাইকুম।
আমি@monira999 বাংলাদেশ থেকে।আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে যাচ্ছি। আর আমার ব্লগের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে "এক মুঠো ভাত"। আমি আমার লেখনীর মাধ্যমে একমুঠো ভাতের অভাব ও জীবন সম্পর্কে আমার অনুভূতিগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
"এক মুঠো ভাত":
Source
"এক মুঠো ভাত" এই কথাটির অর্থ অতি সাধারণ। তবে শুধু তারা এর তাৎপর্য বুঝতে পারবে যারা এই একমুঠো ভাতের অভাবের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারবে। পৃথিবীতে প্রত্যেকটি প্রাণীর ক্ষুধার অনুভূতি রয়েছে। এই পৃথিবীতে এমন কোন প্রাণী নেই যে খাবার না খেয়ে বাঁচতে পারে। ক্ষুধার অনুভূতি গুলো এবং খাবার না পাওয়ার কষ্ট শুধুমাত্র তারাই অনুভব করতে পারে যারা দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারে না। তাদের কষ্টগুলো অনুভব করলে বোঝা যায় তারা কত দুর্বিষহ জীবন পার করে। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা তাদের দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতেই হন্য হয়ে ঘুরে। তবে কেউ জানতেও চায় না তাদের এই ক্ষুধার কষ্ট সম্পর্কে। পৃথিবীতে যে যার মতো ব্যস্ত জীবন পার করে। কারো কাছে যে খাবারের মূল্য অতি সামান্য আবার অন্য কারো কাছে তা খুবই অমূল্য। আমাদের সমাজের মধ্যবিত্ত মানুষ গুলো নিজের সম্মান কে বিসর্জন দিয়ে কখনোই কারো থেকে খাবার চেয়ে খেতে পারে না। তবে নিজের ভেতরে ক্ষুধার কষ্টের অনুভূতি গুলো শুধু সেই উপলব্ধি করতে পারে।
Source
এই সমাজের মধ্যবিত্ত মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি অসহায়। তারা কারো কাছে এক মুঠো ভাত চাইতে পারে না। জীবনে না পারে তাদের খাবারের অভাব সম্পর্কে অন্য কারো কাছে বলতে না পারে তাদের পরিবারের মুখে এক মুঠো ভাত তুলে দিতে। এই এক মুঠো ভাতের অভাব তাদের জীবনে কতটা কষ্টের সে শুধু এক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে। এই উপলব্ধি ও অনুভূতিগুলো শুধু তারাই বুঝতে পারবে যারা এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। আমি শুধু তাদের কথাই বলছি যারা এই পৃথিবীতে এক মুঠো ভাতের অভাবে কষ্টকর জীবন পার করছে। তারা জানে না তাদের এই জীবন যুদ্ধ কখনো শেষ হবে কিনা।
Source
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের কাছে ভাত অতি তুচ্ছ একটি খাবার। তাদের কাছে বড় রেস্টুরেন্টের খাবারের কাছে ভাত মূল্যহীন। তারা কখনো উপলব্ধি করতে পারবে না জীবনে ক্ষুধার কষ্ট কি। অন্যদিকে আমাদের সমাজের এমন কিছু পরিবার রয়েছে যারা তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মুখে এক মুঠো ভাতের যোগান দিতে পারেনা। তবে কেউ দেখেনা তাদের কষ্ট। এটাই পৃথিবীর আর এটাই জীবন। কারো কাছে খাবারের মূল্য খুবই তুচ্ছ আর কারো কাছে সেই খাবার জোগাড় করা কষ্টসাধ্য। এটাই পৃথিবীর নিয়ম। পৃথিবীতে সবাই যে যার মত জীবন পার করে। কেউ কেউ সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন পার করছে আবার কেউ নিজের একমুঠো ভাতের জোগাড় করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
Source
একজন দরিদ্র ব্যক্তি যখন খাবারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে তখন মানুষ তাকে তাড়িয়ে দেয়। কেউ কখনো উপলব্ধি করতে পারে না তার ভিতরে কতটা কষ্ট আর কতটা ক্ষুধা লুকিয়ে রয়েছে।আবার একজন পথশিশু যখন বড় কোন রেস্টুরেন্টের পাশ দিয়ে হেঁটে যায় তখন সে এই রেস্টুরেন্টের খাবারের দিকে শুধু চেয়ে থাকে। তার কাছে এই রেস্টুরেন্টের খাবার হলো স্বপ্ন তুল্য। হয়তো তাদের স্বপ্ন সারাজীবন অপূর্ণই রয়ে যায়। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা তাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য রাস্তায় ফেলে দেওয়া খাবার কুড়িয়ে খায়। তাদের কাছে খাবারকে সবসময় খাবারই মনে হয় ডাস্টবিনের আবর্জনা মনে হয় না। এই দৃশ্য দেখলে চোখে পানি চলে আসে।
Source
এই জীবনে মানুষ তাদের চলার পথে নানা বাধার সম্মুখীন হয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো তাদের পেটে যদি ক্ষুধার জ্বালা থাকে তবে তারা কখনোই সফল হতে পারবে না। দিনরাত পরিশ্রম করে সকলের মুখে হাসি ফোটানো তাদের কাছে যেন এক জীবন যুদ্ধ। এই জীবন যুদ্ধে কেউ হয় জয়ী আবার কেউ পরাজিত। এভাবেই তারা জীবনের শেষ পথে নীড় খুঁজে নেয়। একজন বাবা যখন তার সন্তানদের মুখের এক মুঠো ভাত তুলে দিতে ব্যর্থ হয় এর চেয়ে কষ্টের অনুভূতি আর অন্য কিছুতে নেই। ভালো থাকুক এই সমাজের মানুষগুলো। ভালো থাকুক তাদের কষ্টগুলোকে সঙ্গী করে নিয়ে। এরই নাম নিষ্ঠুর জীবন।
এই সম্প্রদায়ের সম্মানিত সদস্যদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।আর আমার লেখনীতে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি হলে দয়াকরে ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনি কিন্তু রেগুলার লিখছেন না, আর রেগুলার না লেখলে কিন্তু সাপোর্ট পাবেন না তেমন একটা, এই পোস্ট টি ভাল ছিল।
ভাইয়া আমি যেহেতু স্টুডেন্ট তাই আমি পড়াশুনার চাপে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। সামনে আমার পরীক্ষা তাই একটু পড়াশোনার চাপে রয়েছি। তবে আমি চেষ্টা করবো নিয়মিত পোস্ট করার।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।