ডাই পোস্ট || ফুলের ওয়ালমেট তৈরি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করবো। আমাদের কমিউনিটিতে অনেকেই খুব সুন্দর সুন্দর ডাই পোস্ট প্রতিনিয়ত আমাদেরকে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। সবার ডাই পোস্ট দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়ে ফুলের ওয়ালমেট তৈরি করার চেষ্টা করেছি। ডাই সম্পন্ন করার পর দেখতে দারুণ লেগেছে আমার কাছে। এই ধরনের ওয়ালমেট দেয়ালে লাগিয়ে রাখলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। ওয়ালমেটটি আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে আমি পুঁতি ব্যবহার করেছি। মোটকথা যতটা সম্ভব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। যাইহোক ধাপে ধাপে আমি ওয়ালমেট তৈরির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে। আপনারা চাইলে এমন ওয়ালমেট তৈরি করে বাসার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন।
ফুলের ওয়ালমেট তৈরি
- রঙিন কাগজ
- সাদা কাগজ
- কাঁচি
- আঠা
- পুঁতি
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরুপঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে সাদা কাগজ পেঁচিয়ে আঠা দিয়ে লাগিয়ে কয়েকটি স্টিক তৈরি করে নিলাম, ওয়ালমেট এর ফ্রেম তৈরি করার জন্য।
দ্বিতীয় ধাপ
স্টিক গুলো আঠা দিয়ে লাগিয়ে ফ্রেম বানিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
ফুল তৈরি করার জন্য অনেক গুলো চতুর্ভুজ আকৃতির রঙিন কাগজ কেটে নিলাম। তারপর ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবে কাগজ ভাজ করে নিলাম কাঁচি দিয়ে কেটে ফুল তৈরি করার জন্য।
চতুর্থ ধাপ
কাঁচি দিয়ে কাগজ কেটে নেওয়ার পর ফুল তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরপর একটি ফুুলের উপর আরেকটি ফুল আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিলাম। এভাবে করে কয়েকটি ফুল তৈরি করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
তারপর ফ্রেম এর মধ্যে ফুল গুলো লাগিয়ে নিলাম এবং ফুল গুলোর মাঝখানে কয়েকটি পুঁতি লাগিয়ে দিলাম ওয়ালমেট এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য।
ষষ্ঠ ধাপ
তারপর রঙিন কাগজ ভাজ করে কাঁচি দিয়ে কেটে পাতা বানিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
তারপর সবগুলো ফুলের নিচে পাতাগুলো আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিলাম এবং ফ্রেম এর মধ্যে কয়েকটি পুঁতি লাগিয়ে দিলাম ওয়ালমেটটি আরো আকর্ষণীয় করার জন্য।
সর্বশেষ ধাপ
ব্যাস এভাবেই সম্পন্ন করে ফেললাম ফুলের ওয়ালমেটটি।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ডাই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৭.৬.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
অসাধারণ একটি ফুলের ওয়ালমেট শেয়ার করেছেন। এটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি ফুলের ওয়ালমেট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ওয়ালমেটটি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন,জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম আপু। এমন প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া রঙিন কাগজ দিয়ে সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন ধরনের জিনিস তৈরি করলে অনেক সুন্দর দেখায়। আমি এই রকম কয়েকটি ওয়ালমেট তৈরি করে দেওয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছি। দেখতে বেশ ভালো লাগে দেখতে। আপনি খুব যত্ন নিয়ে তৈরি করেছেন যা দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনি এই রকম কয়েকটি ওয়ালমেট তৈরি করে দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আজ আপনি আমাদের কাগজ দিও অসাধারণ কাগজের ওয়ালমেট তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার এই কাগজের তৈরি ওয়ালমেট দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি এবং নতুন কিছু তৈরি করা শিখতে পেরেছি আপনার এই পোস্ট দেখে। একটা তৈরি করার প্রত্যেকটা পর্যায় আমার কাছে ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি অলমেট তৈরি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ওয়ালমেটটি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন,জেনে খুব খুশি হলাম ভাই। অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।