ভ্রমণ পোস্ট || রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। ৩/৪ মাস আগে বন্ধু বান্ধব এবং ভাই ব্রাদারদের সাথে রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন রাতে আমরা ৭ জন আমার গাড়ি নিয়ে রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গিয়েছিলাম। যাইহোক ঈদুল আজহার আগেই আমরা প্ল্যান করে রেখেছিলাম, ঈদুল আজহার ২/১ দিন পরেই দূরে কোথাও ঘুরতে যাবো। তো প্রথমে আমরা প্ল্যান করেছিলাম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে যাবো। কারণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অনেকবার দেখা হলেও,কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কখনোই দেখা হয়নি আমাদের কারোরই। তো সেই প্রেক্ষাপটে সবার প্ল্যান ছিলো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার।
তাছাড়া শুনেছি যে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দারুণভাবে উপভোগ করা যায়। তো সবমিলিয়ে সিদ্ধান্ত এটাই ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানতে পারি যে,কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত নাকি তেমন সুন্দর না। অর্থাৎ যারা গিয়েছে তারাই এটা বললো। তারপর আমিও ইউটিউব এবং গুগলে সার্চ দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি আর কি কি স্পট রয়েছে দেখার মতো। তো খেয়াল করে দেখলাম যে তেমন ভালো কোনো স্পট নেই সেখানে। মানে আমাদের কারো কাছেই ভালো লাগেনি। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম যে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাবো না। আমরা প্রথমে রাঙ্গামাটি ঘুরবো,তারপর বাসায় ফেরার পথে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরাঘুরি করে, এরপর বাসায় ফিরবো। যাইহোক ঈদের আগের দিন আমার গাড়ির ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে বলেছিলাম, ঈদের পরের দিন রাত ১২ টার দিকে আমরা রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে রওনা দিবো।
যেহেতু আমার গাড়ি গুলশানে পার্কিং করা থাকে, তো ড্রাইভার ঈদের পরের দিন রাত ৮ টার পর গুলশান থেকে গাড়ি নিয়ে আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলো। তারপর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমার বাসায় পৌঁছে গেলো। তারপর ড্রাইভারকে খাওয়া দাওয়া করালাম এবং একটু রেস্ট নিয়ে আমরা ৭ জন রাত ১২ টার কিছুক্ষণ আগে রওনা দিলাম রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে। আসলে ঈদের সময় রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা থাকে বলে গাড়ি দিয়ে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। তাই আমি ঈদের সময় ছাড়া অন্যান্য সময়ে গাড়ি নিয়ে খুব বেশি বের হই না। কারণ ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকতে আমার খুবই বিরক্ত লাগে। যাইহোক রাতের বেলা ফাঁকা রাস্তায় মিউজিক অন করে জার্নি করতে খুব ভালো লাগছিলো। আমরা রাত ২টার দিকে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম পৌঁছে গিয়েছিলাম।
তারপর সেখানকার একটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে ৩০ লিটার অকটেন কিনলাম প্রায় ৪,০০০ হাজার টাকা দিয়ে। ফিলিং স্টেশনে একটু হাঁটাহাঁটি করে, কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। তারপর আমরা গাড়িতে উঠে আবারও রওনা দিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তো আমরা ভোর ৪টার আগেই চট্টগ্রাম পৌঁছে গেলাম। তারপর ভাবলাম যে চট্টগ্রাম কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে, তারপর রাঙ্গামাটির দিকে রওনা দিবো। কারণ চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি যেতে ২ ঘন্টারও কম সময় লাগবে। তাছাড়া আমরা প্রথমে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে যাবো। তো সকাল ৬ টার আগে গেলে সেখানে কাউন্টার বন্ধ থাকতে পারে,সেটা ভেবেই আমরা চট্টগ্রামের একটি হোটেলে ঢুকলাম চা খাওয়ার জন্য। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৬.১০.২০২৪ |
লোকেশন | কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
ভাই নিজের গাড়ি দিয়ে রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের প্রথম পর্ব শেয়ার করলেন। যে সময় ভ্রমনে যান তখন আপনার সাথে আমার ডিস্কর্ডে কথা হয়েছিল। বড় একটি জার্নি দিলেন। ধীরে ধীরে পর্ব গুলো পড়বো। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই তখন আপনার সাথে ডিসকর্ডে কথা হয়েছিল রাঙ্গামাটি ট্যুরের ব্যাপারে। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনারা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটি চেঞ্জ করে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।আসলেই ভালো জায়গায় যাওয়ার জন্য সকলের মধ্যেই বাড়তি একটা আগ্রহ কাজ করে।আর আপনারা নিশ্চয়ই দারুণ জায়গায় ভ্রমন করেছিলেন।পরবর্তী পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম,ধন্যবাদ ভাইয়া।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার আগে রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়েছিলাম। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
আপনার কাছ থেকে আজকের এই সুন্দর পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি আজকের এই সুন্দর ভ্রমনের এখানে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন তা পরে খুবই ভালো লাগছে৷ একই সাথে এখানে এই সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি আপনি খুব সুন্দরভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একইসাথে এর মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ভবিষ্যতে এর আরো অনেকগুলো পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
সামনে এই ব্লগের আরও কিছু পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।