"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৫০ || শ্যালিকাকে বৃদ্ধ ভিক্ষুক সাজিয়ে দিলাম
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত ৫০ তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমরা সবাই জানি যে, এবারের প্রতিযোগিতা হচ্ছে যেমন খুশি তেমন সাজো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সবসময় খুব সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে এবং আমি মনে করি এবারের প্রতিযোগিতা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে অংশগ্রহণ করবো। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য অংশগ্রহণ করতে অনেক দেরি হয়ে গেল। যাইহোক আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এতো চমৎকার একটি আইডিয়া বের করার জন্য।
আমরা ছোটবেলা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, যেমন খুশি তেমন সেজে অংশগ্রহণ করতাম। অনেকে সারা শরীরে কাঁদা মেখে মুক্তিযোদ্ধা সাজতো, আবার অনেকে জামাই বউ সাজতো। এসব মজার মজার চরিত্র দেখে খুবই ভালো লাগতো। যাইহোক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য, আমি আমার ওয়াইফ এর কাজিন মানে আমার শ্যালিকাকে একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুক সাজিয়েছি। একেবারে সত্যিকারের ভিক্ষুকদের মতো সাজাতে চেষ্টা করেছি। সাজানোর পর আমাদের কাছে মনে হয়েছিল একেবারে সত্যিকারের ভিক্ষুক। যাইহোক আমি কিভাবে আমার শ্যালিকাকে ভিক্ষুক সাজিয়েছি, সেটা ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
শ্যালিকাকে বৃদ্ধ ভিক্ষুক সাজিয়ে আমি যখন ২০ টাকা ভিক্ষা দিচ্ছিলাম
- শার্ট
- লুঙ্গি
- টুপি
- স্টিলের লাঠি
- একটি পাত্র
- খুচরা টাকা পয়সা
- পাউডার
- নারিকেল তেল
- চোখের কাজল
ভিক্ষুক সাজানোর ধাপগুলো নিম্নরূপ:
প্রথম ধাপ
প্রথমে শ্যালিকাকে শার্ট এবং ছেড়া লুঙ্গি পরিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
তারপর মাথার মধ্যে পাউডার দিয়ে চুলগুলো সাদা করে নিলাম। যাতে করে দেখতে বয়স্ক লাগে।
তৃতীয় ধাপ
এই পর্যায়ে কাজল দিয়ে গোঁফ বানিয়ে দিলাম এবং গোঁফ এর পাশে ছোট একটি তিল বানিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
এভাবেই গোঁফ এবং তিল বানানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এই পর্যায়ে গালের মধ্যে হালকা নারিকেল তেল দিয়ে, কাজল দিয়ে গোল করে বড় একটি তিল বানিয়ে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
তারপর চোখের ভ্রু দুটির মধ্যে কাজল লাগিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
অষ্টম ধাপ
লুঙ্গি বেঁধে ভিক্ষুকদের একটি ঝোলা বানিয়ে,কাঁধের মধ্যে ঝুলিয়ে দিলাম। তারপর হাতে একটি লাঠি ধরিয়ে দিলাম।
নবম ধাপ
তারপর একটি পাত্রে খুচরা টাকা পয়সা রেখে, হাতে ধরিয়ে দিলাম।
সর্বশেষ ধাপ
ভিক্ষুক সিড়ি বেয়ে উপর তলায় চলে এসেছে ভিক্ষা নেওয়ার জন্য। আমি দরজা খুলে রুম থেকে বের হয়ে ২০ টাকা দিয়ে দিলাম ভিক্ষুকের পাত্রে। এভাবেই বৃদ্ধ ভিক্ষুক সাজানোর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেললাম। দেখতে সত্যিকারের ভিক্ষুকের মতোই লাগছে। যথেষ্ট চেষ্টা করেছি একেবারে পারফেক্ট ভাবে সাজাতে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | প্রতিযোগিতা |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১.১.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
এটা কিন্তুু মোটেও ঠিক করলেন না ভাইয়া শেষমেশ শালিকাকে ভিক্ষুক বানিয়ে দিলেন🙃।তবে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন।ছোট মানুষ তো বেশ আনন্দের সাথেই সেজেগুজে দাঁড়িয়েছে ভিক্ষা করতে দেখছি।পুরস্কারের সব টাকা কিন্তুু শালিকে চকলেট খেতে দিয়ে দেবেন। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে অংশগ্রহণ। ধাপে ধাপে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।শুভকামনা রইলো আপনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য।
