জেনারেল রাইটিং-নিজের প্রতি যত্নশীল হোন||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই তো আজকে আমি একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। বর্তমান সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর এই সময়গুলোতে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তো কিছু কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। আশা করছি আমার লেখাগুলো পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
নিজের প্রতি যত্নশীল হোন:
![boy-g2701e968f_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTjSrXh1usxn5sMUtNHSSS1F66GkmAK2YVt4xQp3kFnHh/boy-g2701e968f_1280.jpg)
Source
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সুস্থ থাকাটা সত্যি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই হয়তো সচেতনতার সাথে চলাফেরা করছি। তবুও কেন জানি অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই সময়টাতে নিজের যত্ন নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আসলে অসুস্থতা যখন জীবনে আসে তখন সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। আর সেই সময়টাতে একদিকে নিজের যত্ন নেওয়া অন্যদিকে পরিবার সামলানো সবকিছু মিলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত বেশ বিষাক্ত হয়ে যায়। হয়তো আমরা সেভাবে কখনো নিজের যত্ন নিতে চাই না। অসুস্থতার সময় আমরা বুঝতে পারি আসলে আমরা যদি নিজের প্রতি যত্ন নিতাম এবং খেয়াল রাখতাম তাহলে হয়তো এতটা কষ্ট পেতে হতো না।
সময়টা সত্যি বড় খারাপ যাচ্ছে। একদিকে রোদ অন্যদিকে বৃষ্টি। রোদ বৃষ্টির এই খেলায় যেন জীবন প্রায় অতিষ্ঠ। বেশ কিছুদিন বৃষ্টি হওয়ার পর রোদের তাপে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জ্বর সর্দি লেগেই আছে সবার। আর অন্যদিকে সুস্থ হওয়াটাও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এই সময় জ্বর সর্দি ভালো হওয়া অনেকটা সময়ের প্রয়োজন। প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃদ্ধ থেকে শিশু সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর এই সময় বাড়ির বৃদ্ধদের প্রতি যেমন যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন তেমনি ছোটদের প্রতি খেয়াল রাখা অনেক জরুরী। কারণ এই অসুস্থতার সময় গুলো তাদের আরো বেশি কষ্টের। যখন মনে পড়ে ওই রাস্তার পাশের অসহায় মানুষগুলোর কথা তখন হৃদয় কেঁদে ওঠে। যেই মানুষগুলোর মাথা গোঁজার মত কোন ঠাঁই নেই সেই মানুষগুলো কতই না কষ্ট করে জীবন যাপন করছে। যেই মানুষগুলো বৃষ্টিতে ভিজে আকাশের নিচে বসবাস করে সেই মানুষগুলোই রোদের তাপে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আসলে জীবনের বাস্তবতার দিকে তাকালে সত্যিই অবাক লাগে। বৃষ্টি ভেজা রাতগুলো যখন তারা কষ্টে কাটায় তখন হয়তো প্রতীক্ষা করে রোদের আলোর। আবার যখন রোদের প্রখর তাপ শরীরে এসে লাগে তখন তারাও মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজে পেতে চায়। হয়তো রোদের তাপ থেকে একটুখানি বাঁচতে চায়।
আবার যদি বলতে যাই সেই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কথা যারা ঝড়-বৃষ্টি সবকিছুকে উপেক্ষা করে নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য খাবার জোগাড় করতে দিনরাত পরিশ্রম করছে। সেই সব অসহায় মানুষগুলোর কথা ভাবতেই হৃদয় কেঁদে ওঠে। তারা হয়তো নিজের অসুস্থতার কথা লুকিয়ে কিংবা অসুস্থতার আড়ালেও ভালো থাকার অভিনয় করে। কারণ তারা যে খেটে খাওয়া মানুষ। একবেলা কাজ না করলে তার পরিবার না খেয়ে থাকে। তাদের কাছে হয়তো নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া মানেই অনেকটা বিলাসিতা। তবুও জীবনের সবকিছুকে পেছনে ফেলে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে যেই মহিলাটি কাজ করে সেই মহিলাটির গায়ে ভীষণ জ্বর। কিন্তু কেউ বলার মতো নেই যে আজকের কাজগুলো রাখো আজকের কাজগুলো না হয় আমরা নিজেরাই করে নেব। কেউ হয়তো শুনতেও চায় না তার ভেতরের কষ্ট। হয় তো কেউ বলতে চায় না তার ভেতরের আর্তনাদ। হয়তো অন্যের বাড়িতে কাজ করে তার পেট চলে। কিন্তু অসুস্থতা তো আর সেটা বোঝে না। সময়ে অসময়ে যদি তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন যে সেই ছোট্ট সন্তানটি না খেয়ে মরবে। তাইতো নিজের প্রতি যদি আমরা খেয়াল করি না। পরিবারের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেই। সেই মানুষ গুলো এভাবেই হয়তো জীবন পাড়ি দিচ্ছে। হয়তো গায়ে প্রচন্ড জ্বর নিয়েও হাসিমুখে সবটা করার চেষ্টা করছে তারা। হয়তো মালিকপক্ষকে খুশি রাখার চেষ্টা করছে এভাবেই হয়তো কেটে যাচ্ছে তাদের দিনগুলো।
তবে সবশেষে একটি কথাই বলব আমরা যে যেই কাজের সাথেই জড়িত থাকি না কেন নিজের প্রতি যদি আমরা যত্নশীল না হই তাহলে সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। আর বর্তমানে জ্বর, সর্দি, ডেঙ্গু এসব লেগেই রয়েছে। আমরা যদি সবকিছু থেকে ভালো থাকতে চাই তাহলে অবশ্যই নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। জ্বর, সর্দি, আর মাথাব্যথায় যখন আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি তখন কেউবা দুমুঠো ভাতের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়। এটাই হয়তো জীবনের বাস্তবতা। হয়তো তারাও অসুস্থ হয় হয়তোবা তাদেরও খারাপ লাগে। কিন্তু সেই অসহায় মানুষগুলোর কথা ভাবার মত কেউ নেই। এভাবেই হয়তো কেটে যাবে তাদের দিনগুলো। তবুও সবাইকে নিজের প্রতি যতশীল হতে হবে।
আপু বাস্তবতা বড়ই কঠিন। সত্যি আপু নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া অনেক দরকার। আসলে আমরা সব সময় পরের জন্য যতই করি না কেনো, নিজে অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন বুঝা যায় । আর আমাদের বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু বাস্তবতা অনেক কঠিন। তবে আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া দরকার। আসলে অসুস্থ হয়ে পড়লেই বোঝা যায় সুস্থ থাকাটা কতটা জরুরী। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু অসুস্থ হলেই বোঝা যায় সুস্থতা আমাদের জন্য কত বড় নিয়ামত। রাত বৃষ্টি সবকিছু একসাথে শুরু হচ্ছে। তবে আপু এখানে বেশ কিছুদিন যাবত শুধু প্রচন্ড রোদ পড়ছে বৃষ্টির কোনো আভাস নেই। আসলেই সমাজের এমন কিছু মানুষ আছে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের শরীরের অসুস্থতার কথা না ভেবে পরিবারের জন্য কাজ করে যায়। কিন্তু আমরা ব্যস্ততার মাঝে নিজেদের খেয়াল রাখতেই ভুলে যাই।
যখন আমরা সুস্থ থাকি তখন হয়তো অসুস্থতার কথা বুঝতে পারি না। আসলে বৃষ্টি আর রোদ সবমিলিয়ে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
এখন ওয়েদারটাই এরকম হয়েছে যে, সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও বেশ খানিকটা অসুস্থ। তবে আপু আপনার পোষ্টের একটা দিক আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো, যে আপনি বেশ কিছু অসহায় মানুষের বাস্তব জীবন তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আসলে এই মানুষগুলোর কষ্ট দেখার মত বা শোনার মত খুব কম মানুষই রয়েছে। তবে আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন এবং শরীর সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে, যাতে করে এই অসুস্থতা থেকে কিছুটা হলেও বিরত থাকা যায়।
