নাটক রিভিউ || ঈর্ষা
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে ঈর্ষা। এই নাটকটি এবারের ঈদে রিলিজ হয়েছে এবং নাটকটি বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল। এদের নাটক দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। তারা বেশ ভালো অভিনয় করে। এই নাটকটি আমি আজকে সকালে দেখেছিলাম। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | ঈর্ষা |
---|---|
রচনা | মেজবাহ উদ্দিন সুমন |
পরিচালনা | সৈয়দ শাকিল |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, কেয়া পায়েল, সমু চৌধুরী, সামান্তা পারভেজ এবং আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ২৩ এপ্রিল ২০২৩ |
সময় | ৪২ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের নায়ক অপূর্ব একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে ছোটখাটো একটা চাকরি করতো। নাটকের নায়িকা কেয়া পায়েল ছিল গৃহিণী এবং অপূর্বের স্ত্রী। অপূর্বকে প্রায় সময় কেয়া পায়েল খোঁটা দিত। কারণ সে ছোট চাকরি করে এবং তার কোন উন্নতি নেই বলে। অপরদিকে অপূর্বের বন্ধু বান্ধব স্টুডেন্ট লাইফে ভালো ছাত্র না হয়েও,অনেক টাকার মালিক হয়ে গিয়েছে। দামী গাড়ি দিয়ে চলাফেরা করে। আর অপূর্ব স্টুডেন্ট লাইফে ফার্স্ট বয় ছিলো। কিন্তু বেতন কম পায় বিধায় গাড়ি, ফ্ল্যাট এইসব কিনতে পারে না।
ভাড়া বাড়িতে থাকে তারা। এইসব নিয়ে তাদের সংসারে ঝগড়া ঝামেলা লেগেই থাকতো। কেয়া পায়েলের বান্ধবীর সাথে সবকিছু শেয়ার করলে বান্ধবীর কথায় কেয়া পায়েল অপূর্বকে ডিভোর্স দিতে চায়। উকিলের কাছে যাওয়ার পর উকিল বলে এইসব কারণে ডিভোর্স হয় না। তারা প্ল্যান করে যে অপূর্বকে পরকীয়ার জালে ফাঁসিয়ে প্রমাণসহ ডিভোর্স দিবে। তাই একটি মেয়েকে ভাড়া করে। তবে সেই প্ল্যান ব্যর্থ হয়।
তারপর অনেক কষ্টে তার বান্ধবীকে রাজি করায় অপূর্বের সাথে প্রেমের অভিনয় করতে এবং প্রমাণ যোগাড় করতে। এভাবেই চলতে থাকে নাটকের কাহিনী। একটা পর্যায়ে কেয়া পায়েলের বান্ধবী যখন অপূর্বের সাথে কিছুটা ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। তখন কেয়া পায়েল ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। এভাবেই নাটকের কাহিনী চলতে থাকে। তবে ডিটেইলস বলতে চাই না। তাহলে নাটক দেখে আপনারা মজা পাবেন না। আশা করি নাটকটি অবশ্যই আপনারা দেখবেন।
উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটি আমার কাছে একেবারে বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে। কারণ এমন ঘটনা সমাজে অহরহ ঘটে চলছে। অপূর্ব কম উপার্জন করতো বিধায় বিলাসবহুল জীবন কাটাতে পারতো না তারা। কিন্তু আশেপাশের অনেকেই বিলাসবহুল জীবন কাটাতো বিধায়, সেটা দেখে কেয়া পায়েল ঈর্ষা করতো। কিন্তু জীবনে চলতে গেলে টাকা পয়সা খুব বেশি থাকতে হবে তেমনটা নয়। কারণ টাকা পয়সা থাকলেই যে সুখী হওয়া যাবে,এটা একেবারেই ভুল। তবে জীবন কাটাতে টাকা পয়সা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা পয়সা লাগে না। অপরদিকে যখন নিজের বান্ধবীকে দিয়ে কেয়া পায়েল অপূর্বের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করিয়েছে, তখনও সে ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের মানুষকে অবশ্যই যত্ন করে আগলে রাখতে হয় এবং অন্যের অর্থসম্পদ দেখে ঈর্ষা করা ঠিক না। নিজেদের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তাহলে সৃষ্টিকর্তাও আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়। যাইহোক অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল বরাবরের মতো দারুণ অভিনয় করেছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৭.৫.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Share
এই নাটকটি কয়েকদিন আগেই দেখেছিলাম। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে কিছু কিছু সময় লোভ মানুষের সম্পর্কে ফাটল ধরায়। আমাদেরকে অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। কিংবা আপন মানুষগুলোকে বোঝা উচিত। অনেক ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা নাটক রিভিউটি পড়ে।
ঠিক বলেছেন আপু, অনেক সময় লোভের কারণে একটি সম্পর্ক একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। নাটকটি আমার দেখা হয়নি। সময় সুযোগ পেলে দেখব আশাকরি। সত্যি কথা বলতে লোভ,হিংসা করা একদম উচিত নয়।
আমাদের কারোরই উচিত না মনের মধ্যে লোভ,হিংসা রাখা। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই নিজের যা আছে তা নিয়েই সুখে থাকা ভালো। জীবনে টাকা পয়সা প্রয়োজন কিন্তু অতিরিক্ত না। অন্যের অর্থ সম্পদ দেখে কখনো ঈর্ষা করা ভালো না। আসলেই ঈর্ষা নাটকটির মাধ্যমে অনেক বাস্তবিক কথা তুলে ধরা হয়েছে। ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে এই ঈর্ষা নাটকটি। এই নাটকটির রিভিউ এর আগেও অন্য একজন করেছিল আমি দেখেছিলাম। যাই হোক আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে ভালো লাগলো। ভালোই লিখেছেন সম্পূর্ণটা।
আমি মনে করি যে যে-ই অবস্থায় থাকুক না কেন,সবার উচিত সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করা। উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অপূর্বের নাটক আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। কাহিনীটি পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে এই ধরনের নাটক জীবন ঘনিষ্ঠ নাটক আমি একসময় এই নাটকটি দেখে নেব।
আপনার মতো আমারও অপূর্বের নাটক খুব ভালো লাগে আপু। সময় পেলে নাটকটি দেখে নিবেন। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার রিভিউ পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে।আপনি খুব সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ সাজিয়েছেন।এটা দেখে যে কোনো নাটক দেখার আগ্রহ এমনিতেই অনেকটা বেড়ে যাবে সবার।আমারও আগ্রহ বেড়ে গেল নাটকটি দেখার।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
নাটকের রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার জন্য আপনার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে, জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। এতো সুন্দর মন্তব্য পেয়ে মনে হচ্ছে নাটকের রিভিউ শেয়ার করা সার্থক হয়েছে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।