হ্যাঁ আপু সাজার পর সে খুব খুশি হয়েছিল। সে সবসময়ই সাজার জন্য পাগল। যা টাকা পেয়েছে সেগুলো দিয়ে চকোলেট কিনে খেয়েছে। পুরষ্কার পেলে সব টাকা দিয়ে চকোলেট খাবে আবারও 😂। মানে সবদিক দিয়ে লাভ হলো তার। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এক কথায় বেশি দারুন ছিল ভাইজান। আমি তো প্রথমে ছবিটা দেখে মনে করেছিলাম সত্যি সত্যি কোন অসহায় খেয়ে দান করছেন। একদম বুঝার উপায় ছিল না কিন্তু। চমৎকার হয়েছে আপনার অংশগ্রহণ।
ভাই যথেষ্ট চেষ্টা করেছি বাস্তবতার সাথে মিল রেখে ভিক্ষুকের চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলার জন্য। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার শ্যালিকার দেখি বেশ লাভ হয়েছে। ভালোই টাকা পড়েছে🤣। তবে যাই বলুন না কেন ভাইয়া সাজানোটা কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু সব টাকা দিয়ে চকোলেট খেয়েছে। সাজার পর বেশ খুশি হয়েছিল সে। যাইহোক এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আয় হায়! শালিকাকে এটা কি করলেন 🙆♂️😂😂। পুরাই অস্থির ছিল সাজানোটা। আসলে আপনার সাজানোটা ভালো ছিল ভীষণ 😍। শালিকার এক্সপ্রেসনও দারুণ
ভাই এটা আমার চাচাতো শ্যালিকা। আমার ওয়াইফ এর কোনো ভাই বোন নেই। তবে সাজানোর পর সে বেশ খুশি হয়েছিল, আবার সব টাকা দিয়ে চকোলেট খেতে পেরেছে 😂। যাইহোক পোস্টটি দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হাহাহা! খুবই মজা পেলাম সাজোনাটা দেখে ভাইয়া 😂
Twitter Link
বাহ্ ! চমৎকার হয়েছে ৷ শ্যালিকাকে এভাবে বৃদ্ধ ভিক্ষুক সাজাতে পারলে ভাইয়া 😁 যাই হোক , দারুণ হয়েছে কিন্তু ৷ উপভোগ করার মতো ছিলো সম্পূর্ণ বিষয়টা ৷ ভীষণ ভালো লাগলো আমার ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , প্রতিয়োগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দারুণ একটা সাজা দেখানোর জন্য ৷ শুভকামনা রইল আপনার জন্য ৷ ধন্যবাদ
ভাই চাচাতো শ্যালিকা তো সেজন্য পেরেছি। আপন শ্যালিকা হলে মনে হয় পারতাম না 😂। যাইহোক মজা করলাম, সে সাজার জন্য সবসময়ই পাগল। তাই মনের আশা পূরণ করে দিলাম। যাইহোক আপনাদের কাছ থেকে এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে, সাজানো একেবারে সার্থক বলে মনে হচ্ছে ভাই। যাইহোক এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভীষণ খুশি হলাম। শ্যালিকাকে বৃদ্ধ ভিক্ষুক সাজিয়ে দিলেন ভাইয়া। দেখতে পারফেক্ট বৃদ্ধ ভিক্ষুক এর মতোই লাগতেছে। আপনার কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার শালিকার জন্য অনেক দোয়া রইল।
আমার সাজানো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক পোস্টটি দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আজ শালিকা ছোট বলে তাকে ভিক্ষুক সাজিয়ে ফেললেন। বড় হলে তো হয়তো আপনার কপালে দুঃখ ছিল। যাইহোক অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন দেখেই একেবারে বৃদ্ধ ভিক্ষুকের মতই লাগছে। আপনি এত অল্প টাকা দিয়েছেন দেখে খুবই খারাপ লাগলো। শালিকা বলেও কথা কিছু টাকা বাড়িয়ে দিতে পারতেন। যাইহোক শালিকা কে জিলাপি খাওয়ার টাকা হলে টাকা গুলো দিয়ে দিয়েন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অভিনন্দন।
আপু এটা হচ্ছে আমার ওয়াইফ এর চাচাতো বোন। সে সবসময় সাজার জন্য পাগল। তাই সাজিয়ে দিলাম। আপু বাস্তবতার সাথে মিল রেখে খুচরা টাকা পয়সা দিয়েছিলাম। বাস্তবে কিন্তু ভিক্ষুকেরা ৫০/১০০ টাকার নোট ভিতরে ঢুকিয়ে রাখে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। যাইহোক পোস্টটি দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো অনেক সুন্দর করে আপনার শালিকা কে বৃদ্ধ ভিক্ষুক সাজিয়েছেন। ওকে দেখতে একেবারে সত্যিকারের ভিক্ষুকের মতো লাগছে। 😁 যাইহোক প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু একেবারে বাস্তবতার সাথে মিল রেখে সাজিয়েছি তাকে। যাইহোক পোস্টটি দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শ্যালিকাকে খুব চমৎকার ভাবে বৃদ্ধ ভিক্ষুক সাজিয়েছেন।খুব সুন্দর হয়েছে সাজানো।আপনি চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অভিনন্দন জানাই আপনাকে।
হ্যাঁ আপু সাজানোর পর আমাদের কাছেও মনে হয়েছিল একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। যাইহোক পোস্টটি দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।