হংকং এবং ম্যাকাও ভ্রমণ ৪র্থ (শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।আজকে ৪র্থ(শেষ পর্ব) নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। তারপর হাঁটতে হাঁটতে আরেকটু সামনের দিকে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম পার্সিয়ান আইফেল টাওয়ার। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার ইউটিউবে অনেক দেখেছি কিন্তু কখনও আইফেল টাওয়ার স্বচক্ষে বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়নি। এটা দেখার পর কি যে একটা অনুভূতি হয়েছিল সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। আইফেল টাওয়ারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করলাম অনেকক্ষণ। তারপর আমি কিছু ফটোগ্রাফি করলাম স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য। সন্ধ্যা হয়ে আসতেছে তাই আমি আর বেশিক্ষণ ঘোরাফেরা না করে বাসে উঠে পড়লাম। বাস থেকে আমি সেনাডো স্কয়ারে নেমে পড়লাম।
কারন সেনাডো স্কয়ার থেকে হেঁটেই আমি হোটেলে যেতে পারবো। সন্ধ্যা হয়ে গেলো আর সন্ধ্যার পর সেনাডো স্কয়ারের বিল্ডিংগুলোতে অনেক সুন্দর লাইটিং করা হয়েছিল।আর সেজন্য জায়গাটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছিল। সেনাডো স্কয়ারের পাশেই একটা মার্কেট রয়েছে। সেই মার্কেটে ঘুরে আমি কিছু কেনাকাটা করলাম এবং একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর হোটেলের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলাম এবং যেতে যেতে রিউনস অব এস টি পল এর সামনে চলে আসলাম। কারণ এই রাস্তা দিয়েই হোটেলে যেতে হয়।
তো দিনের বেলার রিউনস এস টি পল আর রাতের বেলার রিউনস এস টি পল এর মধ্যে অনেক পার্থক্য। রাতের বেলার দৃশ্যটাও দেখতে খুব সুন্দর লেগেছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল পুতুলগুলোর লাইটিংটা। বিভিন্ন রংয়ের লাইটিং এর জন্য পুতুলগুলো বেশ সুন্দর লাগছিল দেখতে। রাতের বেলাও মানুষের অনেক ভিড় ছিল সেখানে। যাইহোক সেখানে অনেকক্ষণ থাকার পর আমি হাঁটতে হাঁটতে হোটেলে চলে আসলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে লম্বা একটা ঘুম দিলাম। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম। তারপর রেডি হয়ে একটু বের হলাম রিউনস অব এস টি পল এর দিকে যাওয়ার জন্য।
সেখানে গিয়ে একটু ঘোরাফেরা করে কিছু ছবি তুলে হোটেলে চলে আসলাম। কারণ আজকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আমার ফ্লাইট। হোটেলে ঢুকে প্রথমে আমি গোসল করলাম এবং তারপর লাগেজ গুছিয়ে নিলাম। তারপর ১১:৩০ মিনিটে আমি হোটেলের রিসিপশনে চলে গেলাম চেক আউট করার জন্য। হোটেল থেকে বের হয়ে আমি একটা ট্যাক্সি ভাড়া করলাম ম্যাকাও এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য। এয়ারপোর্টে গিয়ে আমি প্রথমে লাঞ্চ করে নিলাম।
তারপর বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন ক্রস করে একেবারে ভিতরে ঢুকে গেলাম। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমি হংকং এয়ারলাইন্সে উঠে পড়লাম। ম্যাকাও এয়ারপোর্ট থেকে দুপুর ২:৩০ মিনিটে প্লেন ছাড়লো ইনছন এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্যে। প্রায় ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট পর প্লেন ইনছন এয়ারপোর্টে পৌঁছালো।তখন কোরিয়ান সময় সন্ধ্যা ৭টা এবং ম্যাকাও সময় সন্ধ্যা ৬টা বাজে। ইনছন এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে লিমোজিন বাসে চড়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর আমি বাসায় পৌঁছে গেলাম।
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ক্যামেরা | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৩০.১০.২০২২ |
স্থান | পার্সিয়ান আইফেল টাওয়ার এবং রিউনস অব এস টি পল |
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই, আমার এই ভালো লাগার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না এবং কোনো ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ও ধরিয়ে দিবেন সেই আশা করছি। আপনাদের সাপোর্ট পেলে আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পার্সিয়ান আইফেল টাওয়ারের নাম আমিও আগে কখনো শুনিনি। তবে যখন হংকং এবং ম্যাকাও এর ভিসা হাতে পেলাম তখন ইউটিউব এবং গুগল এর মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। পুতুলগুলো দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য।
ঘোরাঘুরি করতে আমার দারুন লাগে তবে এখন পর্যন্ত দেশেরে বাইরে যাবার সুযোগ হয়নি। আশা করি জানুয়ারীতে ভারত ভ্রমনের একটা সুযোগ পাব। দারুন লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে আপনার ছবিগুলো দারুন হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ঘুরাঘুরি করতে কম বেশি সবারই খুব ভালো লাগে। দোয়া করি আপনার ভারত ভ্রমণ সফল হোক। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাঝে মাঝে আপনাদের ভ্রময় জায়গা গুলো দেখে নিজেরও যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু একটাই সমস্যা আমরা মধ্যবিত্ত। তাছাড়া আপনি হ হংকংয়ে অনেক সুন্দর ভ্রমণ করার পাশাপাশি আমাদের সাথে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে সময় এবং সুযোগ করে দেয় এভাবে ভ্রমণ করার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।