ভিডিওগ্রাফি পোস্ট || রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের এক পাশ থেকে ধারণকৃত কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।
এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি করেছিলাম রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের এক পাশ থেকে। রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের এক পাশ থেকে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দারুণভাবে উপভোগ করা যায়। তাছাড়া পার্কের এক পাশে ইংরেজিতে "আই লাভ পলওয়েল পার্ক রাঙ্গামাটি" লেখাটা দেখে দারুণ লেগেছিল। আমার সাথের বন্ধু বান্ধব এবং ভাই ব্রাদাররা নিজেদের ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। সেদিন মেঘলা ওয়েদার ছিলো এবং হালকা বৃষ্টি হয়েছিল বলে,ঘুরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগছিলো। কারণ বেশি গরমে ঘুরাঘুরি করতে অস্বস্তি লাগে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফি করতে করতে সামনের দিকে গিয়ে দেখলাম একটা ওয়াচ টাওয়ারের মতো। তো সেখানে প্রচুর মানুষ ছিলো। আসলে সেই জায়গা থেকে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। চারপাশটা এতো বেশি সুন্দর লেগেছিল, যা বলার মতো নয়। এমনিতেই সেদিন ওয়েদার ঠান্ডা ছিলো, এরমধ্যে ফুরফুরে বাতাস এসে শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দিয়েছিল। ভিডিওগ্রাফিটা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন এই জায়গাটি কতো সুন্দর। যারা এই জায়গা এখনো ভ্রমণ করেননি, তারা অবশ্যই একবার হলেও এই জায়গা ভ্রমণ করতে যাবেন।
ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মানুষের চিৎকার চেচামেচির সাউন্ড ছিলো প্রচুর, তাই আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন সেই শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
👇ভিডিওগ্রাফির লিংক👇
ভিডিওগ্রাফিটা ইনশট অ্যাপ দিয়ে এডিট করা হয়েছে
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
ভিডিওগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৫.৭.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
হালকা বৃষ্টির দিনে মেঘলা ওয়েদারে এমন জায়গাই ঘোরাঘুরি করার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে। আমার তো ইচ্ছা থাকলেও উপায় একেবারেই হয় না। দারুণ লাগল আপনার ভিডিওগ্রাফি টা ভাই। এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। দারুণ ছিল আপনার ভিডিওগ্রাফি টা।
আসলেই ভাই মেঘলা ওয়েদারে দীর্ঘক্ষণ ঘুরাঘুরি করলেও বেশ ভালো লাগে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।