আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি ভিন্ন ধরনের আর্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আমার একটি আর্ট ও ক্যালিগ্রাফি করেছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমাদের পরিবারের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তারই একটি চিত্র আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমার আর্ট ও ক্যালিগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।

একজন সৈনিক তার দেশকে ভালোবাসে দেশের মায়ায় নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেয়। পরিবার-পরিজনদের দূরে রেখে দেশ রক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করে। আমার বাবাও একজন সৈনিক ছিলেন। সেজন্য আমিও গর্ববোধ করি। তেমনি যারা দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এরকম সৈনিকদের প্রতি আমরা সব সময় শ্রদ্ধা জানাই। যুদ্ধে তারাই নিজের জীবন উৎসর্গ করে তারাই এগিয়ে আসে। আমরা তাদের উপর ভরসা করে নিশ্চিন্তে ঘুমাই। যারা দেশের স্বার্থে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন ও দেশকে রক্ষায় নিজের জীবনকে বাজি রেখেছেন তারাই আমাদের দেশের বীর সৈনিক। বর্তমানে যেহেতু ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদের মর্মাহত করেছে তাই আমি আমার মনের আবেগ থেকে একটি চিত্র ও ক্যালিগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে আমি একটি সুন্দর আর্ট ও ক্যালিগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই জন্য আমি প্রথমে একটি সাদা কাগজ নিয়েছি। এরপর যুদ্ধ জয় করে ফেরা সৈনকের চিত্র অংকন করার চেষ্টা করেছি।

যুদ্ধ জয় করে ফেরা সৈনিকের সবচেয়ে আপনজন হলো তার পরিবার। এবার এই যুদ্ধে জয় করা সৈনিক যখন তার পরিবারের কাছে ফিরেছে তখন সে খু্বই আহত। তাই তার পরিবারের একটি প্রিয় মানুষ তার সন্তানের চিত্র অংকন করেছি।

এবার আমি মেয়েটির কল্পনায় তার বাবার হাতে তার জন্য আনা উপহার ও বেলুন অংকন করেছি। কিন্তু সেই অবুঝ মেয়েটি জানতো না তার বাবার সেই হাত আর নেই। যুদ্ধের ভয়াবহতা কেড়ে নিয়েছে তার বাবার সেই হাত।

এবার আমি বীর সৈনিকের চিত্র অংকন করার জন্য সুন্দর করে রং দিয়েছি। রঙের মাঝে আমি সৈনিকের পোশাক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।

এভাবে আমি ধিরে ধিরে আরো কিছু অংশে রঙের ব্যবহার করে চিত্রটি সুন্দর করেছি। এরপর বেল্ট ও মাথার চুলের অংশ কালো রং দিয়েছি।

এভাবে ধীরে ধীরে আরো কিছু অংশে রঙ দিয়ে চিত্রটি ভালো ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

এবার আমি মেয়েটির জামা সুন্দর করার জন্য লাল রং দিয়েছি। লাল জামা পড়ে বাবার প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা এই মেয়েটিকে সুন্দর করে তৈরি করার চেষ্টা করেছি।

এবার আমি বেলুন গুলো সুন্দর ভাবে অংকন করেছি। মেয়েটির কল্পনায় সেই বেলুনগুলো ও রং-বেরংয়ের বেলুন তৈরি করেছি। এবার যুদ্ধ থেকে ফেরা সৈনিকের ক্ষতবিক্ষত হাত থেকে ঝরে যাওয়া রক্তের ফোঁটা অংকন করেছি।

এবার আমি আমার মনের আবেগ দিয়ে ক্যালিগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি। এজন্য আমি প্রথমে লেখাগুলো পেন্সিল দিয়ে লিখে নিয়েছি। যেহেতু এটি আমার প্রথম ক্যালিগ্রাফি তাই আমি পেন্সিল দিয়ে হালকা করে লিখে নিয়েছি। এরপর লাল রং দিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি।

যুদ্ধের ভয়াবহতা ও রক্তে মাখা যুদ্ধের চিত্র উপস্থাপন করার জন্য আমি লাল রং দিয়ে ও আমার মনের আবেগ দিয়ে লেখা কিছু কথা উপস্থাপন করেছি।

এই চিত্রটি আরো বেশি সুন্দর করার জন্য আরও কিছু অংশের কাজগুলো শেষ করার মাধ্যমে আবারও ক্যালিগ্রাফির কাজ পুরোপুরি ভাবে শেষ করেছি।

আমার করা একটি আর্ট ও ক্যালিগ্রাফি পুরোপুরি ভাবে শেষ হয়ে গেলে আমি সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছি। আমরা সকলেই চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক। যুদ্ধের ভয়াবহতা যেন আর কোন প্রিয় মানুষের ক্ষতি না করে এই কামনা করি। যুদ্ধ যেন কোন বীর সৈনিকের রক্ত না ঝরায় এই কামনা করি। সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই।