প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

গত সপ্তাহে আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে কাইকারটেক ব্রিজে গিয়েছিলাম কিছু ফটোগ্রাফি করতে। ইতিমধ্যে আমি অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে। তো মোটামুটি আমি ১/১.৫ ঘন্টা সময় সেখানে হাঁটাহাঁটি করে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তো ফটোগ্রাফি করার এক পর্যায়ে আমি হঠাৎ করে ভাবলাম ,এতো সুন্দর মুহূর্তের একটি ভিডিওগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করা দরকার। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে সেই ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আসলে সকাল বেলা নদীর পাড়ে হাঁটাহাঁটি করতে যে এতো ভালো লাগে, সেটা আমার জানা ছিলো না। কারণ সবসময় বিকেল বেলা নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া হয়। শীতের সকাল আসলেই খুব সুন্দর। তার মধ্যে যদি আশেপাশে এমন মনোরম দৃশ্য থাকে, তাহলে তো ভালো লাগা অনেকাংশে বেড়ে যায়। নদীতে মোটামুটি স্রোত ছিলো, তাই কচুরিপানা গুলো খুব দ্রুত এখান থেকে সেখানে স্থানান্তর হয়ে যাচ্ছিল।

সকাল সকাল ব্রিজের উপর দিয়ে মোটামুটি অনেক গাড়ি ছুটাছুটি করছিল। কাইকারটেক ব্রিজের আশেপাশে বিকেল বেলা প্রচুর মানুষের আনাগোনা থাকে। ব্রিজের উপর বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান থাকে এবং ফুচকার দোকান থাকে অনেকগুলো। তাছাড়া ব্রিজের নিচের দিকে জলতরঙ্গ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সবমিলিয়ে সম্পূর্ণ জায়গাটা উপভোগ করার মতো। সকাল সকাল ফ্রেশ বাতাস শরীরে লাগার ফলে সারাদিন বেশ ভালো কেটেছে আমার। যাইহোক ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার আগে থেকেই ভীষণ ভালো লাগতো। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি আমি। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।