পরিবার নিয়ে মাওয়া এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা(২০২৩) ভ্রমণ, (৩য় ও শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি পরিবার নিয়ে মাওয়া এবং বাণিজ্য মেলা ভ্রমণের ৩য় ও শেষ পর্ব নিয়ে। আগের পর্বে আপনারা পড়েছিলেন মাওয়া ঘাটে একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে, গাড়িতে উঠে পূর্বাচলে অবস্থিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যেতে যেতে রাস্তায় দু-একটা ফটোগ্রাফি করলাম। রাস্তায় কিছুটা জ্যাম ছিল তাই বাণিজ্য মেলায় পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। সেখানে পৌছানোর পর গাড়ি পার্কিং করে, বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করার জন্য, প্রবেশ টিকেট কিনতে গেলাম।
টিকেট কিনতে গিয়ে জানতে পারলাম যে টিকেটের মূল্য ৪০ টাকা। কিন্তু বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলে ৫০% ক্যাশব্যাক অফার রয়েছে। কিন্তু একটা মোবাইল নম্বর থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। তাই আমার মোবাইল দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট করে ৩টি টিকেট কিনলাম ১২০টাকা দিয়ে আর অন্য মোবাইল দিয়ে ২টি টিকেট কিনলাম ৮০ টাকা দিয়ে। তারপর সাথে সাথে ক্যাশব্যাক চলে আসলো ১০০ টাকা। এরপর টিকেট সংগ্রহ করে বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করলাম। ভিতরে ঢুকে দেখলাম যে মানুষের ভিড় অনেক, কারণ সেদিন শনিবার ছিল, আর শনিবার যেহেতু সরকারি ছুটির দিন তাই ভিড় হওয়াটা স্বাভাবিক।
যাইহোক আমি বাণিজ্য মেলার সৌন্দর্য অবলোকন করলাম এবং আশেপাশের কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। কৃত্রিম ঝর্ণা ছিল সেখানে এবং ঝর্ণার পানি বিভিন্ন কালারের রং ধারণ করছিল লাইটিং এর জন্য, যা দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। সেই জায়গায় প্রচুর মানুষ ছিল আর সবাই ফটোগ্রাফি নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমিও কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম সেখানে দাঁড়িয়ে। তারপর চলে গেলাম শপিং এর উদ্দেশ্যে। প্রথমে আমরা গেলাম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের ভিতরে থাকা স্টল গুলোতে।
প্রথমে হাতিল এর ফার্নিচারের স্টলে ঘুরলাম এবং তারপর পর্যায়ক্রমে আখতার ফার্নিচার,ব্রাদারস ফার্নিচার এবং নাদিয়া ফার্নিচার এর স্টল গুলোতে ঘুরলাম। কারণ কিছুদিন পর কয়েক ধরনের ফার্নিচার কিনতে হবে, আর সেজন্য টুকটাক আইডিয়ার জন্য ফার্নিচারের স্টলে একটু ঘুরাঘুরি করলাম। তারপর চলে গেলাম আমার আম্মু এবং শাশুড়ীর জন্য কাশ্মীরী শাল কিনতে ইন্ডিয়ান স্টলে।
কয়েকটি স্টল ঘুরে ২টি কাশ্মীরী শাল পছন্দ করলাম। তারপর অনেক দামাদামি করে ৪০০০টাকা দিয়ে ২টি কাশ্মীরী শাল কিনলাম এবং আমার ওয়াইফ এর জন্য সেই স্টল থেকেই ১৪০০ টাকা দিয়ে একটি ইন্ডিয়ান টু পিস কিনলাম। তারপর সেখানে আরও কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে টুকিটাকি আরও অনেক কিছু কিনলাম। তারপর এক্সিবিশন সেন্টার থেকে বের হয়ে বাহিরের কয়েকটি স্টল ঘুরলাম। বাহিরের স্টল থেকে আমার আম্মুর জন্য একটি থ্রি পিস কিনলাম ১৪৫০ টাকা দিয়ে এবং আমার ওয়াইফ এর জন্য ২টি থ্রি পিস কিনলাম।
তারপর শীতের কাপড় কেনার জন্য একটি স্টলে ঢুকলাম। সেখান থেকে আমার ওয়াইফ এবং ভাতিজির জন্য সোয়েটার কিনলাম। অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর দেখলাম যে রাত আটটা বেজে গিয়েছে। তারপর আমরা বাণিজ্য মেলা থেকে বের হয়ে গেলাম এবং ড্রাইভারকে ফোন করলাম গাড়ি নিয়ে আসার জন্য। তারপর আমরা গাড়িতে উঠে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এবং রাত ৯টার দিকে বাসায় পৌছলাম।
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২২.১.২০২৩ |
স্থান | w3w |
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বলতে এমন একটি স্থানকে বোঝায় যেখানে অনেক প্রকার পণ্য সামগ্রী দেখতে পাওয়া যায় এবং তার দ্রব্যমূলের দাম জানতে পাওয়া যায়। যেখানে সুন্দর ভাবে সাজানো হয় অনেক কিছু। অনেক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। পরিবার পরিজন নিয়ে মাওয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ঘুরে এসেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া বাণিজ্য মেলায় অনেক প্রকার পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায় এবং বেশ সাজানো গোছানো থাকে। আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।