প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা অনেকেই জানেন যে আমি ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। সময় এবং সুযোগ হলেই ঘুরতে বের হয়ে যাই বিভিন্ন জায়গায়। সেটা বন্ধু বান্ধবদের সাথে হোক,কিংবা পরিবারের সাথে হোক। যাইহোক বেশ কয়েক মাস আগে আমি এবং আমার ওয়াইফ আনন্দ রিভারভিউ পার্ক এন্ড রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে এই পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। কয়েকদিন ধরে খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছি। মোবাইলের গ্যালারি ঘাটাঘাটি করার সময় হঠাৎ ফটোগ্রাফি গুলো চোখে পড়ল। তাই ভাবলাম পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা দরকার। আনন্দ রিভারভিউ পার্ক এন্ড রিসোর্টে যেতে আমাদের বাসা থেকে মোটামুটি ৪০ মিনিটের মতো সময় লাগে।

যাইহোক আমরা দুপুর বেলা লাঞ্চ শেষ করে বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। বাসা থেকে বের হয়ে একটি সিএনজি নিয়ে সরাসরি চলে গেলাম আনন্দ রিভারভিউ পার্ক এন্ড রিসোর্টে। যাওয়ার পর ১০০ টাকা দিয়ে দুটি এন্ট্রি টিকেট নিলাম। তারপর ভিতরে প্রবেশ করার পর দেখলাম মানুষের আনাগোনা খুবই কম। এই পার্কে এর আগেও বন্ধুদের সাথে আমি বেশ কয়েকবার এসেছিলাম। মোটামুটি সবসময়ই মানুষের আনাগোনা খুব কমই থাকে। এই পার্কটি একেবারে নিরিবিলি পরিবেশে করা। এই পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে ৩/৪ বছর আগে। যদিও এখনো এই পার্কের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই পার্কটি নির্মাণ করার অনেক আগে, আমরা ৩/৪ জন বন্ধু মিলে জায়গা কিনে এই পার্কের আশেপাশে একটি পার্ক নির্মাণ করার কথা ছিলো।

জায়গা কেনাও মোটামুটি ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কিছু ঝামেলার জন্য সেটা করা হয়ে উঠেনি। তার বছর খানেক পরেই এই পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এই পার্কের এরিয়া বিশাল বড়। এখানে অনেক মানুষ আসে পিকনিক করতে এবং নিরিবিলি সময় কাটাতে। পার্কটি একেবারে নদীর পাশে হওয়ায়,মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা যায়। তবে এই পার্কে রাইড খুব কম। ধীরে ধীরে হয়তোবা রাইডের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। যাইহোক আমরা কোনো রাইডে উঠিনি। আমরা নদীর পাড়ে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। কারণ বিকেল বেলা নদীর পাড়ে সময় কাটাতে আমার সত্যিই খুব ভালো লাগে। ফুরফুরে বাতাস এসে শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দিচ্ছিল।

সেই অনুভূতিটা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তবে সেখানে স্পিডবোটে চড়ার ব্যবস্থা রয়েছিল। যদিও আমরা স্পিডবোটে চড়িনি সেদিন। সেখানে একটি জাহাজ রাখা ছিলো। জাহাজে উঠে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। জাহাজের একেবারে উপরে উঠার পর আরো বেশি ভালো লেগেছিল। কারণ প্রচন্ড বাতাস বয়ে যাচ্ছিল তখন। আসলে বিকেল বেলা এমন মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। যাইহোক অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর খেয়াল করলাম সন্ধ্যা হয়ে আসছে। তারপর পার্কের ভিতরেই ফাস্ট ফুড খেলাম আমরা। তারপর পার্ক থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসলাম। সবমিলিয়ে পুরোটা বিকেল এককথায় দুর্দান্ত কেটেছে আমাদের।