ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (চতুর্থ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে চতুর্থ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। পাটুয়ারটেক বিচে নেমে আমরা হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম। কিন্তু সেদিন প্রচন্ড রোদ ছিলো। আর রাস্তা থেকে এই বিচের এরিয়া অনেক কম। মানে বিচে অল্প একটু হাঁটলেই সমুদ্রের পানি। তাই এই বিচে হাঁটাহাঁটি করার সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম। তবে এই বিচে অনেক পাথর রয়েছে। সেই পাথরগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। এই পাথর গুলো ইনানী বিচ,লাবণী বিচ কিংবা সুগন্ধা বিচে দেখা যায় না। তাই আমার কাছে এই বিচটা খুব ভালো লাগে। তবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এমন অনেক পাথর দেখা যায়।
Location
তাছাড়া এই বিচের পানির কালারও খুব সুন্দর লেগেছিল দেখতে। এই বিচে মানুষজন কমই গোসল করে থাকে। সেদিনও হাতেগোনা কয়েকজন পাটুয়ারটেক বিচে গোসল করছিলো। অনেক আগে শুনেছিলাম এই বিচে নাকি ফিল্মের শুটিং হতো। যাইহোক আমরা ঘুরাঘুরি করার ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। আমরা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পাটুয়ারটেক বিচে থেকে, তারপর ইনানী বিচের দিকে রওনা দিলাম। মেরিন ড্রাইভের রাস্তাটা আমার খুব ভালো লাগে। কারণ রাস্তাটা যেমন সুন্দর, তেমনি বিচের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে যাওয়া যায়। সিএনজি তে চড়ে যেতে যেতে হঠাৎ একটা জায়গা খুব পছন্দ হলো। তারপর ড্রাইভারকে বললাম সিএনজি থামাতে। কারণ জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর ছিলো। তাই ভেবেছিলাম সেই জায়গায় কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে, তারপর ইনানী বিচের দিকে যাবো।
Location
মূলত জায়গাটা ছিলো সাগর নিবাস রিসোর্টের প্রাইভেট বিচ। দূর থেকে দেখে আমার কাছে এই বিচটা এতটাই সুন্দর লেগেছিল যে,আমি তীব্র রোদ উপেক্ষা করে,বিচে হেঁটে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে, একেবারে সমুদ্রের পানির সামনে চলে গিয়েছিলাম। তবে রোদ থাকলেও বাতাস বেশ ভালোই ছিলো। তাই রোদের তাপ শরীরে সেভাবে লাগছিলো না। তবে আমার কাছে শীতকালে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কক্সবাজারে যেতে। কারণ সমুদ্রের আশেপাশে এমনিতেই প্রচুর গরম থাকে। গরমের দিনে তো তীব্র রোদে বিচের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করতে ভীষণ কষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক সেটা সাগর নিবাস রিসোর্টের প্রাইভেট বিচ হওয়ায় মানুষের আনাগোনা একেবারেই ছিলো না তখন। হয়তোবা বিকেলে অনেক মানুষ এই বিচে গিয়ে সময় কাটিয়ে থাকে। তবে সেই বিচের পানির কালারটা অনেক সুন্দর লেগেছিল। পানির কালার ছিলো অনেকটা নীল এবং সবুজ কালারের কম্বিনেশন। আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি সেই বিচে।
Location
তাছাড়া ২/১ টা ভিডিও করেছিলাম। আপনাদের সাথে এর আগে এই বিচ থেকে ধারণকৃত একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করা দেখে আমার ওয়াইফ কিছুটা বিরক্ত বোধ করছিলো। তাই মোটামুটি ৩০/৪০ মিনিটের মতো ছিলাম সেই প্রাইভেট বিচে। আসলে তীব্র রোদ ছিলো বিধায় আমার ওয়াইফের কিছুটা বিরক্ত লেগেছিল সেই বিচে থাকতে। তবে বিকেল বেলা এই বিচে সময় কাটাতে বেশি ভালো লাগবে। যাইহোক এরপর আমরা সিএনজি তে উঠে ইনানী বিচের দিকে আবারও রওনা দিলাম। তবে ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেতে যেতে সুন্দর স্পট চোখে পরলে যাতে গাড়ি থামায়। যেহেতু সিএনজি ভাড়া করেছিলাম সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করার জন্য, তাই খুব ভালোভাবে ঘুরাঘুরি করার চেষ্টা করেছিলাম। যাইহোক ইনানী বিচে গিয়ে আমরা কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
Location
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৩.৫.২০২৪ |
লোকেশন | কক্সবাজার,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
কক্সবাজার যে বিচেই যাওয়া হয় না কেন, সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া মেরন ড্রাইভের রাস্তাটাও করেছে অনেক সুন্দর করে। গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় বুঝা যায় আকাশে উড়ছে। যায়হোক,ইনানী বিচের ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই কক্সবাজারের যেকোনো বিচ খুবই সুন্দর। আগামী পর্বে ইনানী বিচের অনেক গুলো ফটোগ্রাফি দেখতে পাবেন ভাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমরা ইতোমধ্যে আপনার কক্সবাজার ভ্রমনের বেশ কয়েকটি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজকে আপনি আরেকটি নতুন পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এখন পর্যন্ত কোন দিন কক্সবাজার ভ্রমন করা হয়নি।আর আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম পাটুয়ারটেক বিচে মানুষ তেমন গোসল করে না। তবে, এই বিচের মধ্যে তবুও প্রচুর পরিমাণ মানুষের ভীড়। যাইহোক আপনি কক্সবাজারে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।
হ্যাঁ ভাই পাটুয়ারটেক বিচে প্রায় সবসময়ই মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কক্সবাজার ১২০ মিলিমিটার বিচ। এত বড় বিচে কত মানুষ কত জাগায় ঘুরে আনন্দ উপভোগ করে। মানুষ বেশি অংশ সুগন্ধা পয়েন্টে,ইনানী পয়ন্টে এগুলোতে বেশি সময় কাটায়। আপনি পাটুয়ারটেক বিচ থেকে দারুন কিছু ছবি ধারন করেছন। এখন ইনানী বিচের ছবি গুলো দেখতে চাই। ধন্যবাদ।
বেশিরভাগ মানুষ সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্টে সবচেয়ে বেশি সময় কাটায়। কারণ ইনানী এবং পাটুয়ারটেক বিচ ডলফিন মোর বা কলাতলী রোড থেকে অনেক দূর। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার এই ভ্রমনের একের পর এক পর্ব গুলো দেখে আসছি৷ আজকের পর্বটি দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আজকে এই ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং উপভোগ করা সবগুলো মুহূর্ত খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাবিকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের দু একটা পর্ব আমি আগে পড়েছিলাম বেশ ভালো ছিলো। ভাবিকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের এটা চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে কক্সবাজার সম্পর্কে অনেক ধারণা পেলাম ভাইয়া। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো ভালো কিছু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
যারা কখনো কক্সবাজার যায়নি,আশা করি তারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে এই ব্লগের প্রতিটি পর্ব পড়ে। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।