ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (দশম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের নবম পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দশম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক সেদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচুর ঘুরাঘুরি করেছি। একেবারে পাটুয়ারটেক বিচ থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। এককথায় বলতে গেলে কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরাঘুরি করেছি। যাইহোক হোটেলে রেস্ট নিতে নিতে আমরা প্ল্যান করলাম যে, পরের দিন আমরা বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাবো। কারণ সেখানে খুব সুন্দর একটি লেক রয়েছে। গুগল ম্যাপে সার্চ দিয়ে জানতে পারলাম যে,হোটেলের সামনে থেকে সেখানে যেতে ঘন্টা খানেকের মতো সময় লাগতে পারে সিএনজি তে চড়ে গেলে।
তবে উপবন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার আগে, আমরা রামুতে অবস্থিত ১০০ ফিট গৌতম বুদ্ধের মূর্তি দেখে যাবো। যাইহোক পরের দিনের প্ল্যান করার পর, আমরা ৯ টার দিকে হোটেল থেকে বের হয়ে সুগন্ধা বিচে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম এবং চেয়ারে শুয়ে সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করলাম। আসলে রাতের বেলা বিচে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া রাতের বেলা সমুদ্রের গর্জন শুনতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। সিটে বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে, সমুদ্রের পানির একেবারে কাছাকাছি গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সমুদ্রের গর্জন শুনলাম। যাইহোক ঘন্টা খানেকের মতো সুগন্ধা বিচে থেকে, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সামুদ্রিক মাছ ফ্রাই কিংবা বারবিকিউ করে খাবো।
তো সুগন্ধা পয়েন্টে থাকা অনেকগুলো সামুদ্রিক মাছের দোকান ঘুরাঘুরি করে বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখলাম। যাইহোক হঠাৎ করে ইচ্ছে করলো অক্টোপাস খাবো। কারণ অনেক দিন ধরে অক্টোপাস খাওয়া হয় না। দক্ষিণ কোরিয়াতে থাকতে প্রতি মাসে বেশ কয়েকবার অক্টোপাস খাওয়া হতো আমার। অক্টোপাস ফ্রাই করে কিংবা রান্না করে খেতে সত্যিই দারুণ লাগতো। অক্টোপাসের পা খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম অক্টোপাস খাবে কিনা। সে বললো অক্টোপাস মরে গেলেও খাবে না এবং আমাকেও খেতে দিবে না 😂। এই কথা শুনে তো পুরোপুরি ঝামেলায় পড়ে গেলাম। কারণ আমার তখন খুবই ইচ্ছে করছিল অক্টোপাস খেতে। যাইহোক ওয়াইফকে ভালোভাবে বুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজি করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এরপর অক্টোপাস দেখে দামাদামি করা শুরু করলাম।
যেহেতু আমাকে একাই খেতে হবে অক্টোপাস, তাই মোটামুটি মিডিয়াম সাইজের একটি অক্টোপাস খোঁজা শুরু করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত ৩৫০ টাকা দিয়ে একটি অক্টোপাস কিনলাম আমার জন্য এবং ওয়াইফ এর জন্য ২ টি চিংড়ি মাছ কিনলাম ১২০ টাকা দিয়ে। দোকানদারকে বলেছিলাম অক্টোপাস বারবিকিউ করার কথা। কিন্তু সে বললো বারবিকিউ করলে হয়তোবা গন্ধ লাগতে পারে। তাই ফ্রাই করলে নাকি সবচেয়ে ভালো হবে। যাইহোক সেই অক্টোপাস ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে ফ্রাই করে দিলো এবং চিংড়ি দুটি ফ্রাই করে দিলো। অনেকদিন পর অক্টোপাস মুখে দিয়ে খুবই ভালো লেগেছিল। খুব ভালোভাবে ফ্রাই করেছিল বলে খেতে দারুণ লেগেছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে সেখান থেকে উঠে পরলাম। যাইহোক এরপর আমরা কক্সবাজারে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
| তারিখ | ১৫.৬.২০২৪ |
| লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹















X-promotion
সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খেয়েছেন। অক্টোপাস কখনো খাইনি তবে ইচ্ছে রয়েছে খাওয়ার। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। অক্টোপাস এবং চিংড়ি মাছের ফ্রাই খেয়েছেন। খাবার গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অক্টোপাস ফ্রাই করে খেতে দারুণ লাগে। কক্সবাজার গেলে অবশ্যই ট্রাই করবেন আপু। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমনের দশম পর্ব। আসলে কক্সবাজারে বেশ দারুন দেখার মত একটি জায়গা। আসলে আমি বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করেছি তবে কক্সবাজার এখনো যাওয়া হয়নি চেষ্টা করব পরীক্ষার পর খুব দ্রুত কক্সবাজার ভ্রমণে যাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে অবশ্যই কক্সবাজার ঘুরতে যাবেন ভাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পরিবারকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন। আর সেই কক্সবাজার ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ দারুন কিছু ফটো ধারণ করেছেন। আর যে সমস্ত মুহূর্তগুলো অতিবাহিত করেছিলেন তার বেশ কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সব মিলে কিন্তু অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এই পোস্ট, আর আমাদের জানার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি। তাই বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পোস্ট দেখে।
আপনাদেরকে কক্সবাজার ট্যুর সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্যই এই ব্লগ শেয়ার করেছি ভাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় জনকে নিয়ে বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন কক্সবাজারে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে সুগন্ধা বিচে আপনারা সত্যি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।আর সুগন্ধা বিচে খাবার দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এভাবে চিংড়ি ফ্রাই সামনে থাকলে আর কি লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু চিংড়ি এবং অক্টোপাস ফ্রাই খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
লাইফে কখনো অক্টোপাস খাওয়া হয়নি। তবে আপনার খাওয়ারের যে রেসিপি গুলো দেখলাম এটি সত্যি অসাধারণ ছিল। কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটালেন। সুগন্ধা পয়েন্টে একটি অক্টোপাস ৩৫০ টাকা। ভালই লাগলো আমার কাছে আপনার পোস্টি পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি স্মৃতিময় মুহূর্তের অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
এটা মিডিয়াম সাইজের অক্টোপাস ছিলো ভাই। বড় হলে দাম আরও বেশি হবে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো আপনি এবং আপনার ওয়াইফ কক্সবাজারে একটি অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন। আপনার ভ্রমণ কাহিনী এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সুগন্ধা বিচের মনোরম দৃশ্য এবং সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই এর বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে যেন আমিও সেখানে উপস্থিত আছি। আপনার পোস্ট পড়ে অক্টোপাস খাওয়ার ইচ্ছে জাগ্রত হলো। আপনার পরবর্তী ভ্রমণ কাহিনীর অপেক্ষায় থাকবো। ভালো থাকবেন!
কখনো কক্সবাজার গেলে অবশ্যই অক্টোপাস ফ্রাই খেয়ে দেখবেন ভাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব পড়া হয়েছিল। আজকের পর্বটি পড়েও বেশ ভালো লাগলো। অক্টোপাস যদিও আমার দেখলে কেমন একটা লাগে তারপরও ফ্রাই করা দেখে বেশ ভালো লাগছে। আনেকটা চিকেন পপকর্নের মতো লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া কক্সবাজারে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা আপু। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের একের পর এক পর্বগুলো দেখে আসছি আজকেও খুবই সুন্দর একটি পর্ব দেখতে পেলাম এবং যেভাবে আপনি সুন্দর কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছেন তা বেশ অসাধারণ হয়েছে এবং খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন৷ পরবর্তীতে আরো কিছু সুন্দর পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
চেষ্টা করছি প্রতিটি পর্ব দারুণভাবে শেয়ার করতে। সামনে আরও কিছু পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।