লাইফস্টাইল পোস্ট || বন্ধু বান্ধবদের সাথে টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েক দিন আগে আমি এবং আমার ওয়াইফ টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গিয়েছিলাম, সেই পোস্ট ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। মূলত এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান বেশ ভালো এবং রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইনও চমৎকার। একেবারে রাস্তার পাশে হওয়ায় সন্ধ্যার পর বাহিরের ভিউ দেখতেও চমৎকার লাগে এই রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে। তাই ২/৩ দিন আগে আমি এবং আরও কয়েকজন বন্ধু বান্ধব সহ মোট ৬ জন টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গিয়েছিলাম। আমাদের একটি ফ্রেন্ড নাম হচ্ছে জনি,সে মূলত দুবাইয়ে বিজনেস করে। সেখানে তার গ্রোসারি শপ রয়েছে। সে অল্প কয়েকদিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছে এবং সপ্তাহ খানেক পর আবার দুবাই চলে যাবে।
মূলত জনি দুবাইয়ে তার পরিবার সহ বসবাস করে এবং বাংলাদেশে অল্প কয়েকদিনের জন্য পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছে। জনির ছোট ভাইয়ের কাছে দায়িত্ব দিয়ে, সে বাংলাদেশে এসেছে। যেহেতু আমাদের ফ্রেন্ড দুবাই থেকে এসেছে, সেজন্য আমরা সবাই প্ল্যান করলাম সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করবো। যাইহোক আমরা সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। তারপর খাবার অর্ডার করলাম আমাদের ৬ জনের জন্য। মূলত আমরা সেট মেনু অর্ডার করলাম। সেট মেনুতে চিকেন মাসালা ৩ পিস,ফ্রাইড রাইস,ক্রিসপি চিকেন, সালাদ এবং গার্লিক সস ছিলো। এই সেট মেনুর স্বাদ খুবই ভালো, কারণ এর আগেও আমি এই সেট মেনু খেয়েছিলাম।
তাই আমি সবাইকে বলেছিলাম এই সেট মেনু অর্ডার করার জন্য এবং তারা সবাই আমার কথার সাথে একমত পোষণ করে। যাইহোক খাবার অর্ডার করার পর ওয়েটার বললো ৪০ মিনিট সময় লাগবে খাবার আসতে। কারণ মানুষের চাপ বেশ ভালোই ছিলো সেদিন। যাইহোক আমরা আড্ডা দিতে লাগলাম এবং ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যদিও খুব বেশি ফটোগ্রাফি করিনি সেদিন, কারণ এই রেস্টুরেন্টের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি এর আগেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক ওয়েটার টেবিলে খাবার দেওয়ার পর সবাই খাওয়া শুরু করলাম এবং পাঁচটা কোল্ড ড্রিংকস এর ক্যান অর্ডার করলাম। কারণ জনি কোল্ড ড্রিংকস খেতে পছন্দ করে না।
যাইহোক সবাই বললো খাবারের টেস্ট খুব ভালো। আসলে নতুন রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের মান ভালো হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। আবার খাবারের উপর ডিসকাউন্টও দিয়ে থাকে। কারণ কাস্টমারদের আকৃষ্ট করার জন্য এটা চমৎকার একটা মার্কেটিং পলিসি। টেস্ট অফ টাউন রেস্টুরেন্টেও ১০% ডিসকাউন্ট দিয়েছিল। আমরা খেতে খেতে বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে লাগলাম। এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার সময়, সবাই বললো যে গ্রুপ ছবি তুলবে। তারপর আমরা গ্রুপ ছবি তুলে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসলাম। সবমিলিয়ে খাওয়া দাওয়া করে এবং আড্ডা দিয়ে চমৎকার সময় কাটালাম। আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১১.১১.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার মুহূর্তটা যেমন অনেক আনন্দের তেমনি যে কোন রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খেতে গেলে দারুন মজা হয় আর খাওয়া-দাওয়া তো আছেই। সে রকম একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার লাইফ স্টাইলে এইরকম সুন্দর মুহূর্ত আরো ফিরে আসুক সেটাই কামনা করি । আমরাও এভাবে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করি এবং খাওয়া-দাওয়া করি ভালো লাগলো দেখে।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন, বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়া করতে এবং আড্ডা দিতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধুদের সাথে কাটানো দারুণ একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ভাইজান। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই অনুভূতিমূলক একটি পোস্ট পড়তে পেরে। আসলে এ জাতীয় পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লাগে যেখানে অনেকদিন পর দেখতে একজন বন্ধু একত্রিত হতে পারা যায় আবার একসাথে চলা যায়।
আপনার কাছে এই ধরনের পোস্টগুলো খুব ভালো লাগে,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বন্ধুদের সাথে এভাবে আড্ডা দিতে দিতে খাওয়া-দাওয়া করার মজাই আলাদা। আর আপনাদের একটা বন্ধু দুবাই থেকে কিছুদিনের জন্য বাড়িতে এসেছে তাহলে তো তার সাথে একটু আড্ডা দিতেই আগে। যাই হোক আপনাদের আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তগুলো পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই সেই ফ্রেন্ড মোটামুটি বছর খানেক পর আসলো বাংলাদেশে। তাই সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে এবং খাওয়া দাওয়া করে দারুণ সময় কাটালাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।