প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গতকালকে আমি এবং আমার দুইজন বন্ধু বিকেলবেলা বের হয়েছিলাম। মূলত আমার খাটের জন্য ম্যাট্রেস এবং ড্রয়িং রুমের জন্য সেন্টার টেবিল কিনতে হবে। সেজন্য ওদের দুইজনকে ফোন করলাম। কারণ একা একা কেনাকাটা করতে আমার ভালো লাগে না। যাইহোক তারপর আমরা প্রথমে চলে গেলাম সিদ্ধিরগঞ্জের দিকে। সেখানে অনেকগুলো ফার্নিচার এর দোকান রয়েছে। সেখানে গিয়ে অনেকগুলো দোকানে ঘুরাঘুরি করার পর সেন্টার টেবিল পছন্দ হলেও, ম্যাট্রেস এর সাইজ নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলাম। কারণ প্রতিটি দোকানে রেডিমেড খাটের সাইজের ম্যাট্রেস পাওয়া যায়। কিন্তু আমার খাট হচ্ছে সেগুন কাঠের এবং কিছুদিন আগে অর্ডার দিয়ে বানিয়েছিলাম।

রেডিমেড ম্যাট্রেস এর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ কিছুটা ছোট। তাই দোকানের লোকজন বললো যে অর্ডার দিয়ে ম্যাট্রেস বানাতে হবে। যাইহোক তারপর আমরা চিটাগাং রোডে চলে গেলাম। কারণ অনেকেই জানেন যে আমি বাসায় দুটি বাজরিগার পাখি পুষে থাকি। পাখির খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে বিধায় খাবার কিনতে হবে। খাবার কিনতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ময়না পাখি আছে কিনা। ওরা বললো ৭ হাজার টাকা দিলে ম্যানেজ করে দিবে কয়েকদিন এর মধ্যে। তারপর আমি ওদেরকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি। বলেছি যে ভালো ময়না পাখি পেলে আমাকে ফোন করতে। যাইহোক পাখির খাবার এবং ক্যালসিয়াম নিয়ে দোকান থেকে বের হলাম। তারপর আমার বন্ধুরা বললো কাচ্চি বাড়িতে গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাবে। কারণ অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর সবারই ক্ষুধা লেগেছে। আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে প্রথমেই তিন প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানি এবং ১ লিটার বোরহানি অর্ডার দিলাম।

তারপর খেতে খেতে গল্প করতে লাগলাম। বিরিয়ানির সাথে মজার একটি আচার দিয়েছিল। সেজন্য খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছিল। কাচ্চি বিরিয়ানিতে তেল কম দেওয়ায় খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। বেশি তেল দিলে খেতে একেবারেই ভালো লাগে না আমার। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে জিজ্ঞেস করলাম ডেজার্ট হিসেবে কি আছে। তারা বললো ডাবের পুডিং আছে। ডাবের পুডিং এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। তাই বলার সাথে সাথে অর্ডার দিলাম তিনটি। ডাবের পুডিং খেতে এতো সুস্বাদু লেগেছিল, যা বলার মতো নয়। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছি আমরা। খাবারের মান এককথায় দুর্দান্ত ছিলো। তারপর আমি ১১০০ টাকা বিল দিলাম এবং আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি আমরা।