লাইফস্টাইল পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কেএফসি তে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। মাস দুয়েক আগে সন্ধ্যার পর আমি এবং আমার ওয়াইফ কেএফসি তে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক আমরা মূলত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নারায়ণগঞ্জ শাখায় বিকেলে ডক্টর দেখাতে গিয়েছিলাম সেদিন। তো আমরা বিকেলে ডক্টর দেখানোর পর, ডক্টর বললো আমার ওয়াইফকে টিভিএস টেস্ট করাতে। তো টেস্ট ফি জমা দিয়ে রিসিপ্ট নিয়ে যখন টিভিএস টেস্ট করাতে গেলাম, তখন তো সিরিয়াল দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। সিরিয়াল দেখে মনে হয়েছিল মিনিমাম ২/৩ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর হয়তোবা টিভিএস টেস্ট করানো যাবে। এদিকে ডক্টর ১০ টা বাজে চলে যাবে। ডক্টর বলেছিলো টিভিএস টেস্ট করিয়ে, রিপোর্ট নিয়ে উনাকে রিপোর্ট সেদিনই দেখাতে।
যদি সেদিন সম্ভব না হয়,তাহলে পরের দিন হসপিটালে গিয়ে রিপোর্ট দেখাতে। যাইহোক আমরা অল্প কিছুক্ষণ বসার পর ভাবলাম যে ২/৩ ঘন্টা বসে অপেক্ষা না করে, বাহিরে থেকে একটু ঘুরাঘুরি করে কিছু খেয়ে আসি। তাহলে সময়টা তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। তো হসপিটাল থেকে বের হওয়ার সময় আমার ওয়াইফকে বললাম যে কেএফসি তে যাই। কারণ কেএফসি এর চিকেন ফ্রাই আমার খুব পছন্দ। তাছাড়া আমার ওয়াইফ কেএফসি এর বার্গার খুব পছন্দ করে। তবে আমি বার্গার খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু আমি পিজ্জা খুব পছন্দ করি। যাইহোক পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের হয়ে, ৩/৪ মিনিট হেঁটে কেএফসি তে পৌঁছে গেলাম। কেএফসি এর বিল্ডিংটাও খুব সুন্দর করেছে। সেই বিল্ডিংয়ে মিঃ বাফেট রয়েছে। তাছাড়া আরও কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যাইহোক কেএফসি তে ঢুকে আমরা একটি টেবিল নিয়ে বসে পড়লাম। তারপর চিকেন ফ্রাই, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার দিলাম।
কম্বো অফারে চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কোল্ড ড্রিংকস ১টা এবং একটি ছোট রুটি নিলাম। তাছাড়া আলাদা করে ১টা বার্গার এবং ১টা কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার দিলাম। সবমিলিয়ে বিল আসলো ৮৫৭ টাকা। আমরা সবাই জানি কেএফসি তে বিল আগে পেমেন্ট করতে হয়। তো আমি কার্ডের মাধ্যমে বিল পে করে,আমরা দু'জন অপেক্ষা করতে লাগলাম। সেদিন কেএফসি তে বেশ ভালোই ভিড় ছিলো। এমনিতেও কেএফসি এর চাষাড়া শাখায় প্রায় সবসময়ই প্রচুর ভিড় হয়। যাইহোক আমরা দু'জন গল্প করতে করতে টেবিলে খাবার চলে আসলো। তারপর আমরা দু'জন খাওয়া শুরু করলাম। কেএফসি এর চিকেন ফ্রাই নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। মুখে দেওয়ার পর জাস্ট অসাধারণ লেগেছিল খেতে। আমার ওয়াইফ শুধু এক পিস চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলো এবং বার্গার খেয়েছিলো। কিন্তু বেশিরভাগ খাবার আমি একাই খেয়ে শেষ করে ফেলি। কারণ আমার ওয়াইফ বাহিরের খাবার খুব কম খায়।
যদিও সে পরবর্তীতে অল্প কয়েকটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়েছিলো। যাইহোক খাবারের মান ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। তো খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু বসার ইচ্ছে ছিলো, কারণ হসপিটালে গিয়ে তো আরও অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু দেখলাম যে অনেকেই খাবার খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু টেবিল খালি নেই বলে বসতে পারছে না। তাই আমরা উঠে তাদেরকে বসতে দিলাম। তারপর কেএফসি থেকে বের হয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলে গেলাম। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে টেস্ট করে,রিপোর্ট নিলাম। ততক্ষণে রাত ১১ টার বেশি বেজে যায়। তারপর গিয়ে দেখলাম ডক্টর চলে গিয়েছে। এরপর আমরা বাসায় চলে গেলাম এবং পরের দিন আবারও হসপিটালে গিয়ে ডক্টরকে রিপোর্ট দেখালাম। যাইহোক কেএফসি তে খাওয়া দাওয়া করে সত্যিই দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১০.১০.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
অপেক্ষা করতে আমার একদমই ভালো লাগে না। বিশেষ করে ডাক্তারের কাছে গেলে। লম্বা সিরিয়াল যেন শেষই হতে চায় না। বেশ ভালো করেছেন ভাইয়া আপুকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন। যাক খাওয়া-দাওয়া সেরে অবশেষে ডাক্তার দেখাতে পেরেছিলেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অপেক্ষা করতে আসলেই খুব বিরক্ত লাগে। তাইতো খাওয়া দাওয়া করে সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মাঝেমধ্যে প্রিয় মানুষটাকে সুযোগ দেওয়ার সময় দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। এভাবে যদি বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে যাওয়া খাওয়া-দাওয়া করতে যাওয়া যায় তাহলে সত্যি দুজনার মধ্যে মিল বন্ধন আরো বৃদ্ধি পায় এবং মন মানসিকতা ভালো থাকে। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে এভাবে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে দুই তিন ঘণ্টা অপেক্ষা না করে, এভাবে বাহিরে বের হয়ে একটু সময় কাটালেই ভালো হয়। আপনারা কেএফসিতে গিয়ে দেখছি বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ভালো একটা মুহূর্ত কাটাতে পেরেছেন। সবশেষে ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন জেনে ভালো লেগেছে। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্টটি।
সবমিলিয়ে আমরা সেদিন আসলেই দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে ভালো লাগে না। ডাক্তার কাছে গেলে এই বিষয়টা খুবই বিরক্ত লাগে। আপনার কেএফসি তে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি বেশ দারুন ছিলো। খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত গুলো দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন। আসলেই দারুণ সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই, ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করাটা খুবই বিরক্তিকর একটি কাজ। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।