📸ফটোগ্রাফি পোস্ট📸 || জাতীয় জাদুঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর ফটোগ্রাফি (চতুর্থ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে জাতীয় জাদুঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর ফটোগ্রাফি (চতুর্থ পর্ব) শেয়ার করবো। এই পর্বে আমি কয়েকটি পশুপাখি এবং জীবজন্তুর নমুনার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। এর মধ্যে রয়েছে কয়েক ধরনের পাখি এবং সুন্দরবনের বাঘের নমুনার ফটোগ্রাফি। হঠাৎ করে দেখলে মনে হয় সবকিছু সত্যিকারের। জাতীয় জাদুঘরে এইসব কিছুর প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা দরকার। আমাদের দেশের গুণী শিল্পীদের এতো সুন্দর সুন্দর কাজ যে কাউকে মুগ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে সুন্দরবনের বাঘের নমুনার প্রদর্শনীর ফটোগ্রাফি। শুনেছি সুন্দরবন নাকি খুব সুন্দর। তবে কখনো যাওয়া হয়নি আমার। কিন্তু ইউটিউবে সুন্দরবনের অনেক ভিডিও দেখেছিলাম। হঠাৎ করে দেখলে মনে হয় একেবারে সত্যিকারের দুটি বাঘ। তাছাড়া গাছগাছালি গুলো দেখেও একেবারে জীবন্ত মনে হচ্ছে। প্রদর্শনীটি দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে আমাদের অতি পরিচিত একটি পাখি যার নাম হচ্ছে ময়ূর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রজাতির ময়ূর দেখা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন রংয়ের ময়ূর রয়েছে সারা পৃথিবীতে। ময়ূরের পেখম দেখতে সত্যিই খুব সুন্দর লাগে। এই ফটোগ্রাফিটা আমি একেবারে নিচে থেকে করেছিলাম। যাতে করে সম্পূর্ণ ময়ূরের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করা যায়।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে বক পাখি। সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির বিভিন্ন রংয়ের বক পাখি দেখা যায়। বক পাখি ছোট ছোট মাছ খেয়ে, ব্যাঙ খেয়ে এবং বিভিন্ন ধরনের জলজ পোকা খেয়ে বেঁচে থাকে। তবে আমার কাছে সাদা রংয়ের বক পাখি দেখতে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
২নং ফটোগ্রাফির বর্ণনায় আমি বলেছিলাম সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন রংয়ের ময়ূর রয়েছে। তার মধ্যে এটা হচ্ছে ভিন্ন ধরনের এবং খুব কিউট একটি ময়ূর পাখি। ছোটবেলায় বইয়ের মধ্যে ময়ূরের পেখম রেখে দিতাম এবং অনেক দিন পর দেখতাম বাচ্চা দিয়েছে কিনা 😂। আপনারাও এমন করেছেন কিনা সেটা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই পাখির নাম আমার জানা ছিলো না। কারণ এই পাখি আমি কখনো দেখেছি বলে আমার মনে হয় না। গুগল লেন্সে সার্চ দিয়ে জানতে পারলাম এই পাখির নাম হচ্ছে স্কোয়াকো হেরন। পাখিটিকে দেখে একেবারে জীবন্ত মনে হচ্ছে এবং পাতা গুলো দেখতেও জীবন্ত লাগছে।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে ভুবন চিল এর নমুনার ফটোগ্রাফি। এগুলো নাকি শিকারী পাখি। এরা সাধারণত মাছ এবং বিভিন্ন পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে। ভুবন চিলের ঠোঁট কালচে ধরনের হয়ে থাকে। এই প্রদর্শনীটি দেখতে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল। কারণ ভুবন চিল এর তাকানোর স্টাইলটা আমার কাছে দারুণ লেগেছিল এবং একেবারে বাস্তব মনে হয়েছিল।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই হলুদ রংয়ের পাখির নাম হচ্ছে বেনে বউ পাখি। এদের মাথার রং হচ্ছে কালো। ছোটবেলায় এই পাখি অনেক দেখতাম। তবে দিন দিন যেন এই পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আগে গ্রামাঞ্চলের আনাচে কানাচে বিভিন্ন জায়গায় এই পাখির ডাক শোনা যেতো। এই হলদে রংয়ের পাখিটি দেখতে দারুণ লাগতো।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৪.৫.২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে একদম বাস্তবের পশউ-পআখই। আপনার জাতীয় জাদুঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন বেশি সময় থাকিনি তারজন্য এতসব প্রদর্শনী দেখার সুযোগ হয়নি। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম আপু। তবে আপনার কমেন্টের প্রথম লাইনে বানান ভুল রয়েছে। আশা করি ঠিক করে নিবেন। যাইহোক অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
এরকম আমিও করতাম ছোটবেলায়। হা হা হা... তারপর আবার মাঝেমধ্যে চক এর গুড়ো খেতে দিতাম।
উপরের দিকে সবগুলো পশু-পাখি আমার চেনা, ওগুলো সামনাসামনি দেখেছি। তবে সাত নম্বর ফটোগ্রাফি যেটাকে আপনি বেনে বউ পাখি বললেন ওটা আমি প্রথমবার দেখলাম।
ভাই আপনি তো দেখছি সবার চেয়ে এক ডিগ্রী উপরে। চকের গুড়ো খেতে দিতেন 🤣🤣🤣। আমার তো হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। আপনি পারেনও ভাই। বেশ হাসলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এটা সবার অভ্যাস ছিল। ছোটবেলায় ময়ূরের পালক গুলো বইয়ে রেখে দেয়া হতো। কয়েক দিন পর পর চেক করা হতো বাচ্চা দিয়েছে কিনা। সত্যি এই কথাগুলো মনে পড়লে এখনো ভীষণ ভালো লাগে। বেশ কয়েক রকমের পশু পাখির ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেগুলো দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। উপরে উল্লেখ করা প্রত্যেকটা পশু পাখি আমার দেখা। প্রত্যেকটা পশুপাখি আমি দেখেছি। আপনি বর্ণনা সহকারে
আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরলেন দেখে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু, সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার খুব ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জাতীয় জাদুঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীয় ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আজকে চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছেন ভালোই উপভোগ করলাম। আপনি উপরে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন পশু পাখির সেগুলো আমার খুবই পরিচিত। সরাসরি অনেকবার দেখেছি এই পশু পাখিগুলো। আসলেই ময়ূরের পালক সবাই আগে বইয়ে রাখত বাচ্চা দিবে বলে। এই বিষয়টা কিন্তু অনেক মজার ছিল। যাই হোক প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে দেখে খুবই সুন্দরভাবেই তুলে ধরলেন।
অন্যান্য পর্বের মতো আপনি এই পর্বটিও বেশ উপভোগ করেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।