নাটক রিভিউ-সুঁই|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি। আর নাটক দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাই তো আজকে আমি একটি নাটক রিভিউ সবার মাঝে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
নাম | সুঁই |
---|---|
পরিচালনা | সাগর জাহান |
সম্পাদনা | ব্যাঙের ছাতা টিম |
প্রধান সহকারী পরিচালক | সাজ্জাদ হোসেন সজীব |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান, তানজিম সায়েরা তটিনী ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৪৬ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- ফারহান আহমেদ জোভান
- তানজিম সায়েরা তটিনী(হীরা)
নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই একটি মিষ্টি মেয়ে ডক্টরের চেম্বার এসেছে। মেয়েটিকে প্রথম দেখাতেই ডক্টরের অনেক ভালো লেগে যায়। মেয়েটির নাম হীরা। সে তার মামার সাথে এসেছে। আর যখন ডক্টর জানতে চাইল তার কি হয়েছে তখন তার মামা বলল হীরার শরীর থেকে সুঁই বের হয়। এই কথা শুনে ডক্টর অনেকটা অবাক হয়ে গেল। একজন মানুষের শরীর থেকে ঘাতক পদার্থ বের হতে পারে এটা তার একেবারে বিশ্বাস হচ্ছিল না। এরপর হীরার মামা বলল বিভিন্ন সময়ে তার ভাগ্নির শরীর থেকে সুঁই বের হয়। আর এজন্য তার ভাগ্নি সবার কাছেই অনেক সুনাম অর্জন করেছে। তবে এখন তারা চাচ্ছে চিকিৎসা করাতে। কারণ এখন আর এই বিষয়টা তাদের ভালো লাগেনা। হীরার মামার কথা শুনে ডক্টর বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। এরপর বিভিন্ন রকমের টেস্ট করতে দিল। যাতে করে সে বুঝতে পারে আসলে হীরার শরীরে কি হয়েছে। এরপর হীরা এবং তার মামা গ্রামে ফিরে গেল।
হঠাৎ একদিন সকালবেলায় সেই ডক্টর অর্থাৎ জোভান গ্রামে গেল। আর গ্রামের রিকশাওয়ালার কাছ থেকে জানতে পারল হীরার কথা। যে সত্যি সত্যি হীরার শরীর থেকে সুঁই বের হয়। এরপর জোভান হীরাদের বাড়িতে গেল আর হীরার মামা-মামী জোভানকে দেখে অনেক খুশি হয়ে গেল। এরপর জোভান সেখানে কিছুদিন থাকলো আর হীরার সাথে তার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। হীরার সাথে সে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতো। কাছ থেকে হীরাকে দেখার চেষ্টা করত। কখন জানি হীরার প্রতি জোভানের মায়া জন্মেছিল। বিভিন্ন কথার ছলে হীরা যেমন জানতে চেয়েছিল সে তাকে বিয়ে করবে কিনা তেমনি জোভানও বলেছিল সে তাকে বিয়ে করতে চায়। প্রথমে হয়তো দুজনেই ইয়ার্কির ছলে কথাগুলো বলেছিল। তবে মনে মনে জোভান হীরাকে পছন্দ করত। এরপর জোভান শহরে ফিরে যায়। শহরে যাওয়ার পর জোভান আবারো হীরা এবং তার মামাকে তার চেম্বারে ডাকে। এবার জোভান হীরাকে একাই কিছু প্রশ্ন করে এবং তার মামাকে বাহিরে যেতে বলে।
জোভান এবার হীরার সম্পর্কে সবকিছুই খোজ খবর নিয়েছে। হীরাকে বলে আসলে তার শরীর থেকে কোন সুঁই বের হয় না। সে নিজেই এই সুঁইগুলো শরীরে ঢুকায়। হীরা প্রথমে চুপ ছিল কোন কিছুই স্বীকার করতে চাইছিল না। আর জোভান তার সম্পর্কে অনেক কিছু বলে। জোভান বলে সে নিজে নিজে তার শরীরে ক্ষত করে আর নিজেকে কষ্ট দেয়। নিজের শরীরে সুঁই ঢুকায় আর সবাই ভাবে হয়তো সত্যি সত্যি হীরার শরীর থেকে সুঁই বের হয়। তখন যোগান জানায় সে সবটা জেনে গেছে। সুমন নামের একটি ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। আর সুমন অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছে। সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হীরা নিজেকে কষ্ট দিয়েছিল। হীরা তখনো চুপ ছিল। এরপর জোভান আরো একটি কথা বলে যেই কথা শুনে হীরার নীরবতা ভেঙে যায়। জোভান হীরাকে বলে হীরা এবং তার বান্ধবী একদিন সবাইকে মিথ্যা কথা বলে কোথাও গিয়েছিল জোভান সেটা জানতে পেরেছে। আসলে হীরা প্রেগন্যান্ট ছিল। আর সুমন তাকে ঠকিয়েছিল। তাইতো সে বাচ্চা এবরশন করার জন্য গিয়েছিল।
