দেশি শিং ও মাগুর মাছ দিয়ে মটরশুঁটির ঝোল রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গতকালকে আমার আম্মু দেশি শিং ও মাগুর মাছ দিয়ে মটরশুঁটি রান্না করেছেন। সাথে আলু এবং টমেটো দেওয়াতে রান্নার স্বাদ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। মটরশুঁটি আমার খুব পছন্দের। যেকোন বড় মাছের সাথে মটরশুটি দিয়ে রান্না করলে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। আর দেশি শিং এবং মাগুর মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরের জন্যও অনেক উপকারী। যদিও দেশি শিং এবং মাগুর মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। যাইহোক রেসিপিটি আমার কাছে খুব সুস্বাদু লেগেছিল, তাই আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শিং ও মাগুর মাছ | ৩ টা |
মটরশুঁটি | ৫০০ গ্রাম |
আলু | ১৫০ গ্রাম |
টমেটো | ১ টা |
পেঁয়াজ | ৩টা |
কাঁচামরিচ | ৩টা |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
জিরার গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
প্রথমে চুলার উপর একটি কড়াই বসিয়ে দিল এবং কড়াই একটু গরম হওয়ার পর, পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিল।
তেল একটু গরম হওয়ার পর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে দিল।
পেঁয়াজ হালকা বাদামি রংয়ের হওয়ার পর, পরিমাণ মতো হলুদ-মরিচের গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো, রসুন বাটা এবং লবণ দিয়ে দিল।
মসলা গুলো একসাথে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিল এবং আগে থেকে কেটে রাখা শিং এবং মাগুর মাছের টুকরো গুলো দিয়ে দিল।
শিং এবং মাগুর মাছ ভেজে রান্না করলে, মাছের স্বাদ তেমন একটা থাকে না। সেজন্য মাছের টুকরো গুলো ভালো ভাবে কষিয়ে নিল, যেন গন্ধ না আসে।
মাছের টুকরাগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়ার পর, আলাদা একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখে দিল।
তারপর মটরশুঁটি এবং আগে থেকে কেটে রাখা আলু কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিল।
তারপর একটু নেড়ে আলু এবং মটরশুঁটি গুলো মসলার সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিল।
এরপর কড়াইয়ে থাকা সবকিছু রাইস কুকারের মধ্যে ঢেলে দিল এবং পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিল। তারপর আলাদা পাত্রে উঠিয়ে রাখা,কষানো শিং ও মাগুর মাছের টুকরো গুলো দিয়ে দিল এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিল ১০মিনিটের জন্য। এরপর রাইস কুকারের সুইচ নামিয়ে দিল।
১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে, আগে থেকে কেটে রাখা টমেটো এবং ধনিয়া পাতা গুলো দিয়ে দিল। তারপর ২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখল রান্না হয়ে গিয়েছে। এরপর রাইস কুকারের সুইচ উঠিয়ে দিল। ব্যাস এভাবেই রান্না সম্পন্ন হয়ে গেল।
তারপর লাঞ্চের সময় গরম গরম পরিবেশন করল।
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৪.২.২০২৩ |
দেশে শিং মাছ আপনি যেকোনো কিছু দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আসলে ডাক্তার অনেকসময় এই মাছটি খেতে খুব বলে। কারণ এই মাসে প্রচুর পরিমাণে রক্ত। আপনি খুব সুন্দর করে মটরশুটি দিয়ে শিং মাছ রান্না করেছেন। আপনার রান্নাটি দেখে বোঝাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি রান্নাটি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং খুব সুন্দর বর্ণনাও করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন, দেশি শিং মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য, অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
ভাইয়া,সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা।মনে হচ্ছে বেশ স্বাদের হয়েছে।যদিও আমি এই মাছগুলি খায়না।যাইহোক এগুলো খুবই উপকারী মাছ।তাছাড়া আমরা সব মাছ ভেঁজে রান্না করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু রেসিপিটা সত্যিই খুব সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
দেশীয় এই জাতের মাছগুলো যেমন কেটে সুস্বাদু তেমন পুষ্টিকর। আপনার উপস্থাপন করা রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে দেখেই জিভে জল চলে আসলো।
এই ধরনের মাছ ভুনা করে খেয়েছি তবে কখনো বুটের ডাল দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি নতুনভাবে রেসিপি প্রস্তুত করা দেখলাম একবার বাসায় ট্রাই করে দেখতে হবে।।
জি ভাইয়া একদিন বাসায় অবশ্যই এই রেসিপিটা ট্রাই করে দেখবেন। আশা করি ভালোই লাগবে খেতে । প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মটরশুঁটির ঝোল বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আর এই মটরশুটি দিয়ে যদি যেকোনো ধরনের মাছ রান্না করা হয় তাহলে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন, মটরশুটি যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও।
দারুন মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।শীতকালে মটরশুঁটি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুব মজা হয়। আপনি খুব সুন্দরভাবে রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। রান্নার কালার বেশ লোভনীয় হয়েছে।
আপনি একেবারে যথার্থ বলেছেন আপু,শীতকালে মটরশুঁটি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে আসলেই খুব মজা হয়। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাশে থাকার জন্য, অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
শিং খুব পছন্দ কিন্তু মাগুর মাছ একদম খেতে পারিনা। আপনি শিং ও মাগুর মাছ একসাথে মটরশুঁটির ঝোল রান্না করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে কখনো রেসিপি তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপির কালার দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া ইউনিক ও মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে এভাবে রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু, আশা করি খেতে খুব ভালো লাগবে। এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য, অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।