"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৩৪|| 🍷তরমুজ,ওটস,থানকুনি এবং পুদিনা পাতার স্বাদে ইউনিক শরবত রেসিপি🍷
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত ৩৪তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমরা সবাই জানি যে, এবারের প্রতিযোগিতা হচ্ছে ইউনিক শরবত রেসিপি নিয়ে। দাদার আইডিয়াটা আসলেই চমৎকার ছিল। কারণ এই গরমে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় এক গ্লাস শরবত খেলে কলিজা একেবারে শীতল হয়ে যায়। দাদার আইডিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিক শরবত রেসিপির আয়োজন করার জন্য, দাদাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই প্রতিযোগিতার এনাউন্সমেন্ট এর পর থেকে ভাবছি কিভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যায়। কারণ আমরা জানি আমাদের কমিউনিটির মেম্বাররা কতটা ক্রিয়েটিভ। সবাই ব্যতিক্রমধর্মী কিছু শেয়ার করে যাচ্ছে প্রতিটি কনটেস্টে। তাই আমিও সেটা মাথায় রেখে এবং শরবতের স্বাদের দিকটা ভেবে অনেক গুলো উপকরণ দিয়ে শরবত তৈরি করেছি।
যেহেতু শরবত হচ্ছে খাওয়ার জিনিস। যদি স্বাদ না হয় তাহলে তো আর খাওয়া যাবে না। আমি শরবত তৈরি করতে তরমুজ,পাকা পেঁপে,কলা,খেজুর,কাঠবাদাম, থানকুনি পাতা, পুদিনা পাতা, ওটস সহ আরও অনেক কিছু ব্যবহার করেছি। আমরা জানি যে থানকুনি পাতা এবং পুদিনা পাতা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। তাই আমি খুব অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতা এবং পুদিনা পাতা ব্যবহার করেছি। কারণ বেশি দিলে খেতে সুস্বাদু লাগবে না। এছাড়াও আমি এমন কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছি শরবত তৈরি করতে, যেগুলো খেলে ইন্সট্যান্ট শরীরে এনার্জি চলে আসবে। সারাদিন রোজা রেখে এক গ্লাস শরবত খেলে কলিজা যেমন শীতল হবে, তেমনি তৎক্ষনাৎ শক্তি চলে আসবে শরীরে। যাইহোক আমি ৪ জনের পরিমাণে শরবত তৈরি করেছিলাম। শরবত খেয়ে সবাই খুব প্রশংসা করেছিল। আমার কাছেও খুবই সুস্বাদু লেগেছিল খেতে। শরবত তৈরির রেসিপিটা ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
তরমুজ | ২০০ গ্রাম |
পেঁপে | ৫০ গ্রাম |
নরম নারকেল | পরিমাণ মতো |
কাঠবাদাম | ১৫-২০টা |
খেজুর | ৩টা |
কলা | ২টা |
তরল দুধ | পরিমাণ মতো |
ওটস | পরিমাণ মতো |
লেবু | ২ টুকরো |
থানকুনি পাতা | অল্প পরিমাণ |
পুদিনা পাতা | অল্প পরিমাণ |
মধু | পরিমাণ মতো |
চিনি | পরিমাণ মতো |
পানি | ৫০ মি.লি |
রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া নিম্নরূপঃ
🍷প্রথম ধাপ🍷
প্রথমে কাঠবাদাম এবং খেজুর গুলো পানিতে কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখেছিলাম। যাতে করে নরম হয়ে যায় এবং ব্লেন্ডার করতে সুবিধা হয়।
🍷দ্বিতীয় ধাপ🍷
এরপর পেঁপে, নরম নারকেল, কাঠবাদাম,খেজুর এবং কলা ছোট ছোট করে কেটে নিলাম যাতে ব্লেন্ডার করতে সুবিধা হয়।
🍷তৃতীয় ধাপ🍷
প্রথমে নরম নারকেল, খেজুর এবং কাঠবাদাম ব্লেন্ডার করার জন্য দিলাম।
🍷চতুর্থ ধাপ🍷
অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিলাম।
🍷পঞ্চম ধাপ🍷
তারপর কেটে রাখা পেঁপের টুকরো গুলো ব্লেন্ডার করে নিলাম। ব্লেন্ডার করার পর খুব সুন্দর কালার এসেছে।
🍷ষষ্ঠ ধাপ🍷
এরপর থানকুনি পাতা, পুদিনা পাতা, কলা,চিনি,তরল দুধ এবং লেবুর রস দিয়ে দিলাম ব্লেন্ডার করার জন্য। ব্লেন্ডার করার পর হালকা সবুজ রং ধারণ করেছে থানকুনি পাতা এবং পুদিনা পাতা দেওয়াতে।
🍷সপ্তম ধাপ🍷
এরপর ওটস এবং মধু দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিলাম।
🍷অষ্টম ধাপ🍷
কেটে রাখা তরমুজের টুকরো গুলো দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিলাম। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার শরবত।
🍷পরিবেশন🍷
তারপর লেবু, কাঠবাদাম এবং থানকুনি পাতা দিয়ে ডেকোরেশন করে পরিবেশন করলাম। তবে আপনারা শরবতের কালার আরও সুন্দর করতে চাইলে সাথে রুহ আফজা ব্যবহার করতে পারেন। আমার বাসার মানুষ রুহ আফজা তেমন পছন্দ করে না বিধায় আমি রুহ আফজা ব্যবহার করিনি।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | কনটেস্ট(ইউনিক শরবত রেসিপি) |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৮.৪.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
