নাটক রিভিউ || দম
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে দম। এই নাটকটি সপ্তাহ খানেক আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে মুশফিক আর ফারহান এবং সাফা কবির। এই নাটকটি মূলত একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | দম |
---|---|
রচনা | আব্রাহাম তামিম |
পরিচালনা | রুবেল আনুশ |
অভিনয়ে | মুশফিক আর ফারহান,সাফা কবির এবং আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ১লা অক্টোবর ২০২৪ |
দৈর্ঘ্য | ৩৬ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের শুরুতে দেখা যায় নাটকের নায়ক মুশফিক আর ফারহান জ্যোতিষ এর কাছে হাত গণনা করতে যায়, তার কোনো মেয়ের সাথে প্রেম হয় না বলে। অর্থাৎ কোনো মেয়েকে তার ভালো লাগে না। ফারহানের ধারণা হচ্ছে তার মন নাকি অনেক শক্ত, তাই সে তার মন নরম করতে চায়। তাহলে নাকি সে প্রেম করতে পারবে। তারপর জ্যোতিষ প্রথমে বলে বান্দরবানে পাহাড়ে গিয়ে নাকি ৬ বছরের ধ্যানে বসতে হবে। এটা শুনে তো ফারহান ক্ষেপে যায় জ্যোতিষ এর উপর। তারপর জ্যোতিষ বললো যে আরেকটা বুদ্ধি আছে, সেটা হলো কয়েকটি সাদা কবুতর পুষতে হবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তাহলে ফারহানের মন নরম হবে এবং কোনো মেয়ের সাথে প্রেম হয়ে যাবে। তো ফারহান বেশ কয়েকটি কবুতর কিনে পুষতে থাকে। একদিন ফারহানের দুটি সাদা কবুতর এক লোক চুরি করে এবং সাফা কবির কবুতর দুটি কিনে নেয়। তারপর সেই চোরকে মারধর করে সাফা কবিরের বাসার ঠিকানা নিয়ে, ফারহান সাফা কবিরের বাসায় যায় কবুতর দুটি আনতে। কিন্তু ফারহান সাফা কবিরকে দেখে ভীষণ পছন্দ করে ফেলে এবং কবুতর দুটি সাফা কবিরের বাসায় রেখে, তার সাথে কিছু কথা বলে চলে আসে। দুই দিন পর হঠাৎ করে ফারহান দেখে যে,তার বাসার ছাঁদে একটি কবুতর সাফা কবিরের বাসা থেকে চলে আসে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তারপর সাফা কবিরও ফারহানের বাসায় আসে। এভাবেই আসা যাওয়ার মধ্যে তাদের দু'জনের প্রেম হয়ে যায়। এদিকে সাফা কবিরের বাবা সেটা জেনে যায় এবং সাফা কবিরকে বকা দেয়। তাছাড়া সাফা কবিরের বাবা তার বন্ধুর ছেলের সাথে সাফা কবিরের বিয়ে ঠিক করে। তারপর সাফা কবির এবং ফারহান সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা দু'জন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। এরপর তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলে। তারপর সাফা কবিরের বাবা ফারহানের নামে অপহরণ মামলা দেয়। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
আসলে প্রেম ভালোবাসা বলে কয়ে আসে না এবং কখন কার সাথে প্রেম হয়ে যায় সেটা বলা যায় না। তো এই নাটকটি আমার কাছে একেবারে বাস্তব সম্মত মনে হয়েছে। কারণ বাস্তবেও এভাবে প্রেম ভালোবাসা হয়ে যায়। তবে প্রতিটি মা বাবার উচিত সন্তানের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া। কারণ সারাজীবন যেহেতু একজন মানুষের সাথে থাকতে হবে, তো সেই হিসেবে পছন্দের একটা ব্যাপার তো থেকেই যায়। তাছাড়া মা বাবার সিদ্ধান্ত যে সবসময় সঠিক হবে, সেটাও কিন্তু ঠিক না। কারণ মানুষ মাত্রই ভুল। অর্থাৎ ভুল যে কারোরই হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ মা বাবা সন্তানের পছন্দকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে চায় না। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। ফারহানের নাটক সবসময়ই আমার খুব ভালো লাগে। যদিও সাফা কবিরের নাটক আমার ততোটা ভালো লাগে না। তবে এই নাটকে তারা দুজনেই বেশ ভালো অভিনয় করেছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৮.১০.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
ভাইয়া আপনি দারুণ একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন। কালকে আমি এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করছি।মুশফিকের নাটক আমার কাছে সব সময় অনেক ভালো লাগে। যাইহোক আপনার পোস্টে দম নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি এই নাটকের রিভিউ কালকে শেয়ার করেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া এই নাটকটা আমি একটু আগেই ডাউনলোড করলাম দেখব বলে। আর এখন আপনার রিভিউ দেখছি। বেশ ভালো লাগলো নাটক রিভিউ পড়ে। রিভিউ পড়ে নাটকের বিষয়টা অনেকটাই জেনে গেলাম দেখলে আরো ভালো লাগবে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আশা করি নাটকটি দেখলে আপনার খুব ভালো লাগবে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নাটক দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি। সময় পেলেই নাটক দেখি। তবে এই নাটকটি এখনো দেখিনি ভাইয়া। চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
এই নাটকটি সময় পেলে দেখতে পারেন। কারণ নাটকটি খুব সুন্দর। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মুশফিক আর ফারহান ও সাফা কবির দুজনেই আমার প্রিয় অভিনয় শিল্পী। এদের অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এই নাটকটি দেখা হয়নি ভাইয়া। সময় পেলে নাটকটি দেখবো।
আমার কাছে ফারহানের অভিনয় খুব ভালো লাগে। কিন্তু সাফা কবিরের অভিনয় কেনো জানি ভালো লাগে না। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি ফারহানের খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। যদিও এই নাটক এখনও দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ফারহানের নাটক দেখতে আমিও খুব পছন্দ করি। কিন্তু সময়ের অভাবে অনেক দিন হয়েছে নাটক দেখা হয়না। তবে আপনার রিভিউ পড়লেই যেনো অর্ধেক দেখা হয়ে যায়। আপনি সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
নাটকটি আসলেই খুব সুন্দর। ফারহান খুব ভালো অভিনয় করে। সময় পেলে নাটকটি দেখে নিবেন। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।