লাইফস্টাইল পোস্ট || বন্ধুর বাসার ছাঁদে থার্টি ফার্স্ট নাইটে পিকনিক করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত রবিবার অর্থাৎ থার্টি ফার্স্ট নাইটে আমরা বন্ধু বান্ধব এবং পরিচিত ভাই ব্রাদার সহ মোট ১১ জন পিকনিক করেছিলাম। আমাদের বন্ধু আলামিনের বাসার ছাঁদে আমরা পিকনিক করেছিলাম। আমার বাসা থেকে একেবারে কাছাকাছি তার বাসা। যাইহোক আমরা সেদিন সকাল বেলা ৩ কেজি খাসির মাংস কিনলাম প্রথমে। আমাদের সামনেই জবাই করা হয়েছিল খাসিটি। তাই এমন তাজা মাংস পাওয়ার সাথে সাথেই কিনে নিলাম। এরপর দুই কেজি বাসমতি চাল সহ আরও প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র কিনে নিলাম। তারপর ৩ টা সোনালী মুরগি কিনলাম প্রায় ৩ কেজির মতো হয়েছিল ৩ টা মুরগির ওজন।
আমাদের প্ল্যান ছিলো বাসমতি চাল ও খাসির মাংস দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি তৈরি করার এবং ৩ টি মুরগি দিয়ে চিকেন ফ্রাই করার। যেহেতু আমরা ১১ জন ছিলাম, আমাদের সবার জন্য একেবারে পারফেক্ট আয়োজন ছিলো। যাইহোক আরও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে এক বন্ধুর কাছে সবকিছু দিয়ে দিলাম এবং বললাম বাসায় নিয়ে গিয়ে মাংস মেরিনেট করে রাখার জন্য। এরপর আমরা যার যার বাসায় চলে গেলাম। সবাইকে বলে রাখলাম সন্ধ্যার পরপরই যেন আলামিনের বাসার ছাঁদে চলে যায়। কারণ কাচ্চি বিরিয়ানি এবং চিকেন ফ্রাই ছাঁদে রান্না করা হবে। যাইহোক সবাই বলেছিল যে বোরহানির ব্যবস্থা যেন করা হয়।
এরপর আমি কয়েকটি বিরিয়ানির দোকানে খোঁজাখুঁজি করেও বোরহানি পেলাম না। কারণ শীতকালে বোরহানি এমনিতেও একটু কম চলে। তাই বোরহানি পেতে একটু সমস্যা হয়েছিল। যাইহোক অবশেষে টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে বোরহানি পেলাম, তবে বোরহানি দেখে মনে হল একেবারে পাতলা। কিছুই করার ছিলো না,তাই ৩ লিটার বোরহানি কিনলাম ৬০০ টাকা দিয়ে। তারপর বোরহানি বাসায় এনে ফ্রিজে রেখে দিলাম। তারপর আমি সন্ধ্যার পর ওয়াইফকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছিলাম,তাই সবাইকে ফোন দিয়ে বললাম আয়োজন শুরু করতে। আর বললাম যে আমি হসপিটাল থেকে এসে সবার সাথে জয়েন করবো। যাইহোক আমাদের ৬ নম্বর সিরিয়াল থাকলেও,ডক্টর দেখাতে দেখাতে ৮ টার উপরে বেজে যায়।
কারণ ডক্টর আসতে অনেক দেরি করেছিল। যাইহোক হসপিটাল থেকে আমরা বাসায় এসে, আমি বোরহানি নিলাম ফ্রিজ থেকে এবং দোকান থেকে ৫/৬ প্যাকেট চিপস কিনে আলামিনের বাসার ছাঁদে চলে গেলাম। গিয়ে দেখলাম রান্না চলছে এবং মোটামুটি শেষ পর্যায়ে। একটা ব্লুটুথ সাউন্ড বক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল গান বাজানোর জন্য। সবাই বেশ মজা করছিল এবং বিভিন্ন ধরনের মজার গান বাজানো হচ্ছিল। একদিকে রান্না চলছে এবং অপরদিকে আমরা হৈ হুল্লোড় করছিলাম। আসলে এভাবে সময় কাটাতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক কাচ্চি বিরিয়ানি এবং চিকেন ফ্রাই তৈরি করতে করতে রাত প্রায় ১০ টা বেজে যায়। তারপর আমরা খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম।
খাবার বেশ সুস্বাদু হয়েছিল এবং আমরা সবাই ভরপেট খাওয়া দাওয়া করলাম। আমরা খাওয়ার পরেও অবশিষ্ট কাচ্চি বিরিয়ানি ছিলো আরও। তারপর ২ বন্ধুর বাসায় নিয়ে যেতে বললাম কাচ্চি বিরিয়ানি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম। কারণ ১০.৩০ টা বাজে আমাদের স্পেশাল হ্যাংআউট ছিলো। যদিও সেখানে থাকা অবস্থায় হ্যাংআউটে জয়েন করেছিলাম। বাসায় আসতে আসতে রাত প্রায় ১১ টা বেজে যায়। যাইহোক থার্টিফার্স্ট নাইটে পিকনিক করে আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হয় বাজি ফুটিয়ে নতুন বছরের আনন্দ না করে, এভাবে পিকনিক করাটা ভালো। কারণ বাজি পোড়ানোর ফলে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে অনেক সময়। তাছাড়া বায়ুদূষণ এবং শব্দদূষণ তো হয়েই থাকে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৫.১.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
বাহ চমৎকার । ভাইয়া আপনি দেগছি থ্রাটি ফ্রাস্টে বন্ধুর ছাদে দারুন ভাবে পিকনিক করে একটা দুর্দান্ত সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া পিকনিক এর এমন মজার সময় টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই বন্ধুদের সাথে এভাবে পিকনিক করতে খুব ভালো লাগে। আমরা চমৎকার সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Twitter Link
৩১শে ডিসেম্বরের এই রাতে পিকনিক করার মধ্যে যেন অন্য রকমের একটা মজা রয়েছে। প্রত্যেক বছর আমরা ও এই দিনটাতে পিকনিক করি। সত্য কথা বলতে বন্ধুদের সাথে রাতের বেলায় পিকনিক করার মজাটা অনেক বেশি।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, বন্ধুদের সাথে রাতের বেলা এভাবে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করা যায়। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
থার্টি-ফাস্টের নাইটে সবাই প্রায় পিকনিক করেছেন।আসলে পিকনিক খেতে বেশ ভালোই লাগে আর সে পিকনিক যদি হয় কোন সুন্দর দিনে তাহলে তো আনন্দ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।আপনাদের পিকনিকের মজার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পাচ্ছি অনেক মজা করেছেন। খাবারও তো ভীষণ লোভনীয় ছিলো সব।সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মূহুর্তের ফটোগ্রাফি ও অনুভুতি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, বিশেষ দিনে পিকনিক করলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। খাবারগুলো বেশ ইয়াম্মি লেগেছিল খেতে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সব বন্ধুরা মিলে তো দেখছি বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আসলে বিশেষ দিনগুলোতে সবাই মিলে পিকনিক করলে বেশ ভালো লাগে। যদিও এবার আমাদেরও প্লান ছিল পিকনিক করার। কিন্তু আমার পাশের বাসার এক বাবু অসুস্থ ছিল তাই আর করা হয়ে ওঠেনি। যাইহোক ভাইয়া আপনার কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসলে আশেপাশের কেউ অসুস্থ থাকলে,সেভাবে মজা করা যায় না। আর মনের মধ্যে খারাপ লাগা ও কাজ করে। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।