স্পোর্টস পোস্ট || অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের টি-২০ সিরিজ জয়লাভ
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা অনেকেই জানেন যে,ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া দলের ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার এই সিরিজের চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে শহীদ বীর নারায়ণ সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এর আগে ভারত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলো এবং গতকালকের ম্যাচ জেতার মাধ্যমে ভারত এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-১ এ সিরিজ জয়লাভ করেছে। যাইহোক টস জিতে অস্ট্রেলিয়া দল প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের দুই ওপেনার জেসওয়াল এবং রুতুরাজ ব্যাট করতে নামেন। আমরা জানি দু'জনেই মারমুখী ব্যাটসম্যান। তবে জেসওয়াল প্রথম থেকেই মেরে খেললেও,রুতুরাজ দেখে শুনে খেলেন।
স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ওয়ান
যাইহোক জেসওয়াল বেশ ভালোই বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন। সেই সুবাদে ভারত মাত্র ৫.৪ ওভারে দলীয় ৫০ রান করতে সক্ষম হয়। দলীয় ৫০ রানের মাথায় জেসওয়াল ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যায়। তার এই ছোট্ট ইনিংসে ৬ টি চারের মার এবং ১ টি ছয়ের মার ছিলো। তিনি ২৮ বল মোকাবেলা করে ৩৭ রান করতে সক্ষম হয়। যাইহোক এরপর শ্রেয়াস আইয়ার এবং সূর্যকুমার তাদের নামের পাশে সুবিচার করতে পারেনি। তারই ফলস্বরূপ দলীয় ৯ম ওভার চলাকালীন সময়ে ভারতীয় দল ৬৩/৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর রুতুরাজ এবং রিংকু সিং ছোটখাটো একটি পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। রিংকু সিং মেরে খেললেও,রুতুরাজ ধীর গতিতে ব্যাট করেন। যাইহোক ১৪ তম ওভারে দলীয় ১১১/৪ রানের মাথায় রুতুরাজ ২৮ বল মোকাবেলা করে ৩২ রান করে বিদায় নেয়। এরপর রিংকু সিং এবং উইকেটকিপার জিতেশ শর্মা দুর্দান্ত ব্যাটিং করে। তাদের দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভারত শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৪/৯ রান করতে সক্ষম হয়।
স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ওয়ান
রিংকু সিং ২৯ বল মোকাবেলা করে ৪৬ রান করে আউট হয় এবং জিতেশ শর্মা ১৯ বল মোকাবেলা করে ৩৫ রান করে আউট হয়ে যায়। যাইহোক ১৭৫ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম থেকেই দুর্দান্ত ব্যাট করা শুরু করেন। ফিলিপ ধীরগতিতে ব্যাট করলেও, ট্রাভিস হেড একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান। মাত্র ৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়া দল ৪০ রান করে ফেলে। যাইহোক পেসার দীপক চাহার এবং মুখেশ কুমার যখন মার খাচ্ছিলো,তখন চতুর্থ ওভার বল করতে রবি বিষ্ণুই এর হাতে বল দেওয়া হলো। রবি বিষ্ণুই প্রথম বলেই বাজিমাত করে দিয়েছে। প্রথম বলেই ফিলিপকে বোল্ড আউট করে দেয় রবি বিষ্ণুই। পরের ওভারে নিয়ে আসা হয় আক্সার প্যাটেলকে। আক্সার প্যাটেল চতুর্থ বলেই ট্রাভিস হেড এর উইকেট তুলে নেয়। এতে করে অস্ট্রেলিয়া ৫ম ওভারে ৪৪/২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। ভয়ংকর রূপ ধারণ করা ট্রাভিস হেড মাত্র ১৬ বল মোকাবেলা করে ৩১ রান করে আউট হয়ে যায়। এরপর তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে।
স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ওয়ান
দলীয় ১৫ তম ওভারে ১০৭/৫ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ম্যাথিউ শর্ট এবং ম্যাথিউ ওয়েড কিছু রান করতে সক্ষম হলেও,শেষ রক্ষা করতে পারেনি। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৪/৭ রান করতে সক্ষম হয়। ম্যাথিউ ওয়েড ২৩ বল মোকাবেলা করে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলো। মূলত ভারতীয় দুই স্পিনার রবি বিষ্ণুই এবং আক্সার প্যাটেল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির চারজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠায়। তারা দুইজন বেশ ইকোনমিক্যাল বোলিং করতে সক্ষম হয়। যাইহোক ভারত ২০ রানের জয় পায় এই ম্যাচে এবং এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নেয়। আক্সার প্যাটেল ৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৩ টি মূল্যবান উইকেট তুলে নেয় এবং সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। এই সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হাই স্কোরিং ম্যাচ ছিলো। ভারত প্রতি ম্যাচেই ২০০+ রান করেছিল। তবে এই ম্যাচে ভারত ২০০ রান ক্রস করতে না পারলেও, বোলিং বেশ ভালো করেছে। বিশেষ করে তাদের দুই স্পিনার দুর্দান্ত বোলিং করেছে। যাইহোক এই ম্যাচটি সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করেছি।
স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ওয়ান
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২.১২.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
জানাছিল না। আজ আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম অষ্ট্রেলিয়া আর ভারতের ম্যাচ সম্পর্কে। ভারত তো বর্তমানে হট ফেভারিট। তাই ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়া পাত্তাই পায় নাই। এছাড়া ভারতের প্রতিটি খেলোয়াড়ই বেশ ভালো ক্রিকেট খেলে। ধন্যবাদ রিভিউ এর মাধ্যমে সম্পন্ন খেলাটি তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ আপু ভারত সবদিক দিয়ে বর্তমানে শক্তিশালী একটি দল। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভারত যখন খেলতে নামে তখন লাখ লাখ দর্শক তাদের পানে চেয়ে থাকে। কেমন খেলা দেখাবে আজ। কাল যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার সাথে দারুন একটি ম্যাচ খেলেছে ভারত এরপর তাদের জয় হয়েছে,এতে অনেক মানুষের পাশাপাশি আমিও বেশ আনন্দিত। খেলাটা ছিল দুর্দান্ত। যেখানে লাখ লাখ মানুষের আনন্দিত হয়েছে এবং এই টিমের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতের ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। এই সিরিজের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ভারত সিরিজ জিতে নিলো। যাইহোক মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।