সুমনের উপর অভিমান করে হিরা নিজেকে আঘাত করেছে। এবার হীরা আর চুপ থাকতে পারেনি। সত্যিটা বলে ফেলেছে। হীরা জোভানের সামনে স্বীকার করে নিয়েছে সে নিজেকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই নিজের শরীরে সুঁই ঢুকাতো। এরপর হীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। এরপর তার মামার সাথে সেখান থেকে ফিরে যায়। হীরা গ্রামে ফিরে যায়।এরপর কেটে যায় কিছুদিন। হঠাৎ একদিন জোভান তাকে ফোন করে আর বলে সে যেন একটি কম্বল নিয়ে বাইরে আসে। আর জোভান বলে সে তার গ্রামে এসেছে। হীরা সেখানে দৌড়ে চলে যায়। আর জোভান বলে সে তাকে নিতে এসেছে। কারণ তাকে ছাড়া সে শহরে থাকতে পারছিল না। হীরা তখন বলে তার এই ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে জোভানের জীবনসঙ্গিনী হতে চায়না। তখন জোভান তাকে বলে সমাজ তাকে ক্ষতবিক্ষত হতে বাধ্য করেছে। এরপর নাটকের সুন্দর একটি সমাপ্তি ঘটে
এই নাটক একেবারে ব্যতিক্রম ছিল। যদিও বাস্তবে সেটা কখনো সম্ভব নয়। তবে একটি মেয়ে নিজেকে আঘাত করার জন্য এভাবে সুঁই ঢুকিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেছে এটা সত্যিই অনেক কষ্টের বিষয় ছিল। আর একজনকে ভালোবেসে সে যখন আঘাত পেয়েছে তখন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি। তাই তো নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। অবশেষে তার ভালো একজন জীবনসঙ্গী পেয়েছে দেখে ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
বর্তমান সময়ে জোভান এবং তোটিনী চমৎকার চমৎকার নাটক উপহার দিয়ে চলেছেন। সুঁই নাটকটি দেখেছিলাম। নাটকটির গল্প ছিলো অনেক সুন্দর। আপনার রিভিউ দেখে আরো ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
এই নাটকটি আপনি দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। নাটকটি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন।রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।নাটকের গল্পটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুঁই নাটকটি দেখা হয়নি। তবে নাটকের রিভিউটি পরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করা জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সুঁই নাটকটি যেহেতু আপনার দেখা হয়নি তাই সময় পেলে নাটকটি দেখতে পারেন আপু। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লাগবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
বর্তমান প্রজন্মের নাট্যকাররা খুব সুন্দর সুন্দর নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছে প্রতিনিয়ত। আমি তো প্রেম অনুভূতিমূলক এই জাতীয় নাটকগুলো খুবই পছন্দ করে থাকে। জোভানের দারুণ একটি নাটক রিভিউ করেছেন দেখে খুশি হলাম।
বর্তমান সময়ের নাটক গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর এই নাটকটিও দারুন ছিল ভাইয়া। আপনি সময় পেলে দেখতে পারেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর নাটক এর রিভিউ পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ একদম অসাধারণভাবে আপনি এই নাটকের সবগুলো বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন। একইসাথে এই নাটকের মধ্যে যেসকল ঘটনাগুলো ঘটেছিল সবগুলোই আপনার এই রিভিউ এর মাধ্যমে পড়তে পারলাম এবং আমি এই নাটকটি এখনো দেখে নিতে পারিনি৷ অবশ্যই সময় করে এই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আমার শেয়ার করা নাটক রিভিউ পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সময় পেলে নাটকটি দেখতে পারেন ভাইয়া।
আমার কাছে সুঁই নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়তে খুব ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবেই এই নাটকের রিভিউটা তুলে ধরেছেন। এই নাটকটার কয়েকটা শর্ট ভিডিও আমি দেখেছিলাম তবে নাটকটা সম্পূর্ণ দেখা হয়নি। কিন্তু আপনার রিভিউর মাধ্যমে নাটকটার পুরো কাহিনী জানতে পেরে ভালো লাগলো। রিভিউটা অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। যেটা পড়ে ভালো লেগেছে, আর নাটকটা দেখাও লাগবেনা।
ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ তুলে ধরার। যেহেতু শর্ট ভিডিও দেখেছেন আশা করছি সময় হলে সম্পূর্ণ নাটকটি দেখবেন।