আমাদের সমাজের অসহায় মানুষগুলোর কথা কেউ হয়তো আমরা ভেবে দেখি না। তারা অনেক কষ্ট করে দিন পার করছে। অসুস্থতার মাঝেও তাদের যেন ছুটি নেই। যাইহোক ভাইয়া আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতন হতে হবে এবং সুস্থ থাকতে হবে।
ওয়েদার খুব খারাপ।এ অবস্থায় ভালো থাকা খুব দরকার।আল্লাহ সুস্থ রেখেছেন এটা অনেক বড় পাওয়া।আসলে আমরা নিজেরা যখন সুস্থ থাকবো তখন অন্যের যত্ন নিতে পারবো।তাই নিজ নিজ ভালো থাকা খুব জরুরী। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এই ওয়েদারটা অনেক খারাপ। সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমিও কয়েকদিন থেকে অসুস্থ। একেবারে কমছেইনা জ্বর। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ আপু চারিদিকে অনেক খারাপ অবস্থা। এখন ঘরে ঘরে অসুস্থ মানুষ। জ্বর সর্দি কাশিতে মানুষ ভুগছে। আরে অসুস্থ মানুষগুলো সেবা করার জন্যই অনেককে ভালো থাকতে হয়। সমাজে কিছু অসহায় মানুষ আছে যাদের কথা আমরা ভাবি না। তাদের অসুস্থতার কথা শোনার মত পৃথিবীতে কেউ নেই। অসাধারণ একটি টপিকস নিয়ে আজ পোস্ট করলেন আপু
ঘরে ঘরে এখন সবাই অসুস্থ। জ্বর সর্দি কাশিতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এই সমস্যা থেকে আমরা যদি মুক্তি চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আমাদের সকলের নিজেদের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিৎ। বর্তমানে আবহাওয়া নানান রূপ ধারন করে। এর ফলে অসুস্থতার হার বেড়েছে অনেক। ঠিক বলেছেন আপু দিন আনি দিন খাই মানুষ গুলোরই যেনো বেশি কষ্ট। রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করেই তাদের কাজ করে যেতে হয়।
নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রত্যেকটি মানুষের উচিত। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকাটা অনেক বেশি কঠিন। তবুও সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি নিজের প্রতি যত্নশীল না হয় তাহলে আমরা খুব সহজে অসুস্থ হয়ে পড়বো এবং আমরা নিজে সুস্থ না থাকলে পরিবারের মানুষকে কখনোই সুস্থ রাখতে পারবো না। তাই আমাদের সকলের উচিত আগে নিজের যত্ন নেওয়া। তবে যাই হোক, আপনি খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া আমাদের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি নিজের প্রতি যত্নশীল না হই তাহলে এই প্রভাব আমাদের পরিবারের উপর পড়বে। তারা যেমন কষ্ট পাবে ঠিক তেমনি আমরাও কষ্ট পাবো। তাই আগে থেকে সচেতন হওয়া অনেক দরকারি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি আপনি খুব সুন্দর ভাবে অনেক সচেতন মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন। এই জাতীয় পোস্টগুলো পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। ভালো লাগলো আজকের পোস্টটাও। এত সুন্দর পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই আপু বেশিরভাগ মানুষ নিজের প্রতি যত্নশীল না। এই কারণে অসুস্থতার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা জীবিকা নির্বাহের জন্য এতোটা ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি যে,নিজের বিশ্রাম তথাপি যত্ন নিতে একেবারে ভুলেই গিয়েছি। কিন্তু টাকার চেয়ে জীবন অনেক বড়। সুস্থ থাকলে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে। সেজন্যই বলা হয় স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই আমাদের সবার উচিত নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।