লাইফস্টাইল পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে শপিং এবং কেএফসি তে খাওয়া দাওয়া করার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে ওয়াইফকে নিয়ে শপিং করতে বের হয়েছিলাম। শপিং শেষ করে পুরানা পল্টনের কেএফসি শাখায় খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। আজকে মূলত সেই অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। যাইহোক আমার ওয়াইফ এর জন্য ড্রেস এবং বোরকা কিনতে প্রথমে গিয়েছিলাম এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর ড্রেস এবং বোরকা তেমন পছন্দ হয়নি বলে,এলিফ্যান্ট রোডের গ্রীন স্মরণিকা শপিং মলে ঢুকলাম। তো প্রথমে আমরা বোরকা কিনতে লেভেল তিনে চলে গেলাম।
যাওয়ার পর কয়েকটি দোকান ঘুরাঘুরি করার পর একটি বোরকা মোটামুটি পছন্দ হলো। তারপর দামাদামি করে ১৬০০ টাকা দিয়ে বোরকাটি কিনলাম। তারপর ড্রেস পছন্দ হয়নি বলে,ওয়াইফ বললো ড্রেস পরবর্তীতে কিনবে। আমরা তারপর গ্রীন স্মরণিকা শপিং মল থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট এর দিকে চলে গেলাম। কারণ আমি ২/৩ টা কলার টি-শার্ট কিনবো। এলিফ্যান্ট রোড থেকেও কলার টি-শার্ট কিনতে পারতাম, কিন্তু নিউমার্কেটে কয়েকটি দোকান রয়েছে, যেখানে মোটামুটি ভালো মানের টি-শার্ট পাওয়া যায়। তো নিউমার্কেটে যাওয়ার পর ৩/৪ টি দোকানে ঘুরাঘুরি করে একটি দোকানে বেশ কয়েকটি কলার টি-শার্ট পছন্দ হলো। তারপর দোকানদারকে বলে এক্সএল সাইজের একটি কলার টি-শার্ট ট্রায়াল দিলাম। ট্রায়াল দেওয়ার পর বেশ ভালোই মনে হয়েছিল।
তারপর তিনটি কলার টি-শার্ট ১৮০০ টাকা দিয়ে নিলাম। এরপর নিউমার্কেট থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে পুরানা পল্টনের কেএফসি শাখায় চলে গেলাম। কারণ আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম কেএফসি তে চিকেন ফ্রাই খাবো। আমার ওয়াইফ বাহিরের খাবার তেমন পছন্দ করে না বলে,১ জনের জন্য যে সেট মেন্যু রয়েছে সেটা অর্ডার করলাম এবং সাথে একটি আলাদা কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার করলাম। সেই সেট মেন্যুর মধ্যে ৪ পিস চিকেন উইংস সহ মুরগির আরও কিছু অংশের ফ্রাই ছিলো, তাছাড়া ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং এক গ্লাস কোল্ড ড্রিংকস ছিলো। যাইহোক বিল দিয়ে অর্ডার করার কিছুক্ষণ পর টেবিলে খাবার চলে আসলো। চিকেনের পরিমাণ বেশ ভালো ছিলো। মুখে দেওয়ার পর খুবই ভালো লেগেছিল। চিকেনের ভিতরেও মসলা খুব ভালোভাবে ঢুকেছিল।
এককথায় বলতে গেলে চিকেন ফ্রাই এর স্বাদ ছিলো দুর্দান্ত। বিশেষ করে চিকেন উইংস খেতে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু লেগেছিল। সেদিন অতিরিক্ত গরম ছিলো বলে,একেবারে ঠান্ডা ঠান্ডা কোল্ড ড্রিংকস পান করতেও দারুণ লেগেছিল। যাইহোক পুরানা পল্টনের কেএফসি শাখায় খাওয়া দাওয়া করার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিলো। তারপর আমরা কেএফসি থেকে বের হয়ে, বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে একটা হ্যান্ড ফ্যান সহ,বাসার জন্য টুকিটাকি আরও কিছু কেনাকাটা করলাম। তারপর গাড়িতে উঠে ৩০ মিনিটের মধ্যেই বাসায় চলে এসেছিলাম। শপিং করে এবং কেএফসি তে খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। আর এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৩.৬.২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
