লাইফস্টাইল পোস্ট || প্রয়োজনীয় কাজ করার পাশাপাশি ওয়াইফকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং শপিং করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আপনারা অনেকেই জানেন যে গত মাসের অর্থাৎ মে মাসের ১৬ তারিখে আমরা ওয়াইফ এর অপারেশন করা হয়েছে। তো অপারেশন এর ২ দিন আগে অর্থাৎ ১৪ ই মে ডক্টর কিছু টেস্ট করতে বলেছিল অপারেশন এর জন্য। যেমন ইসিজি, ইকো এবং ব্লাডের একটি টেস্ট। যাইহোক আমরা বাসা থেকে বিকেলের দিকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নারায়ণগঞ্জ শাখায় চলে যাই। সেখানে যাওয়ার পর অনেক গুলো টেস্ট করতে বেশ ভালোই সময় লেগে গিয়েছিল। সেদিন আমাদের টার্গেট ছিলো টেস্টের রিপোর্ট গুলো ডক্টরকে দেখিয়ে বাসায় ফেরার। তাই রিপোর্ট গুলো ডেলিভারি নেওয়ার জন্য ৩ ঘন্টার মতো অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
তো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রিপোর্ট গুলোর জন্য হসপিটালে বসে অপেক্ষা না করে, বাহিরে গিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করা যাক। কারণ হসপিটালে বসে থাকতে এমনিতেই বিরক্ত লাগে। তাছাড়া অপেক্ষার সময় এমনিতেই কাটতে চায় না। যাইহোক যেহেতু তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল,আর আমরা সন্ধ্যার নাস্তা তখনও করিনি, তাই আমরা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নারায়ণগঞ্জ শাখার অপজিটে অবস্থিত ফেয়ারলী প্যাসিফিক ফাস্টফুড শপে চলে গেলাম। সেখানকার ফুচকা আমার খুব পছন্দ। তবে সেদিন কেনো জানি ফুচকা খেতে ইচ্ছে করেনি। যাইহোক প্রথমে দুইজনের জন্য লাচ্ছি অর্ডার করলাম, কারণ সেদিন প্রচুর গরম ছিলো। তারপর আমার ওয়াইফের জন্য চিকেন বার্গার এবং আমার জন্য নুডলস অর্ডার করলাম। সেই ফাস্টফুড শপে অর্ডার করার সময়ই বিল পে করতে হয় এবং এটা অনেক বছর আগে থেকেই হয়ে আসছে।
যাইহোক লাচ্ছির স্বাদ ততোটা ভালো না লাগলেও, নুডলস খেতে মোটামুটি ভালো লেগেছিল। তাছাড়া বার্গার খেতে আমার ওয়াইফের নাকি মোটামুটি ভালোই লেগেছিল। যাইহোক সন্ধ্যার নাস্তা করার পর আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম জুতা কিনবে নাকি। যদিও সে না করেছিল, তবুও আমি তাকে নিয়ে চলে গেলাম নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াতে অবস্থিত লুৎফা টাওয়ারের নিচ তলায়। সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরাঘুরি করে জুতা পছন্দ হচ্ছিল না। তারপর অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করে এক জোড়া জুতা পছন্দ হলো। এরপর একটু দামাদামি করে ১,৬০০ টাকা দিয়ে ওয়াইফের জন্য জুতা কিনলাম। তারপর আমরা ৮ টার পর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঢুকলাম। রিপোর্ট গুলো ডেলিভারি নিতে গিয়ে জানতে পারলাম সবগুলো টেস্টের রিপোর্ট তখনও আসেনি।
তারপর তথ্য কেন্দ্রে গিয়ে বলার পর সেই লোকটা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলো রিপোর্ট পেতে আরও ৩০ মিনিট সময় লাগবে। তারপর হসপিটালে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর, রিপোর্ট গুলো নিয়ে লিফট এর ৯ তলায় চলে গেলাম ডক্টর দেখানোর জন্য। তারপর ডক্টরকে সব রিপোর্ট দেখানোর পর বললো যে সব রিপোর্ট ঠিক আছে। এরপর আমি অপারেশন এর জন্য ২০,০০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে আসলাম এবং ডক্টরের মোবাইল নম্বর নিয়ে আসলাম। ডক্টর আমাকে বললো পরের দিন অর্থাৎ ১৫ ই মে বিকেলে উনাকে ফোন দিতে, তাহলে উনি আমাকে বলে দিবেন অপারেশন এর জন্য হেলথ রিসোর্ট হসপিটালে ১৬ তারিখে কখন ভর্তি হতে হবে। যাইহোক তারপর আমরা বাসায় চলে এসেছিলাম। প্রয়োজনীয় কাজ করার পাশাপাশি ওয়াইফকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং শপিং করে বেশ ভালো লেগেছিল। আর এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২০.৬.২০২৪ |
লোকেশন | চাষাড়া,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
আসলে ভাইয়া কাজের মাধ্যমে আমাদের এভাবে খাওয়া দাওয়া করা অবশ্যই উচিত। আপনারা দুজন বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন।আর জুতা জোড়া কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনারা নিশ্চয় বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্তে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে বাহিরে গিয়ে মাঝেমধ্যে খাওয়া দাওয়া না করলে ভালো লাগে না। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শপিং করার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই বেশ ভালো হলো। রিপোর্ট ঠিক আছে জেনে খুব খুশি হলাম। খাওয়া দাওয়া এবং শপিং করার অনুভূতি বেশ চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। জুতা গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে ভাই। দুজন মিলে কেনাকাটার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তগুলো চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ জুতা গুলো আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বাহ একবারে অনেক কিছু করেছেন দেখছি। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্ত দেখে। যেখানে খাওয়া দাওয়া করেছেন পাশাপাশি পরিবারের জন্য শপিং করেছেন। সব মিলে বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট।
পোস্টটি দেখে আপনার খুব ভালো লেগেছে, জেনে বেশ খুশি হলাম আপু। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের প্রয়োজনীয় কাজ করার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া এবং শপিং করেছিলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। আজ ভাবির জন্য কেনা জুতা কিন্তু খুব সুন্দর ছিল। ওনার পায়ে ভালোই মানাবে বলে মনে হয়। ভাবির জন্য কেনা জুতাটা কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে। যাই হোক রিপোর্ট দিতে যেহেতু অনেক বেশি সময় লাগবে, তাই বাইরে এসে ঘুরাঘুরি করলেন আর শপিং করলেন, সব মিলিয়ে মুহূর্তটা নিশ্চয়ই ভালোই কেটেছিল দুজনের।
হ্যাঁ আপু জুতা জোড়া বেশ ভালোই মানিয়েছে আমার ওয়াইফ এর পায়ে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ এখানে আপনি ভাবিকে নিয়ে খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন এবং সেখানে খাওয়া দাওয়া ও শপিং করার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
হ্যাঁ ভাই আমরা সেদিন দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।