আলুর দমের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। নতুন আলু দিয়ে আলুর দম তৈরি করে খেতে আমার খুব ভালো লাগে। বিকেলের নাস্তায় আলুর দম আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। গতকাল বিকেলে আমি আম্মুকে বললাম যে আলুর দম বানাতে। তারপর আম্মু আমার কথা অনুযায়ী আলুর দম বানানো শুরু করে। আম্মু যখন আলুর দম বানাচ্ছিলো, তখন পাশে থেকে আমি ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। আলুর দম বানানো হওয়ার পর গরম গরম পরিবেশন করল।
আলুর দম খেতে এতোটা সুস্বাদু লেগেছিল, যে আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারছি না। যাইহোক আলুর দমের রেসিপিটা আপনাদের সাথে আমি ধাপে ধাপে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা এই রেসিপিটার ধাপগুলো দেখে খুব সহজে বাসায় তৈরি করে খেতে পারবেন। আশা করছি এই পোস্টটি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- আলু ১ কেজি
- পেঁয়াজ ৪টা
- কাঁচামরিচ ৪টা
- ধনিয়া পাতা পরিমাণ মতো
- জিরার গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- হলুদের গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- মরিচের গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- আদা বাটা পরিমাণ মতো
- রসুন বাটা পরিমাণ মতো
- লবণ পরিমাণ মতো
- তেল পরিমাণ মতো
প্রথমে চুলার উপরে একটি কড়াই বসিয়ে দিল। একটু পর কড়াই গরম হলে, পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিল। তেল একটু গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিল।
কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর পেঁয়াজ হালকা বাদামী কালার ধারণ করল।
তারপর পরিমাণ মতো হলুদ-মরিচের গুঁড়ো এবং আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিল।
সবগুলো মসলা একসাথে কিছুক্ষণ কষিয়ে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিল।
এরপর আগে থেকে কেটে রাখা আলুর টুকরো গুলো দিয়ে দিল।
আলুর টুকরো গুলো মসলার সাথে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিল।
তারপর প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে দিল।
এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিল কিছুক্ষণের জন্য।
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে দেখল পানি অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। তারপর আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিল কিছুক্ষণের জন্য।
একটু পর ঢাকনা খুলে দেখল পানি শুকিয়ে গিয়েছে, তারপর কাঁচামরিচ এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে দিল। তারপর ২মিনিটের জন্য আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিল।
২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে জিরার গুঁড়ো দিয়ে দিল। ব্যাস এভাবেই আলুর দম তৈরি হয়ে গেল।
তারপর বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করল।
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৩১.১.২০২৩ |
আলুর দম রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো,সকাল সকাল এমন রেসিপি দেখে কার না লোভ লাগে। আপনার রেসিপির কালার টা অনেক সুন্দর এসেছে। প্রতি টি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মরিচের গুঁড়ো একটু বেশি দেওয়াতে রেসিপির কালারটা সত্যিই খুব সুন্দর এসেছে। প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আলুর দম রেসিপির কালার দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।আপনি বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন রান্নার ধাপগুলো।এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
রেসিপিটা খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু লেগেছিল। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আম্মুর হাতে তৈরি করা আলুর দম রেসিপি দারুন হয়েছে। আসলে আলুর দম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম আছে। বিশেষ করে নতুন আলু দিয়ে আলুর দম তৈরি করলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। সাথে যদি গরম গরম পরোটা হয় তাহলে আরো জমে যায়। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, আলুর দম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। গরম পরোটা কিংবা লুচি দিয়ে আলুর দম খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু, এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আলুর দম আমার খুবই ফেভারেট তবে ঝালের পরিমাণটা একটু বেশি হতে হবে।। মাঝে মাঝে আমিও প্রস্তুত করে থাকি এমন রেসিপি তবে গোল গোল ছোট 🥔 খেতে সবথেকে বেশি মজাদার হয়।
আপনার প্রস্তুত করা দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার হয়েছিল।।
আলুর দম ঝাল ঝাল খেতে আমারও খুব ভালো লাগে, সেজন্য রেসিপিটাতে মরিচের গুঁড়ো একটু বেশি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পুরো পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও অনেকদিন পর আলুর দম দেখলাম। আলুর দম আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লুচি দিয়ে আলুর দম খেতে পছন্দ করি। আপনার রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা মজার হয়েছে। এরকম আলুর দাম খেতে সবাই পছন্দ করে।
জি আপু আমিও অনেকদিন পর আলুর দম খেলাম। রেসিপিটা সত্যিই খুব মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
ভাইয়া আপনার করা আলুর দমের রেসিপি দেখে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পরে গেল। আমার আম্মু আমাদের এভাবে রান্না করে খাওয়াতো শুকনা ছিলাম বলে। আমার ভাইয়ারা খেতো আমি খেতে চাইতাম না। 😂অবশ্য এখন ভালো ই লাগে।নিজেও এখন রান্না করি। আপনার উপস্থাপন বেশ ভাল লাগলো। ধন্যবাদ রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তাই নাকি আপু শুকনা ছিলেন বলে আলুর দম খাওয়াতে চাইতো,তাহলে তো ভালোই। আগে তো খেতে চাইতেন না,এখন বেশি বেশি করে খাবেন তাহলে। আপনার মন্তব্য পড়ে খুব মজা পেলাম আপু হাহাহা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।