আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে তোমাকে পেয়ে গেলে। এই নাটকটি ২ দিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ইয়াশ রোহান এবং তানজিম সাইয়ারা তটিনী। ইয়াশ রোহান এবং তটিনীর বেশ কয়েকটি নাটক দেখেছিলাম। এই দুজনের জুটি বেশ ভালোই লাগে আমার। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক ইয়াশ রোহান এলাকার সন্তান এবং সে এলাকার উন্নয়নের নাম করে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এলাকার দোকানদারেরা ইয়াশ রোহান এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের জ্বালায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। নায়িকার বাবা আব্দুল্লাহ রানা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। রোহান নায়িকার বাবার কাছ থেকে একদিন চাঁদার টাকা আনতে যায় এবং তখন নায়িকা তটিনী এই বিষয়টা লক্ষ্য করে। তখন তটিনী রোহানকে কিছু বলে না, কারণ তটিনীর বাবা সামনে ছিলো বিধায়। একটু পর রোহান তটিনীকে দেখল এবং তার খুব ভালো লাগে তটিনীকে। রোহান বুঝতে পারে আব্দুল্লাহ রানা তটিনীর বাবা। যাইহোক তটিনী পরে রোহানকে রাস্তায় দেখে এবং তারপর রোহানের সাথে রাগারাগি করে চাঁদাবাজির ব্যাপারটা নিয়ে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তবুও রোহান এবং তার দল চাঁদাবাজি করা বন্ধ করে না। তারপর তটিনী রোহানকে খুব ভালোভাবে বুঝায় যে চাঁদাবাজি বন্ধ করে, চাকরি করতে এবং সৎভাবে বাঁচতে। রোহান অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয় চাঁদাবাজি করা বন্ধ করে দিবে এবং চাকরি করবে। রোহান তার দলের সবাইকেও এই কথা বলে। যাইহোক রোহান চাকরি খুঁজতে থাকে এবং তটিনীকে বলে যে সে ভালো হয়ে গিয়েছে। তটিনী এটা শুনে খুব খুশি হয়। এলাকার সবাই বেশ অবাক হয় রোহান চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয় বলে। তারপর তটিনীর বাবা একদিন জানতে পারে যে তটিনী রোহানের সাথে কথা বলে। এটা শুনে তটিনীর সাথে তার বাবা অনেক রাগারাগি করে এবং কথা বলতে নিষেধ করে। রোহান তটিনীর সাথে কথা বলতে চাইলে, তটিনী বলে যে তাকে ভুলে যেতে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

কারণ তটিনীর বাবা কখনোই এই সম্পর্ক মেনে নিবে না। রোহান একদিন তটিনীর বাবার কাছে অনেক অনুরোধ করে বলে যে, তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে। কিন্তু তটিনীর বাবা বলে যে অন্য কারো সাথে তটিনীর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। আসলে তটিনীও রোহানকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু পরিবারের বিরুদ্ধে তটিনী কখনোই যাবে না। তাই রোহানকে বারবার ফিরিয়ে দিয়েছিল। রোহান সিদ্ধান্ত নেয় চাকরির জন্য খুলনা চলে যাবে এবং তটিনীর কাছে চিঠি পাঠায়। তটিনী চিঠি পড়ে অনেক কান্নাকাটি করে। একদিকে রোহানকে ছেড়ে তটিনী থাকতে পারছিলো না,আবার তটিনীর বাবা অন্য কারো সাথে তটিনীর বিয়ে ঠিক করেছে। তটিনী উভয় সংকটে পড়ে যায়। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

নাটকের কাহিনীটা একেবারে বাস্তবসম্মত। আমি যখন নাটকটি দেখছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল না যে নাটক দেখছি। মনে হচ্ছিল বাস্তব ঘটনা ঘটছে আমার চোখের সামনে। আসলে মানুষ অনেক সময় সঠিক গাইডলাইনের অভাবেও বিপথে চলে যায়। কিন্তু অনেক সময় ভালোভাবে কেউ বুঝালে ভালো পথে চলে আসে। আর ভালোবাসার মানুষের কথা এমনিতেও কেউ সহজে ফেলতে পারে না। তাইতো রোহানকে তটিনী বুঝানোর পর রোহান ভালো হয়ে যায়। আসলে ভালোবাসা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। অনেক সময় পরিবার মেয়েদের মনের কথা বুঝতে পারে না। তারা জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চায়। এতে করে অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমান যুগে জোর করে কারো উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া মোটেই উচিত নয়। বরং প্রতিটি মেয়ের ইচ্ছাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। যাইহোক সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে। নাটকটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।

আমার রেটিং