ভাবির জন্য বোরখা কিনেছেন আর আপনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। কেনাকাটা করতে করতে অনেক সময় অনেক ক্ষুধা লেগে যায়। সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু সেদিন কেনাকাটা করে ক্ষুধা লেগেছিল। তারপর কেএফসি তে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনারা দুজনে মিলে শপিং করেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। বেশ ভালই কেনাকাটা করেছেন দুজনের জন্য। বোরকাটা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার টি শার্ট গুলো বেশ ভালো লাগছে দেখতে। কেএফসিতে তাদের চিকেন ফ্রাইটা আমার খুবই পছন্দ। ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
টি-শার্ট গুলো আসলেই খুব ভালো লেগেছিল আপু। কেএফসি এর চিকেন ফ্রাই মুখে দিলে,চাইনিজ রেস্টুরেন্টের চিকেন ফ্রাই খেতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাবিকে সাথে নিয়ে এসে ভাবির জন্য বোরকা কিনেছেন দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। সে সাথে আপনি নিজের জন্য বেশ কয়েকটা টি-শার্ট কিনেছেন যেগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। যদিও ড্রেস কিনবে বলেছিল ভাবি, কিন্তু পছন্দ না হওয়াতে তখন ড্রেস কিনেনি বুঝতে পেরেছি। আশা করছি পরবর্তীতে আবারো ওনাকে শপিং করতে নিয়ে যাবেন ড্রেস কেনার জন্য। একটা টি-শার্ট ট্রায়াল দিয়েছেন আপনি। টি শার্টটা কিন্তু আপনাকে বেশ ভালোই মানিয়েছে। আশা করছি অন্য দুইটাও খুব ভালো মানাবে। কেনাকাটার পাশাপাশি কেএফসি তে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
সেদিন ড্রেস পছন্দ হয়নি বলে,অনলাইনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই চারটি ড্রেস এনে দিয়েছি তাকে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নিউমার্কেট সহ বিভিন্ন শপিং মল থেকে কেনাকাটা ও কেএফসিতে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কলার টি-শার্ট গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতি পিস ৬০০ টাকা হলেও জিনিষ ভালো। সব মিলিয়ে দারুন একটি দিন অতিবাহিত করলেন। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই টি-শার্ট গুলো আসলেই দারুণ হয়েছে। তাছাড়া টি-শার্ট গুলো পরলেও খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
মাঝেমধ্যে কিন্তু প্রিয় মানুষের সাথে বাহিরে গিয়ে কেনাকাটা করতে এবং সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক বেশি ভালোই লাগে। সেই অনুভূতিগুলো এবং অভিজ্ঞতাগুলো সব থেকে বেশি আলাদা হয়ে থাকে। ভাবিকে নিয়ে শপিং করেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। ভাবির নিশ্চয়ই উনার জন্য কেনা বোরকাটা অনেক বেশি পছন্দ হয়েছিল। কেনাকাটার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত, সব মিলিয়ে পুরোটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই বোরকাটি আমার ওয়াইফ পছন্দ করেই কিনেছিল। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনারা দুজন মিলে শপিং করেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। দুজন মিলে অনেক সুন্দর ভাবে কেনাকাটা করেছেন। আরো সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো এটা যে ভাবীকে সাথে নিয়ে বোরকা কিনেছেন। কেনাকাটার পাশাপাশি কেএফসিতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন বিষয়টা দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আমি বেশিরভাগ সময় আমার ওয়াইফকে নিয়েই কেনাকাটা করতে যাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সু স্বাগতম ভাইয়া।