প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি করেছিলাম ইনানী বিচ থেকে। ইজি বাইকে চড়ে লাল কাঁকড়ার চর থেকে আমরা যখন ইনানী বিচের মেইন স্পটে যাচ্ছিলাম, তখন আমি সমুদ্র এবং আশেপাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের ভিডিওগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। ইজি বাইকে থাকা অবস্থায় ফুরফুরে বাতাস এসে শরীরে লাগছিল এবং শরীরটা একেবারে শীতল হয়ে যাচ্ছিল। প্রচন্ড রোদ ছিলো এমনিতে, কিন্তু বাতাস থাকায় শরীরে রোদ সেভাবে লাগছিল না। যাইহোক ইনানী বিচের মেইন স্পটে গিয়ে ইজি বাইক থেকে নেমে,আবারও ভিডিওগ্রাফি করা শুরু করলাম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে ইনানী বিচ আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ। কারণ ইনানী বিচে অনেক সুন্দর সুন্দর নৌকা দেখা যায়।

তাছাড়া লাবণী বিচ এবং সুগন্ধা বিচের পানির চেয়েও ইনানী বিচের পানি খুব সুন্দর। পানির রং হালকা নীল রঙের। ইচ্ছে ছিলো ইনানী বিচে গোসল করার,কিন্তু প্রস্তুতি ছিলো না বিধায় করা হয়নি। অনেকে দেখলাম সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল করছিল। ইজি বাইকের ড্রাইভার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। কারণ সেখানে ঘুরাঘুরি করার পর, ইজি বাইকে করে আমাদেরকে নামিয়ে দিবে মেইন রাস্তার কাছাকাছি। কারণ সমুদ্র সৈকতের বেশ কয়েক জায়গায় অনেক পানি ছিলো, তাই হেঁটে যাওয়া সম্ভব ছিলো না। আপনারা যারা ইনানী বিচে গিয়েছেন, তারা ব্যাপারটা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। যাইহোক ভিডিওগ্রাফি শেষ করে ৫/৬ মিনিট সেখানে দাঁড়িয়ে, সমুদ্রের গর্জন এবং পানির সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। বড় বড় ঢেউ গুলো দেখতে আসলেই দারুণ লাগছিল। যাইহোক সেখান থেকে ইজি বাইকে চড়ে, মেইন রাস্তার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম।

ভিডিওগ্রাফি শেষ করে কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড দূর করে কোনো গান অ্যাড করে দিতে পারতাম। তাহলে আপনারা সমুদ্রের গর্জনের সাউন্ড মিস করতেন। সেটা ভেবেই আমি অরিজিনাল সাউন্ড রেখে দিয়েছি। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।