খুব ইউনিক এবং হেলদি একটি শরবতের রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই ভিন্ন ধরনের শরবতের রেসিপিটি।
আপনার কাছ থেকে এতো সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে ভাইয়া। এভাবে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
দারুণ একটি শরবত তৈরি করেছেন ভাইয়া আপনি অনেকগুলো উপকরণ দিয়েছেন তরমুজ এবং ওটস দেওয়াতে কালারটা কিন্তু দারুণ এসেছ। এছাড়া আপনি থানকুনি পাতা দেওয়াতে শরবতের কোয়ালিটি অনেক বেড়ে গেছে আরো। আপনার শরবতের রেসিপিটা আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লেগেছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন, তরমুজ এবং ওটস দেওয়াতে কালারটা সত্যিই দারুণ এসেছে। এমন প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
তরমুজ,ওটস,থানকুনি এবং পুদিনা পাতার স্বাদে ইউনিক শরবত রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে, আসলে এভাবে শরবত রেসিপি তৈরি করা যায় আমি কখনো ভাবিনি। আপনার রেসিপির পরিবেশন দেখে আজকে শিখতে পারলাম। সত্যিই অসাধারণ ইউনিক রেসিপি।
ভাইয়া অনেক চিন্তা ভাবনা করে এবং প্রতিটি ধাপে ধাপে স্বাদ দেখে দেখে রেসিপিটা তৈরি করেছি। সেজন্য রাতে তৈরি করেছিলাম রেসিপিটা। কারণ দিনের বেলায় রোজা রেখে তো স্বাদ দেখা যাবে না। যাইহোক রেসিপিটা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি খুব ভালো লাগবে খেতে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য দারুন একটি শরবতের রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রমজান মাসে শরবতের রেসিপি ভীষণ উপকারী। আর নতুন একটি শরবতের রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লেগেছে ভাইয়া। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছে। শরবত রেসিপি তৈরির পদ্ধতি এবং উপস্থাপনা দুটোই দারুন ছিল।
জি আপু শরবত খুব সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আসলেই এবারের প্রতিযোগিতা খুবই ভালো হয়েছে। আপনি দেখছি বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে তরমুজের অসাধারণ একটি জুস তৈরি করেছেন। সবগুলো উপকরণই আলাদাভাবে খেতে সুস্বাদু। সবগুলো একসঙ্গে মেশানোর পর খেতে মনে হয় আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, অনেক গুলো উপকরণ একসাথে মেশানোর পর খেতে দারুণ হয়েছিল। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি খুবই সুন্দর একটি ইউনিট পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মোটরস তরমুজ পুদিনা পাতা থানকুনি পাতার স্বাদে খুবই সুন্দর একটি শরবত আপনি তৈরি করেছেন। সারাদিন রোজায় থেকে এ ধরনের এক গ্লাস শরবত খেলে প্রাণটা জুড়ে যাবে। আপনার তৈরীর দক্ষতাটা খুবই ভালো লেগেছে । নতুন একটি শরবতের রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম ভাই খুবই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাই এই শরবতের রেসিপিটা একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি খাওয়ার পর প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
প্রথমে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। তরমুজ, ওটস, থানকুনি এবং পুদিনা পাতার স্বাদে ইউনিক শরবত রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন আপনি। পরিবেশনটা খুবই সুন্দরভাবে করেছেন শেষের ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব ভালো ছিল। মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লেগেছিল। যাই হোক সম্পূর্ণটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আপনার কাছে রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আর আপনার শরবত বানানোর প্রক্রিয়া দারুন ছিল। আর শরবত বানানোর উপকরণ ও অনেহুলো ছিল। আর সর্বোপরি আপনার উপস্থাপনা দারুন ছিল।
জি ভাইয়া অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে শরবতটি তৈরি করেছি। আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুব ভাল লাগলো। আপনি বেশকিছু উপাদানের সমন্বয়ে একটি মজার শরবতের রেসিপি শেয়ার করলেন। দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে। উপস্থাপনা ও বেশ ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আশা করি সামনেও এভাবেই সাপোর্ট করে যাবেন।