জেনারেল রাইটিং || ছারপোকার অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ(শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন অনেক রাতে বুঝতে পারলাম ফ্লোরের ম্যাটের নিচে অসংখ্য ছারপোকা রয়েছে। কারণ তখন রুমের মধ্যে কিছুই ছিলো না। বলতে গেলে পুরো রুম ফাঁকা। তবুও যেহেতু এতো ছারপোকা বের হচ্ছে, তারপর রাতের বেলা লাইট অন করে ফ্লোরের ম্যাট একটু উঠিয়ে দেখলাম প্রচুর পরিমাণে ছারপোকা। তখন ভাবলাম ভিতরে তাহলে আরো অনেক ছারপোকা রয়েছে। যাইহোক সেদিনের মতো কোনো রকমভাবে ঘুমিয়ে পরলাম। কারণ সকালে অফিস আছে। যাইহোক পরের দিন ভাবতে লাগলাম এতো কিছু করার পরও তেমন কোনো কাজ হলো না। আর কি কি করা যায় সেটা ভাবলাম।
যাইহোক অফিস শেষ করে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে, পেঁয়াজ ব্লেন্ডার করে অফিস থেকে কয়েক ধরনের কেমিক্যাল নিয়ে মিক্সড করলাম। তারপর ফ্লোরের ম্যাটের ভিতরে স্প্রে করলাম। সেই স্প্রে ছারপোকার শরীরে মারার পরও ছারপোকা হাঁটছিল। তার মানে কোনো কাজ হলো না। যাইহোক ২/৩ দিন এভাবেই কেটে গেল। এরইমধ্যে আমার এক বন্ধুর কাছে জানতে পারলাম, আমরা যে মসজিদে নামাজ আদায় করি,সেই মসজিদেও নাকি প্রচুর পরিমাণে ছারপোকা হয়েছে। কথাটা শুনে বেশ অবাকই হলাম। পাঁচ তলা বিশিষ্ট সেই মসজিদটা দেখতে খুবই সুন্দর। বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা সেই মসজিদে নামাজ আদায় করে। আসলে রুমের মধ্যে ছারপোকা হওয়ার কারণে প্রচুর ঝামেলায় ছিলাম তখন।
তাই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল আমার। সেজন্য বেশ কয়েকদিন মসজিদে যাওয়া হয়নি। তাই বিষয়টা আমার জানা ছিলো না। তারপর আমার সেই বন্ধুর কাছে জানতে পারলাম মসজিদের প্রতিটি জায়গায় এক ধরনের টেপ ব্যবহার করা হয়েছে। টেপ এর দুই সাইডে আঠা থাকে। ছারপোকা হাঁটার সময় টেপ এর মধ্যে আটকে যায়। এটা নাকি বেশ কার্যকরী একটা উপায়। কারণ ছারপোকা রুমের প্রতিটি সাইড থেকে বের হয়ে থাকে। তাই সব জায়গায় এই টেপ লাগিয়ে রাখলে, ছারপোকা আটকে থাকবে এবং তারপর মারা যাবে। বুদ্ধিটা আমার খুবই ভালো লেগেছিল। জানতে চেষ্টা করলাম সেই টেপ কোথায় পাওয়া যায়। তারপর জানতে পারলাম একটি সুপার মার্টে সেই টেপ পাওয়া যায়।
সেই টেপ অনেকগুলো কিনলাম। তারপর আমরা রুমের প্রতিটি সাইডে এবং দেয়ালের মধ্যেও টেপ লাগিয়ে দিলাম। দেয়ালে এমনিতে ওয়ালপেপার লাগানো ছিলো। ওয়ালপেপার এর উপরে টেপ লাগিয়ে দিলাম। যাইহোক ২/১ দিনের মধ্যেই দেখলাম প্রতিটি সাইডে অনেক গুলো ছারপোকা আটকে ছিলো। তারপর আরো কিছু টেপ কিনে, আগের টেপ গুলো উঠিয়ে নতুন টেপ লাগিয়ে দিলাম। এভাবেই ছারপোকার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে লাগলাম। বেশ কিছুদিন পর খেয়াল করলাম রুমে আর কোনো ছারপোকা নেই। বেশ শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম তখন থেকে। যাইহোক অবশেষে এতো ভোগান্তির পর ছারপোকার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২৫.৯.২০২৩ |
লোকেশন | আনসান,গিয়ংগিদো, দক্ষিণ কোরিয়া |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
ছারপোকার অত্যাচারের জীবন অতিষ্ঠ সবগুলো পর্বই মোটামুটি আমি পড়েছিলাম। এই ছারপোকা নিয়ে আপনি অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন যাইহোক অবশেষে ছারপোকা থেকে মুক্তি পেয়েছেন জেনে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এবং এর কারণে শান্তি মতো থাকতেও ঘুমাতে পারছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু ছারপোকার কারণে দক্ষিণ কোরিয়াতে বেশ কয়েকমাস ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। আপনি প্রতিটি পর্ব পড়েছিলেন, সেজন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আশা করি প্রতিনিয়ত এভাবেই পাশে থাকবেন সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে। ভালো থাকবেন সবসময়।
ছারপোকার অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ এর প্রত্যেকটি পর্বই মোটামুটি আমার পড়া হয়েছে। ছারপোকার জন্য আপনি অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। শেষ পর্যন্ত আঠাযুক্ত টেপ ব্যবহারের মাধ্যমে ছারপোকা থেকে মুক্তি পেলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু শেষ পর্যন্ত দুই পাশে আঠাযুক্ত টেপ ব্যবহার করে ছারপোকা থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম সাউথ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায়। যাইহোক প্রতিটি পর্ব পড়ে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।