স্পোর্টস পোস্ট || টি-২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সহজ জয়
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা অনেকেই জানেন যে, বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের টি-২০ সিরিজ চলছে। গতকালকে ৩ ম্যাচের প্রথম টি-২০ ম্যাচটি নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্ক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে বাংলাদেশ দল ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। নিউজিল্যান্ড দলের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং টিম সিফার্ট ব্যাট করতে নামেন। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রানের মাথায় ৩ উইকেট এর পতন হয় নিউজিল্যান্ডের। দুই ওপেনার এবং গ্লেন ফিলিপস এর উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড দল চাপে পড়ে যায়।
স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ওয়ান
কিছুক্ষণ পর ডেরিল মিচেল ও আউট হয়ে যায়। মাত্র ২০/৪ রানের মাথায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম সারির চারজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ার পর, একেবারে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড দল। এরপর চ্যাপম্যান এবং নিশাম ছোটখাটো একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। নিশাম দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকে। মোটকথা নিশামের ব্যাটিংয়ের উপর ভিত্তি করেই নিউজিল্যান্ডের স্কোর কিছুটা বড় হতে থাকে। চ্যাপম্যান দলীয় দশম ওভারে ৫০/৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যাওয়ার পর, মিচেল স্যান্টনার যোগ দেয় নিশাম এর সাথে। যাইহোক দলীয় ১৭ তম ওভারে ১১০/৭ রানের মাথায়, নিশাম ব্যক্তিগত ৪৮ রান করে আউট হয়ে যায় মাত্র ২৯ বল মোকাবেলা করে। এর মধ্যে নিশামের ৪টি চারের মার এবং ৩ টি ছয়ের মার রয়েছে। নিউজিল্যান্ড দল শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৪/৯ রান করতে সক্ষম হয়। শেখ মাহেদী,শরিফুল এবং মোস্তাফিজুর রহমান এককথায় দুর্দান্ত বোলিং করে।
স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ওয়ান
তারা তিনজন বেশ ইকোনমিক্যাল বোলিং করে, তিনজন মিলে ৭ উইকেট তুলে নেয়। যাইহোক ১৩৫ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার, লিটন দাস এবং রনি তালুকদার ভালো সূচনা করতে পারেনি। কারণ রনি তালুকদার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ১৩/১ রানের মাথায় আউট হয়ে যায়। এরপর লিটন দাসের সাথে যোগ দেয় শান্ত। তারা দুইজন মোটামুটি ভালো ব্যাট করতে থাকে। তবে দলীয় ৩৮/২ রানের মাথায় শান্ত আউট হয়ে যায় ব্যক্তিগত ১৯ রান করে। এরপর সৌম্য সরকার ব্যাট করতে নামে। তারা দুইজন ছোটখাটো একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তবে দারুণ ব্যাট করতে থাকা সৌম্য সরকার দলীয় ৬৭/৩ রানের মাথায় বোল্ড আউট হয়ে যায়। সৌম্য ১৫ বল মোকাবেলা করে ২২ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর তাওহীদ হৃদয় লিটন দাসের সাথে যোগ দেয়।
স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ওয়ান
দলীয় ৯৬/৪ রানের মাথায় তাওহীদ হৃদয় আউট হয়ে যাওয়ার পর,আফিফ হোসেন ব্যাট করতে নেমেই আউট হয়ে যায়। তারপর শেখ মাহেদী এবং লিটন দাসের জুটির উপর ভর করে ১৮.৪ ওভারে ১৩৭/৪ রান করে, বাংলাদেশ দল জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। তারা দুইজন অপরাজিত থাকে। লিটন দাস হার না মানা ইনিংস খেলে। লিটন দাস শেষ পর্যন্ত ৪২ রান এবং শেখ মাহেদী ১৯ রান করে অপরাজিত থাকে। বাংলাদেশ দল ৮ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের সহজ জয় পায়। এতে করে বাংলাদেশ দল এই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল। এই সিরিজের আরো দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। দেখা যাক কোন টিম সিরিজ জয়লাভ করে। এই ম্যাচে শেখ মাহেদী দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বোলিং করে। সেজন্য শেখ মাহেদী কে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়। সবমিলিয়ে এই ম্যাচটি বেশ উপভোগ করেছি।
স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ওয়ান
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৮.১২.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
যদিও খুব একটা বেশি খেলা দেখি না তারপরও যখনই বাংলাদেশের খেলার খবর শুনি তখনই জানতে পারি বাংলাদেশ হেরে গিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মতো একটা ভালো দলের সাথে বাংলাদেশ এভাবে জয় লাভ করেছে এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। এভাবে যদি খেলতে পারে বাংলাদেশের প্লেয়াররা ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবে।
হ্যাঁ আপু বাংলাদেশ দল বেশিরভাগ খেলায় হারে। তবুও বাংলাদেশের খেলা হলে দেখতে ইচ্ছে করে। নিজের দেশ বলে কথা। খারাপ খেলুক আর ভালো খেলুুক,আলাদা একটা আবেগ কাজ করে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Twitter Link