ভিডিওগ্রাফি পোস্ট || বিআইডব্লিউটিসি ডকইয়ার্ডে থাকা জাহাজে বসে শীতলক্ষ্যা নদীর সৌন্দর্য অবলোকন
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়। এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি করেছিলাম কয়েকদিন আগে বিকেল বেলা। পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন ডুবে ডুবে ভাব,ঠিক তখন আমি এই ভিডিওগ্রাফিটা করেছিলাম। আমাদের বাসা থেকে বিআইডব্লিউটিসি ডকইয়ার্ড নং ২ মোটামুটি কাছাকাছি।
ভিডিওগ্রাফি থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
আমরা মাঝেমধ্যে বিকেলে সেখানে গিয়ে জাহাজে উঠে শীতলক্ষ্যা নদীর সৌন্দর্য অবলোকন করার চেষ্টা করি। এই ডকইয়ার্ড এ জাহাজ মেরামত করা হয় এবং সবসময়ই কমবেশি জাহাজ থাকে এখানে। তো আমরা যেদিন গিয়েছিলাম পাশাপাশি ৩টা জাহাজ ছিলো এবং আমরা দুটি জাহাজ অতিক্রম করে, তৃতীয় জাহাজে চলে গেলাম এবং সেখানে বসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। মূলত বিকেলে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে খুব লাগে আমার। আবার যদি জাহাজে বসে বাদাম খেতে খেতে গল্প করা যায় বন্ধু বান্ধবদের সাথে, তাহলে সেই ভালো লাগা অনেকাংশে বেড়ে যায়। নদীতে বেশ স্রোত ছিলো সেদিন। কচুরিপানা গুলো মূহুর্তের মধ্যেই এক দিক থেকে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। লঞ্চ এবং ট্রলার যাতায়াত করছিল।
ডকইয়ার্ড এর বিপরীত পাশে অর্থাৎ নদী পাড় হয়ে পশ্চিম দিকে গেলেই আদমজী ইপিজেড অবস্থিত। আদমজী ইপিজেড এর পাশে আরও কয়েকটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী রয়েছে। আদমজী ইপিজেড বেশ কয়েক বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। আগে এই জায়গায় আদমজী জুট মিল ছিলো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল বিধায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি জায়গায় লাইট অন করে দিয়েছিল। লাইটিং এর কারণে তখন মনে হচ্ছিল নদীর সৌন্দর্য আরো বেড়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে পুরোটা সময় বেশ উপভোগ করেছি। তাই ভাবলাম এই সুন্দর মূহুর্তের ভিডিওগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করলে সেই ভালো লাগা আরও বেড়ে যায়। যাইহোক আমি ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
👇ভিডিওগ্রাফির লিংক👇
ভিডিওগ্রাফিটা ইনশট অ্যাপ দিয়ে এডিট করা হয়েছে
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
ভিডিওগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২১.১০.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
ভালো লাগার মত সুন্দর একটি ভিডিও আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে নদীর বুকের অপরূপ দৃশ্য গুলো আপনার ভিডিওর মাঝখানে উঠে এসেছে। খুবই ভালো লাগলো শীতলক্ষ্যা নদীর এই সুন্দর দৃশ্য আপনার ক্যামেরাবন্দি হয়ে আমাদের চোখে আসতে দেখে। মনে হচ্ছে যেন আমিও ক্যামেরার পাশে অবস্থান করছিলাম আর স্বচক্ষে সব দেখছিলাম।
এমন পরিবেশে বিকেল বেলা সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আশুগঞ্জ থাকতে নদীতে জাহাজে গিয়ে সময় কাটানো হত। আপনি দারুণ সময় কাটিয়েছেন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে। জাহাজের উপর বসে আড্ডা দিতেও ভালো লাগে। সাথে বাদাম থাকলে ভালো জমে যায়
আসলেই ভাই জাহাজে বসে সময় কাটাতে দারুণ লাগে। ফুরফুরে বাতাস এসে শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দেয়। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি আমরা। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এমনিতেই নদীর সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে, কারন আমার শৈশব কেটেছে নদীর তীরেই।আপনার ভিডিওগ্রাফিটি সুন্দর ছিল ভাইয়া।জাহাজে বসে বাদাম খেতে খেতে বন্ধুর সঙ্গে দারুণ সময় পার করেছেন আশা করি।তাছাড়া ভবনগুলোর রঙিন আলো নদীর জলের মাঝে ঠিকরে পড়েছে দেখে মুগ্ধ হলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শৈশব কেটেছে নদীর তীরে, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। নদী আমার খুবই পছন্দ। বিকেল বেলা নদীর পাড়ে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।