রেসিপি পোস্ট || হাঁসের মাংসের ঝাল ঝাল রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। তবে বেশিরভাগ সময় আমি চিংড়ি মাছ এবং ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করে থাকি। কারণ এই দুটি মাছ আমার খুব প্রিয়। যাইহোক ২/৩ দিন আগে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। শ্বশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়ির দুরত্ব সর্বোচ্চ ৭/৮ মিনিট। তাই যখন তখন বাড়িতে আসা যাওয়া করা যায়। গতকালকে যখন আমার শ্বাশুড়ি বললো, একজন লোককে দিয়ে একটি হাঁস কিনে এনেছে। তখন আমি বললাম হাঁসের মাংসের ঝাল ঝাল রেসিপি আমি তৈরি করবো। আর আমার ওয়াইফ আমাকে সাহায্য করবে।
হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করতে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ যখন সাউথ কোরিয়াতে ছিলাম,সেখানে হাঁসের মাংসের রেসিপি প্রায়ই খাওয়া হতো। কারণ সাউথ কোরিয়াতে প্রচণ্ড শীত পড়ে। আর তীব্র শীতের সময় হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে সেখানে আমি যখন হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করতাম, তখন গ্যাসের চুলা এবং রাইস কুকার দুটোই ব্যবহার করতাম। কারণ আমার কাছে মনে হয় এভাবে রান্না করলে হাঁসের মাংস খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। যাইহোক গতকালকেও একই পদ্ধতিতে হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করলাম। রেসিপিটা খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু লেগেছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
হাঁসের মাংসের ঝাল ঝাল রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
হাঁসের মাংস | ৭০০ গ্রাম |
পেঁয়াজ | ২টা |
কাঁচামরিচ | ২টা |
মাংসের মসলা | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
জিরার গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
আদা রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
🍲প্রথম ধাপ🍲
আমার ওয়াইফ হাঁসের মাংসগুলো কেটে দেওয়ার পর, আমি মসলা মাখিয়ে মেরিনেট করার জন্য রেখে দিলাম এক ঘন্টা। তারপর একটি কড়াইয়ে প্রয়োজন মতো সয়াবিন তেল ঢেলে নিলাম।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
তারপর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো মাংসের মসলা, হলুদ মরিচের গুঁড়া,আদা রসুন বাটা, লবণ এবং জিরার গুঁড়া দিয়ে দিলাম কষানোর জন্য।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
মসলা গুলো ভালোভাবে কষিয়ে রাইস কুকারে ঢেলে দিলাম। তারপর মেরিনেট করা হাঁসের মাংস রাইস কুকারে দিয়ে, কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম। তারপর কাঁচামরিচ দিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম ১৫ মিনিটের জন্য। মাঝেমধ্যে ঢাকনা খুলে একটু নেড়ে নিব।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
কিছুক্ষণ পর দেখলাম ঝোল অনেকেটা শুকিয়ে গিয়েছে। আর এভাবেই হাঁসের মাংসের মজাদার রেসিপি তৈরি করে ফেললাম।
🍲পরিবেশন🍲
তারপর লাঞ্চের সময় পরিবেশন করলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৬.৮.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
হাঁসের মাংসের তরকারির কালার দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে।হাঁসের মাংস খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আজকে আপনি খুবই সুন্দরভাবে হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর ভাবে হাঁসের মাংস তৈরি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আপনিও হাঁসের মাংস খেতে খুব পছন্দ করেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। তাহলে এই রেসিপিটা অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাই। আশা করি দারুণ লাগবে খেতে। এমন অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Twitter Link
আহারে ভাই দিলেন তো লোভ লাগিয়ে, সকাল সকাল এই লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করা কি ঠিক হয়েছে ভাই। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এখনই গরম গরম ভাত নিয়ে বসে পড়ি লোভনীয় এই খাবারটি খাওয়ার জন্য। আর হ্যাঁ ভাই গ্যাসের চুলায় হাঁসের মাংস রান্না করেতো অনেক খেয়েছি তবে কখনো রাইস কুকারে হাস রান্না করার কথা শুনিনি। তাই এ বিষয়ে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। যাইহোক ভাই যেভাবেই রান্না করুন না কেন হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ স্বাদ লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
