প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। বেশ কিছুদিন আগে বাজারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনেছিলাম। আজকে সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক আমাদের দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেশি যে,বাজারে গেলেই পকেট ফাঁকা হতে সময় লাগে না। এতে করে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তরা আসলেই বেশ বিপাকের মধ্যে রয়েছে। যাইহোক আমি সাধারণত মাছ কিনতে গেলে ৫/৬ ধরনের মাছ কেনার চেষ্টা করে থাকি। কারণ প্রতিদিন বাজারে যেতে আমার এমনিতেই ভালো লাগে না, তাছাড়া ব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন যাওয়ার সুযোগও হয়ে উঠে না।

যাইহোক সেদিন বাজারে যাওয়ার আগে আমার ওয়াইফ এর কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কি কি মাছ কিনবো। তো সেই অনুযায়ী মাছ কেনার চেষ্টা করেছিলাম। প্রথমেই বাজারে গিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করে দেখার চেষ্টা করলাম বাজারে কি কি মাছ আছে। কিন্তু সেদিন দেখলাম বাজারে নদীর মাছ তেমন ছিলো না। এমনিতেও আমাদের এই মাছ বাজারে নদীর মাছ খুবই কম পাওয়া যায়। যাইহোক তারপর প্রথমে আমার ওয়াইফ এর সবচেয়ে পছন্দের চিংড়ি মাছ কেনার জন্য দাম জিজ্ঞেস করলাম। সেদিন দেখলাম বিভিন্ন সাইজের চিংড়ি মাছ রয়েছে বাজারে। তবে আমাদের বাসায় সাধারণত একেবারে বড় সাইজের চিংড়ি মাছের চেয়ে, মিডিয়াম সাইজের চিংড়ি মাছ বেশি পছন্দ করে থাকে। তো সেই অনুযায়ী আমি মিডিয়াম সাইজের ১ কেজি চিংড়ি মাছ কিনলাম ৮০০ টাকা দিয়ে।

তারপর সেই দোকান থেকেই ১ কেজি পাবদা মাছ কিনলাম ৫০০ টাকা দিয়ে। এরপর একই দোকান থেকে এক কেজি পোয়া মাছ কিনলাম ৪৫০ টাকা, ১ কেজি লাল চেউয়া মাছ কিনলাম ৩০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম কাঁচকি মাছ কিনলাম ৩০০ টাকা দিয়ে। সেই দোকান থেকেই ৫ ধরনের মাছ কিনেছিলাম সেদিন। আসলে সেই দোকানের মাছগুলো বেশিরভাগ সময়ই খুব ভালো হয়। তাই আমি সেই দোকান থেকে সবসময়ই মাছ কেনার চেষ্টা করে থাকি। যাইহোক এরপর আমি চিন্তা করলাম রুই মাছ এবং তেলাপিয়া মাছ কিনবো। তারপর একটি দোকানে গিয়ে ২ কেজি তেলাপিয়া মাছ কিনলাম ২৫০ টাকা কেজি অর্থাৎ ৫০০ টাকা দিয়ে। এরপর একটি দোকানে গিয়ে রুই মাছ দামাদামি করলাম। সেই দোকানদার প্রথমে ৩৬০ টাকা কেজি দাম চাইলেও, শেষ পর্যন্ত ৩৩০ টাকা কেজি দিতে সম্মত হলেন। সেই রুই মাছের ওজন হয়েছিল ২.৫ কেজির উপরে অর্থাৎ ৮৬৫ টাকা দিয়ে রুই মাছটি কিনেছিলাম।

আসলে ছোট সাইজের রুই মাছ খেতে তেমন স্বাদ লাগে না বিধায়, আমি একটু বড় সাইজের রুই মাছ কেনার চেষ্টা করি। যাইহোক মোট ৭ ধরনের মাছ কেনার পর,মাছগুলো কাটানোর জন্য গেলাম। তারপর বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রুই মাছ, তেলাপিয়া মাছ, পাবদা মাছ এবং পোয়া মাছ সেখানকার লোকের মাধ্যমে কেটে নিলাম ২০০ টাকা দিয়ে। কারণ আমার ওয়াইফ মাছ একেবারেই কাটতে পারে না। শুধুমাত্র চিংড়ি মাছ, কাঁচকি মাছ এবং লাল চেউয়া মাছ কেটে নেইনি সেদিন। যাইহোক মাছ কিনে কেটে নেওয়ার পর,কক মুরগি কিনতে গেলাম। তারপর প্রতি কেজি ২৮০ টাকা করে মোট ২ কেজি কক মুরগি কিনে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনতে কিনতে পকেট থেকে কখন যে ৪/৫ হাজার টাকা বের হয়ে গিয়েছে, সেটা টেরই পাইনি। এই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।