ফটোগ্রাফি পোস্ট || 📸 সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা থেকে ক্যাপচার করা সাতটি ফটোগ্রাফি 📸
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। বেশিরভাগ সময় আমি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি আপনাদের সাথে, তবে আজকে ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক গতকালকে অর্থাৎ ঈদের দ্বিতীয় দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রীমঙ্গল ট্যুরে গিয়েছিলাম। শ্রীমঙ্গলের বেশ কয়েকটি চা বাগান,লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান,গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট, মাধবপুর লেক,দার্জিলিং টিলা,বধ্যভূমি- ৭১ পার্ক, সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা এবং আরও কিছু দর্শনীয় স্থান দেখেছিলাম। দর্শনীয় স্থান গুলো কিছুটা কাছাকাছি ছিলো বিধায়, একদিনে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান ঘুরতে সক্ষম হয়েছিলাম। তো সবগুলো স্পট আপনাদের সাথে ধীরে ধীরে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তো সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় গিয়ে বেশ কিছু পশুপাখি এবং জীবজন্তু দেখতে পেয়েছিলাম। তারমধ্যে আজকে কয়েকটি পশুপাখি এবং জীবজন্তুর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনারা অনেকেই জানেন যে ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটি হচ্ছে আমাদের সবার অতি পরিচিত একটি প্রাণী, যার নাম হচ্ছে হরিণ। হরিণ দেখতে আমার কাছে সবসময়ই খুব ভালো লাগে। সেখানে বেশ কয়েকটি হরিণ ছিলো। খাঁচার ভিতরের একটি বড় পাত্রে পানি রাখা ছিলো এবং একটি হরিণকে দেখলাম পানিতে নেমে বসে আছে। কালকে প্রচন্ড রোদ ছিলো সেখানে। তাই অনেক গরম লেগেছিল। আর সেজন্যই হয়তোবা পানিতে নেমে বসেছিল সেই হরিণটা।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে বানরের ফটোগ্রাফি। সেই চিড়িয়াখানায় বানরের দুটি খাঁচা ছিলো। একটি খাঁচার মধ্যে বড় কয়েকটি বানর ছিলো। আর বড় বানরগুলো শুধু চিৎকার চেচামেচি করছিল খাঁচার মধ্যে থেকে। আর সেই খাঁচার সামনে মানুষের ভিড় ছিলো প্রচুর। তাই বড় বানরের ফটোগ্রাফি করার সুযোগ হয়নি। যাইহোক ছোট এই বানর দুটিকে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। একটি ছেলে তার মোবাইল বানরের সামনে ধরে রেখেছিল এবং বানরটি মোবাইল ধরার চেষ্টা করছিল।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে ভাল্লুকের ফটোগ্রাফি। বেশ কয়েক বছর পর ভাল্লুক দেখলাম গতকালকে। এই ভাল্লুকের আকৃতি বেশ বড় ছিলো। এই ভাল্লুকটি আমাদের সামনে আসে, আবার অন্য দিকে চলে যায়। দেখলাম যে সারাক্ষণ হাঁটাহাঁটির মধ্যেই ছিলো। আবার অন্য আরেকটি খাঁচার মধ্যে ছোট একটি ভাল্লুক ছিলো। কিন্তু সেই ভাল্লুকের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হয়েছিল প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কারণ একইরকম অঙ্গভঙ্গি করছিল বারবার। যাইহোক অনেক দিন পর ভাল্লুক দেখে বেশ ভালোই লেগেছিল।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে ঈগলের ফটোগ্রাফি। ছোটবেলা চিড়িয়াখানায় গেলেই ঈগল দেখার জন্য অস্থির হয়ে থাকতাম। ঈগল বিশাল আকৃতির হয়ে থাকে। ঈগল হচ্ছে শিকারী পাখি। ছোট ছোট বিভিন্ন জাতের পাখি খেয়ে তারা জীবনধারণ করে থাকে। তাদের পায়ের নখ তীক্ষ্ণ।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই পাখিগুলোর নাম হচ্ছে ব্রাহ্মণী ঘুড়ি। পাখিগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। খাঁচার সামনে গিয়ে যখন পাখিগুলোকে ডাকলাম, তখন বারবার তাকাচ্ছিল আমাদের দিকে। এই ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। এই পাখি এর আগে আমি দেখেছি বলে মনে হয় না।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই পাখিটির নামও ব্রাহ্মণী ঘুড়ি। তবে এটি ভিন্ন জাতের ব্রাহ্মণী ঘুড়ি পাখি। সামনা-সামনি এই পাখিটিকে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। হয়তোবা ফটোগ্রাফিতে ততোটা ভালো লাগছে না। আপনাদের কাছে ব্রাহ্মণী ঘুড়ি পাখি দেখতে কেমন লেগেছে, সেটা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে ময়না পাখির ফটোগ্রাফি। ময়না পাখি চিনে না,এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তবে এই পাখি দুটি কোনো কথা বলে না। ময়না পাখি কথা না বললে ভালো লাগে না। কিন্তু আমার একটি ময়না পাখি রয়েছে, সেটা সারাদিন কথা বলতে থাকে। বেশ ভালোই লাগে ময়না পাখির কথা শুনতে। ময়না পাখির গলার আওয়াজ বেশ ভালো।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৩.৪.২০২৪ |
