প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে। আজকে আমি ইলিশ মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ এবং সবজি কেনার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমি সাধারণত ১০/১৫ দিন পরপর মাছ কিনে থাকি। আমাদের মদনপুরের মাছ বাজারে নদী এবং সাগরের মাছ সহ প্রায় সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়। তবে সবজি সপ্তাহে একবার কেনা হয় পুরো সপ্তাহের জন্য। যাইহোক গতকালকে বেলা ১১ টার পর বাসা থেকে বের হলাম। তারপর প্রথমে চলে গেলাম প্রিন্টিং প্রেস এর দোকানে একটি সাইনবোর্ড অর্ডার দেওয়ার জন্য। এরপর চলে গেলাম বিদ্যুৎ অফিসে কারণ একটু কাজ ছিলো সেখানে। বিদ্যুৎ অফিসে কাজ শেষ হতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গেল। এদিকে প্রিন্টিং এর দোকানে সাইনবোর্ড রেডি হতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে।

তাই ভাবলাম এই ফাঁকে মাছের বাজার থেকে ঘুরে আসি। কারণ মাছের বাজার কাছাকাছিই ছিলো। মাছের বাজারে যাওয়ার পর বেশ অবাক হলাম অনেক ইলিশ মাছ দেখে। কারণ ১০/১২ দিন আগে যখন মাছের বাজারে গিয়েছিলাম, তখন পুরো বাজারে ইলিশ মাছ তেমন ছিলোই না। ২/১ টি দোকানে থাকলেও বড় সাইজের ইলিশের দাম ছিলো ২৩০০-২৫০০ টাকা কেজি। আর গতকালকে যাওয়ার পর দেখলাম প্রায় ৫/৬ টি দোকানে ইলিশ মাছ রয়েছে ভরপুর। বর্ষাকালে ইলিশ মাছের দাম এতো বেশি হওয়াটা একেবারে অস্বাভাবিক। আর ইলিশ মাছের দাম এতো হবে না কেনো,কারণ প্রচুর পরিমাণে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ না করেই, প্রচুর পরিমাণে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে বাহিরের দেশগুলোতে।

যা মোটেই কাম্য নয়। কয়েকটি দোকান যাচাই করার পর যেটা দেখতে পেলাম সেটা হচ্ছে, কয়েকটি দোকানে চিটাগাং এর ইলিশ রয়েছে এবং কয়েকটি দোকানে পদ্মার ইলিশ রয়েছে। আর আপনারা তো জানেনই পদ্মার ইলিশের স্বাদ অন্যরকম। চিটাগাং এর ইলিশের স্বাদ কিছুটা কম, সেজন্য দামও অনেকটা কম। যাইহোক কয়েকটি দোকান যাচাই করার পর শেষ পর্যন্ত দরকষাকষির পর ১২০০ টাকা কেজি একটি ইলিশ মাছ কিনলাম। ওজন ৯০০ গ্রাম হয়েছে। তারপর খুঁজতে লাগলাম কালিবাউশ মাছ আছে কিনা। কারণ আম্মু বেশ কিছুদিন ধরে বলছিল কালিবাউশ মাছ কিনে আনতে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি দোকানে ছোট দুটি কালিবাউশ মাছ দেখতে পেলাম। দুটি কালিবাউশ মাছ এক কেজি হয়েছে। ৩৫০ টাকা দিয়ে এক কেজি কালিবাউশ মাছ কিনলাম।

এরপর গেলাম চিংড়ি মাছ কিনতে। ৭০০ টাকা দিয়ে এক কেজি চিংড়ি মাছ কিনলাম। তারপর ৫০০ গ্রাম পাবদামাছ এবং পুঁটিমাছ কিনলাম ২৫০ গ্রাম। রুই মাছ এবং তেলাপিয়া মাছ বাসায় ছিলো, সেজন্য কেনা হয়নি। যাইহোক মাছ কেনার পর চলে গেলাম কিছু ফ্রুটস কিনতে। তারপর চলে গেলাম সবজির দোকানে। চিচিঙ্গা, ধুন্দল, বেগুন, পটল,কচুরমুখী, পেঁপে, মূলা,ঢেঁড়স, করলা,আলু,গাজর সহ আরো বেশ কিছু সবজি কিনলাম। প্রতিটি সবজির দাম বেশি। এভারেজ ৬০-১০০ টাকা কেজি প্রায় প্রতিটি সবজি। তাড়াহুড়োর মধ্যে সবজির ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গিয়েছিলাম। যাইহোক এরপর গেলাম পাইকারি মুদি দোকানে। সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে, প্রিন্টিং প্রেস এর দোকানে গিয়ে সাইনবোর্ড নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কাজের ফাঁকে মাছ এবং সবজি কেনা হয়ে গিয়েছে। এই ব্যাপারটা বেশ ভালোই লেগেছে।