গ্যাসের চুলায় মসলা কষিয়ে তারপর রাইস কুকারের মধ্যে রান্না করেছিলাম ভাই। এভাবে রান্না করলে খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার রেসিপিটি দেখতে খুবই ভালো লাগছে ভাইয়া। জানিনা এটা খেতে কতটা সুস্বাদু হবে। তবে রেসিপিটি দেখে লোভ সামলানোই মুশকিল । এমনিতেই মাংস আমার প্রিয় খাবার। তারপরে আবার সেটি যদি হয় হাঁসের মাংস। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আপু এই রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। এভাবে তৈরি করে বাসায় খেয়ে দেখবেন। আশা করি দারুণ লাগবে খেতে। রেসিপির এতো প্রশংসা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তো খুবই লাকি। জামাই শ্বশুর বাড়িতে এসে রান্না করে খাওয়াচ্ছে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন ভাইয়া শীতকালে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার হাঁসের মাংসের কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হল ধাপ গুলো কম হয়ে গিয়েছে। আরো কয়েকটি ধাপ শেয়ার করলে বুঝতে সুবিধা হত। কিন্তু সবশেষে বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে।
আসলে রাইস কুকারে মাংস কষানোর সময় অনেক ধোঁয়া বের হচ্ছিল। তাই ফটোগ্রাফি ক্লিয়ার আসেনি। সেজন্য সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করিনি। তাই ধাপ কিছুটা কম হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে রেসিপিটা খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জিভে জল চলে আসলো আপনার হাঁসের মাংসের ঝাল ঝাল এই মজাদার রেসিপি টা দেখে। আপনি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, যা দেখে আমি তো লোভ সামলাতে পারছি না। বুঝতেই পারছি যখন আপনি সাউথ কোরিয়াতে ছিলেন, তখন হাঁসের মাংসটা একটু বেশি তৈরি করা হতো এবং খাওয়া হতো। নিজের হাতে তৈরি করেছেন, আমার তো আপনার হাতের রান্না খেতে ইচ্ছে করছে। দেখেই ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে, যদি সামনে পেতাম তাহলে তো খেয়ে নিতাম।
হ্যাঁ আপু কোরিয়ানরাও শীতের সময় প্রতি সপ্তাহে হাঁসের মাংস খায়। আমার তো রেস্টুরেন্ট এবং বাড়িতে হাঁসের মাংস প্রায়ই খাওয়া হতো। রকি ভাইকে নিয়ে চলে আসেন আপু। আরো অনেক কিছু রান্না করে খাওয়াবো ইনশাআল্লাহ। রেসিপিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার হাঁসের মাংসের রেসিপির কালারটা জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।আপনি রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন,এটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে।রেসিপি পরিবেশন দুর্দান্ত হয়েছে।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটা দেখে আপনার খুব ভালো লেগেছে, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই এখনো কিন্তু আমার খাওয়া দাওয়া করা হয়নি। তাই হাঁসের মাংসের রেসিপি টা দেখে ইচ্ছে করছে এখনই ভাত এনে খেয়ে নিতে। হাঁসের মাংস আমার অনেক বেশি ফেভারিট একটা রেসিপি। আর যদি এটি ঝাল ঝাল করে রান্না করা হয় তখন তো আরো ভালো লাগে খেতে। আপনি নিজের হাতে হাঁসের মাংসের এই সুস্বাদু এবং মজাদার রেসিপিটা তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেখে লোভ লেগে গিয়েছে। সবমিলিয়ে খুব সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই রেসিপি পোস্ট।
আপনার মতো আমারও হাঁসের মাংস খুব প্রিয়। এভাবে ঝাল ঝাল করে হাঁসের মাংস রান্না করে, গরম গরম রুটি দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সাউথ কোরিয়াতে অনেক বেশি হাঁসের মাংস পাওয়া যায় নাকি ভাই? আপনার আজকের শেয়ার করার হাঁসের মাংসের রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো ভাই। দারুন একটি রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
হাঁসের মাংস সব জায়গায় পাওয়া যায় ভাই। তবে সাউথ কোরিয়াতে শীতের সময় প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে। তাপমাত্রা মাইনাস ২৬° সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। তাছাড়া এমনিতেও ঠান্ডা বেশ ভালোই পড়ে। তাই অনেকেই হাঁসের মাংস একটু বেশিই খায়। যাইহোক গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের সময় হাঁসের মাংস খেতে একটু বেশি টেস্টিই লাগে । আমি আগে গ্রামে থাকতে শীতের সময় অনেক বেশি হাঁসের মাংস খেতাম ।
হ্যাঁ ভাই হাঁসের মাংস মূলত শীতের সময় খেতেই বেশি ভালো লাগে। ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।