প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ৫/৬ দিন আগে বাজারে গিয়ে ইলিশ মাছ ও চিংড়ি মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনেছিলাম এবং আজকে সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক আপনারা অনেকেই জানেন যে, গত সপ্তাহে বন্ধুদের সাথে মাওয়া গিয়েছিলাম ইলিশ খেতে। তো ইচ্ছে ছিলো সেদিন মাওয়া থেকে ইলিশ কিনে বাসায় নিয়ে আসবো। কিন্তু আমরা তো রাতের বেলা গিয়েছিলাম,তাই ইলিশ মাছ ততোটা ভালো পাইনি সেখানকার বাজারে। তবে হোটেল গুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম বড় সাইজের ইলিশ মাছ আছে নাকি। কিন্তু হোটেলে ১ কেজি সাইজের ইলিশ কয়েকটি পেলেও, প্রতিটি ইলিশ ছিলো ডিমওয়ালা। তাছাড়া বরফ দেওয়া মাছগুলো দেখতেও তেমন ফ্রেশ লাগেনি। তাই শেষ পর্যন্ত সেদিন মাওয়া থেকে বাসার জন্য ইলিশ মাছ কেনা হয়নি।

তাই সেদিনই ভেবে রেখেছিলাম আমাদের এলাকার মাছের বাজারে গিয়ে বড় একটি ইলিশ মাছ কিনবো বাসার জন্য। কারণ আমি তো মাওয়া গিয়ে ঠিকই ইলিশ মাছ খেয়েছি মজা করে, কিন্তু পরিবারের কেউ তো খায়নি। সেটা ভেবেই বড় সাইজের ইলিশ মাছ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যাইহোক ৫/৬ দিন আগে একটু জরুরী কাজে চিটাগাং রোডে গিয়েছিলাম। তো কাজ শেষ করে যখন মদনপুর ফিরলাম, তখন মাছের বাজারে ঢুকলাম মূলত ইলিশ মাছ কেনার জন্য। প্রথমে মাছের বাজারে ঢুকে পুরোটা বাজারে ঘুরে দেখলাম ইলিশ মাছ কেমন রয়েছে। সেদিন অবশ্য ৬/৭ টি দোকানে ইলিশ মাছ ছিলো। কিন্তু বেশিরভাগ দোকানে ১ কেজি সাইজের ইলিশ মাছ ছিলো। আমার ইচ্ছে ছিলো ১.৫/২ কেজি সাইজের একটি ইলিশ মাছ কিনবো। তো ১ কেজি সাইজের ইলিশ মাছ ১৫০০ টাকা কেজি দাম চেয়েছিল। তারপর খুঁজে খুঁজে দুটি দোকানে দেখলাম ১.৫ কেজি সাইজের ইলিশ মাছ রয়েছে।

এক দোকানে ১.৫ কেজি সাইজের ইলিশ মাছের দাম চাইলো ২,০০০ টাকা কেজি এবং লাস্ট ১,৮০০ টাকা কেজি রাখতে পারবে। আমি ১,৬০০ টাকা কেজি দাম বলেছিলাম। কিন্তু সেই দোকানদার রাজি হয়নি। তারপর অন্য দোকানে গিয়ে,আমি বললাম সবচেয়ে বড় সাইজের একটি ইলিশ মাছ বের করেন। তারপর ভিতর থেকে আমার জন্য সবচেয়ে বড় সাইজের একটি ইলিশ মাছ খুঁজে বের করলো। সেই ইলিশ মাছটির ওজন হয়েছিল ১,৬১২ গ্রাম। উনি প্রথমে ২,২০০ টাকা কেজি দাম চাওয়ার পর,আমি বললাম মাওয়া তে আরও অনেক কমদামে বিক্রি করে। কিন্তু আপনারা দাম অনেক বেশি চেয়ে থাকেন বলে,ইলিশ মাছ সেভাবে বিক্রি করতে পারেন না। তো দামাদামি করে শেষ পর্যন্ত সেই ইলিশটা ১,৭০০ টাকা কেজি দাম নির্ধারণ করা হলো। এতে করে ইলিশ মাছের দাম এসেছিল ২,৭৪০ টাকা। মাছটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল। দেখেই বুঝেছিলাম অল্প পরিমাণে ডিম হবে সেই মাছে।

যাইহোক ইলিশ মাছ কেনার পর ওয়াইফকে ফোন দিলাম মাছটি কেটে আনবো কিনা। তারপর ওয়াইফ বললো ওর মা অর্থাৎ আমার শ্বাশুড়ি নাকি আমাদের বাসায় এসেছে। তাই উনাকে দিয়েই মাছটা কাটাবে। তাই ইলিশ মাছটা বাজার থেকে কেটে নেইনি। সাধারণত আমার ওয়াইফ মাছ কাটতে পারে না বলে,বাজার থেকে কেটে নিয়ে যাই। যাইহোক এরপর মিডিয়াম সাইজের ১ কেজি বাগদা চিংড়ি মাছ কিনলাম ৭৫০ টাকা দিয়ে। তারপর বেশ কয়েক ধরনের সবজি কিনে নিলাম। নয়তো ২ দিন পর আবারও সবজি কিনতে যেতে হতো বাজারে। যাইহোক সবকিছু কিনে একটি অটো নিয়ে সাথে সাথে বাসায় চলে এসেছিলাম। যাইহোক ইলিশ মাছটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। আসলে বড় সাইজের ইলিশ মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। তাছাড়া ইলিশ মাছ কেনার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে। ইলিশ মাছের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে আমার মনে হচ্ছে।