আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে এখনো ভালোবাসি। এই নাটকটি ৩দিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে মুশফিক আর ফারহান এবং কেয়া পায়েল। এই দুজনের অভিনয় আমার খুব ভালো লাগে। নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে দেখতে। কারণ এই নাটকটি শিক্ষনীয়। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক ফারহান এবং নায়িকা কেয়া পায়েল এর মধ্যে একসময় প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু তাদের ব্রেক আপ হয়ে যায় দুই বছর আগে। ফারহান একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতো। ফারহানের বস ফারহানকে ফোন করে বলে যে, একটি মেয়ে আসবে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। যদি ভালো মনে হয় তাহলে চাকরি কনফার্ম করে দিতে। ঠিক সে সময়ই কেয়া পায়েল ফারহানের কেবিনে প্রবেশ করে। কেয়া পায়েলকে দেখে ফারহান হাসাহাসি করতে লাগলো। কারণ সে ভেবেছে যে কেয়া পায়েল এখানে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে এসেছে। ফারহান বেকার ছিলো বিধায় তাদের ব্রেক আপ হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর ফারহান এর কেবিনে একটি মেয়ে প্রবেশ করে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে।

আর তখনই ফারহান এর ভুল ভাঙ্গে। তখন কেয়া পায়েল ফারহানকে কিছু কথা শুনিয়ে দেয় এবং কেয়া পায়েল বলে যে, সে এই অফিসে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করতে এসেছে। কারণ এই কোম্পানির প্রোডাক্টস এর বিক্রি খুবই কমে গিয়েছে। ফারহান সেই মেয়েটির চাকরি কনফার্ম করে দেয় ইন্টারভিউ ছাড়া। পরবর্তীতে অফিসের বসের কাছে কেয়া পায়েল ফারহান এর নামে অভিযোগ করে। বলে যে একটি মেয়ের হাসি দেখেই ফারহান চাকরি কনফার্ম করে দিয়েছে। তারপর অফিসের বস ফারহানকে অনেক কথা শুনিয়ে দেয়। মূলত সেই কোম্পানির মুড়ির সেলস অনেক কমে যায়। তাই কেয়া পায়েল নতুন একটি আইডিয়া শেয়ার করে সবার সাথে। সেটা হচ্ছে হাতে ভাজা মুড়ি যদি বাজারে আনা যায়, তাহলে সেলস অনেক বেড়ে যাবে।

এই আইডিয়াটা বেশ সফল হয়েছে। এতে করে অফিসের বস কেয়া পায়েলের উপর খুব খুশি হয় এবং পুরষ্কার প্রদান করে। ফারহানের এই ব্যাপারটি একেবারেই ভালো লাগেনি। তাই যারা মুড়ি ভাজে তাদেরকে টাকা দিয়ে মুড়ি একটু পুড়ে ফেলতে বলে। যাতে করে মুড়ি খেতে তেতো লাগে এবং কেয়া পায়েলকে অফিসের বস বকাবকি করে। ফারহানের এই বুদ্ধিটা বেশ কাজ করে। এভাবেই তাদের দুজনের মধ্যে শত্রুতা চলতে থাকে। তাদের এই রেষারেষির জন্য অফিসের বিরাট লোকসান হয়ে যায়। তারপর তারা দুইজন সিদ্ধান্ত নেয়, যেভাবেই হোক সেই কোম্পানির অবস্থান ভালো করবেই। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে আপনাদেরকে।

উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

অনেক মেয়ে আছে ছেলে বেকার জেনেও প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই চাকরি বা ব্যবসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এটা যে খারাপ সেটা বলবো না। জীবনে সবাইকে কিছু না কিছু করতেই হবে। তবে পাশে থেকে সাপোর্ট না দিয়ে অনেক মেয়ে ব্রেক আপ করে ফেলে। এক্ষেত্রে কিছু মেয়ের আবার দোষও থাকে না, কারণ ফ্যামিলি থেকে বিভিন্ন ধরনের চাপ থাকে। যাইহোক কেয়া পায়েল নিজের ফ্যামিলির চাপে, ফারহানের সাথে ব্রেকআপ করে। পরবর্তীতে দুজন দুজনের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। যা মোটেই কাম্য নয়। তবে সত্যিকারের ভালোবাসা হলে, জীবনে কখনোই ভালোবাসার মানুষের ক্ষতি চাইবে না কেউ। নাটকটি সবমিলিয়ে দারুণ লেগেছে আমার কাছে। সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে।

আমার রেটিং