লোকেশন | শ্রীমঙ্গল,সিলেট |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
চিড়িয়াখানার মধ্য থেকে ধারণ করা পশু পাখির ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। খুব সুন্দর করে আপনি হরিণের ফটো ধারণ করেছেন এছাড়া বিভিন্ন পাখির ফটো ধারণ করেছেন। সব মিলে খুবই ভালো লেগেছে আমার। সুন্দর এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
চেষ্টা করেছি প্রতিটি ফটোগ্রাফি সুন্দরভাবে ক্যাপচার করতে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
X-promotion
ফটোগ্রাফি পোস্ট সব সময় আমার ভীষণ ভালো লাগে। হরিণের এই চিত্রটি আমাকে মুগ্ধ করলো ও বানরের মুহূর্ত দেখি আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আমি এর আগে বানরের এরকম মুহূর্ত শেয়ার করার চেষ্টা করেছিলাম। ভাল্লুক অনেকদিন পর দেখলাম ভাই। ঈগল তো প্রায় অনেকদিন পর দেখলাম। সত্য কথা বলতে এই প্রথম ঈগলের ফটোগ্রাফি দেখলাম। আপনার মাধ্যমে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাই।
হরিণের ফটোগ্রাফিটা দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন,জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম আপনি চেহারা খানায় ভ্রমণ করে বেশ ধারন একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। আসলে ভাইয়া আমিও চিড়িয়াখানায় অনেকদিন করেছি আসলে চিড়িয়াখানা আমার ভালো লাগে বানরের সাথে খেলা করতে । কারণ বানর খাঁচার মধ্য থেকে যেমন করে সত্যিই হাসি আর থামানো যায় না। আপনি চিড়িয়াখানা প্রমাণ করেছে এখান থেকে বানর এবং ভাল্লুক ফটোগ্রাফার করেছেন ধন্যবাদ।
ভাই কমেন্ট করার সময় বানানের দিকে খেয়াল রাখবেন। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
আজকে আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন।সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা থেকে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। তবে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আর চিড়িয়াখানা গেলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে অনেক কিছু দেখা যায়। সত্যি বলতে আপনি ফটোগ্রাফি করে সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এবারের ঈদের সময়টা তাহলে কাজে লাগালেন। শ্রীমঙ্গলের বেশ কিছু স্পট ঘুরেছেন। আশা করছি দেখতে পাবো। যাইহোক, সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা গিয়ে বেশ কিছু পশু ও পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন। অনেকদিন পর ঈগল দেখলাম। এগুলো বিলুপ্ত প্রায়। চিড়িয়াখানা আছে বলেই এখনও এসব পাখিদের দেখা যায়।
হ্যাঁ ভাই সময়টা কাজে লাগিয়েছি। এখন রমনা পার্কে আছি,একটু পর থ্রিডি আর্ট গ্যালারি এবং মিলিটারি মিউজিয়ামে যাবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা থেকে ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ঈগল পাখি দেখলে একটু ভয় লাগে। ঈগল পাখিটা অনেক বড় ছিল। ব্রাহ্মণী ঘুড়ি পাখি গুলো এই প্রথম দেখলাম। অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই ঈগল পাখিটা বেশ ভালোই বড় ছিলো। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঈদে পরিবার নিয়ে দেখছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন।একদিনে দেখি অনেকগুলো জায়গা ঘুরেছেন। আপনার শেয়ার করা পশু পাখির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ ঘুরাঘুরি সুন্দর মুহূর্ত এবং চিড়িয়াখানার কিছু পশুপাখির ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঈদের দ্বিতীয় দিন অনেক গুলো জায়গা ভ্রমণ করেছিলাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।