বন্ধুদের সাথে কাইকারটেক ব্রিজ ভ্রমণ,১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox,৫% বেনিফিশিয়ারি @abb-school
আসসালাম ওয়ালাইকুম, আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।এই ব্লগটি হচ্ছে ভ্রমণ সংক্রান্ত। গত শুক্রবার আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে কাইকারটেক ব্রিজে ঘুরতে গিয়েছিলাম। যেহেতু শুক্রবার হচ্ছে বন্ধের দিন, আর সবাই আমরা মোটামুটি ফ্রি থাকি।আর শুক্রবার বিকেলে তো একটু ঘোরাঘুরি না করলে হয়না। যেহেতু আমি ভ্রমন প্রিয় মানুষ। তো বিকেল ৪টার দিকে আমরা সবাই রওনা দিলাম। তারপর আমরা ৩০/ ৪০ মিনিট পর কাইকারটেক ব্রিজে পৌঁছে গেলাম। এখানে প্রতিদিনই কমবেশি অনেক মানুষ হয়ে থাকে, কিন্তু শুক্রবার মানুষের ঢল নামে এখানে। অনেক দূর দূরান্ত থেকে এখানে মানুষ আসে ঘুরতে।
লোকেশন - কাইকারটেক ব্রিজ, নারায়ণগঞ্জ
তারমধ্যে এখন ঈদের মৌসুম প্রচুর মানুষ এসেছে। এমন একটা অবস্থা যে ভাল করে হাটাও যাচ্ছিল না ভিড়ের জন্য। অনেকে এসেছে বন্ধু-বান্ধবের সাথে, ফ্যামিলির সাথে এবং অনেক কাপলস এসেছে। মূলত এখানে এত মানুষ আসার কারণ হচ্ছে ব্রিজে দাঁড়িয়ে খুব ফুরফুরে বাতাস অনুভব করা যায়। ব্রিজের উপরে অনেকগুলো ফুচকার দোকান আছে এখান থেকে ফুচকা খাওয়া যায়। ব্রিজের নিচে একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে যার নাম হচ্ছে জলতরঙ্গ এবং রেস্টুরেন্টের সামনে একটি ম্যাজিক বোটও রয়েছে। ব্রিজের নিচে অনেক নৌকা রয়েছে, ঘন্টা চুক্তি হিসেবে নৌকা দিয়ে ঘুরা যায় এখানে। নৌকা ভাড়া প্রতি ঘন্টায় নৌকার মাঝিরা ১২০-১৫০টাকা নিয়ে থাকে । তো প্রথমে আমরা অনেকক্ষণ ব্রিজে দাঁড়িয়ে আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করলাম এবং ফুরফুরে বাতাসে মন শীতল করলাম।তারপর কিছু ছবি তুললাম স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য।
লোকেশন - কাইকারটেক ব্রিজের নিচে
তারপর আমরা সবাই ব্রিজের নিচে নামলাম। নিচে নেমে দেখলাম অনেক মানুষ নৌকা ভ্রমণ করছে এবং ট্রলারে গান-বাজনা ও নাচানাচি হচ্ছে। তারপর আমরা জল তরঙ্গে রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম এখন কিছু খাবার অর্ডার করলাম। খাবার আসতে একটু দেরি হবে সেই সুযোগে কিছু ছবি তুললাম। তারপর খাবার খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম।
লোকেশন - জলতরঙ্গ রেস্টুরেন্ট, কাইকারটেক ব্রিজ, নারায়ণগঞ্জ
সেখান থেকে অল্প একটু সামনে হেঁটে গেলেই কাইকারটেক হাট আছে। প্রতি রবিবার সপ্তাহে একদিন এই হাট বসে থাকে। এই হাটে মোটামুটি সবকিছুই পাওয়া যায়। যেমন ছাগল, হাঁস, মুরগি,শাকসবজি, মাছ, মাংস আরো অনেক কিছু পাওয়া যায়। তবে এই হাটটি সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে পুতা মিষ্টির জন্য। অনেক বড় বড় পুতা মিষ্টি এই হাটে পাওয়া যায়। এখানে অনেক বড় বড় বাঁশ বিক্রি করা হয়। মোটামুটি সবসময়ই এখানে বাঁশ পাওয়া যায়।
লোকেশন - কাইকারটেক হাট , নারায়ণগঞ্জ
তারপর আমরা ব্রিজের উপরে উঠে গেলাম। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে, সন্ধ্যার পর ব্রিজে যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম আরো বেশি ফুরফুরে বাতাস হচ্ছিল,যা কিনা সবার মন ছুঁয়ে গেছে। তারপর আমরা ফুচকার দোকানে গিয়ে ফুচকা খেয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
লোকেশন - কাইকারটেক ব্রিজ, নারায়ণগঞ্জ
তারপর সবাই বাসায় চলে গেলাম। আসলে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আমার এই ভালো লাগার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে আরও ভীষণ ভালো লাগছে ।আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না এবং কোনো ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ও ধরিয়ে দিবেন সেই আশা করছি। আপনাদের সাপোর্ট পেলে আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে নতুন কোন ব্লগে সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ফটোগ্রাফি - মহিন আহমেদ
ডিভাইস -স্যামসাং গ্যালাক্সি এস নাইন প্লাস
কাইকারটেক ব্রিজ নামটা অদ্ভুত রকমের সুন্দর । ঈদের ঘোরাঘুরি মানুষের মাঝে অনেকদিন ধরেই চলমান থাকে । আপনিও দেখি সেই ধারা বজায় রেখেছেন ।
আপনার শুক্রবারের ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দর একটা স্থানের গুরুত্বপুর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ হলো ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আনন্দময় মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন আমার মতে ঈদের আমেজ দশ দিন থাকে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বন্ধুদের সাথে খুব দুর্দান্ত মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল, ধন্যবাদ।
হ্যাঁ বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো একটা সময় কেটেছে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত কষ্ট করে পোস্টটি পড়ার জন্য এবং এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই এরপর থেকে যেখানে ঘুরতে যাবেন। যদি সেটি নিয়ে কোন পোস্ট করেন। তবে সেই জায়গাটার ভালো কিছু ছবি শেয়ার করার চেষ্টা করবেন।
ঠিক আছে ভাইয়া চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।