📸ফটোগ্রাফি পোস্ট📸 || সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। বেশিরভাগ সময় আমি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি আপনাদের সাথে। তবে আজকে ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। যাইহোক সেই ভাবনা থেকেই আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এর মধ্যে বেশিরভাগ ফটোগ্রাফি শ্রীমঙ্গল থেকে ক্যাপচার করেছিলাম এবং বাকি গুলো অন্য জায়গা থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। মোটকথা ফটোগ্রাফি গুলো আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। আপনারা অনেকেই জানেন যে ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি বাহিরে গেলে কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে ফেলি। আমাদের কমিউনিটির অনেকেই প্রতিনিয়ত খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা আমি করেছিলাম ঢাকা মৌলভীবাজার হাইওয়ে রোডের পাশ থেকে। মূলত শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার পথে এই সুন্দর জায়গাটি চোখে পড়ে। চা কন্যা ভাস্কর্য থেকে অল্প একটু সামনে গেলেই এই জায়গাটি দেখা যায়। আপনারা যারা শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে গিয়েছেন,তারা এই জায়গাটি খুব ভালো করে চিনেন। আই লাভ শ্রীমঙ্গল লেখাটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আমরা এখানে একটু ঘুরাঘুরি করে উপরের দিকে উঠেছিলাম। যদিও উপরে দেখার মতো তেমন কিছুই ছিলো না।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা একই জায়গা থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। আসলে চা বাগান এর আগে আমি কখনো সরাসরি দেখিনি। তবে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার পথে এতো সুন্দর চা বাগান দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম, সামনে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর চা বাগান রয়েছে। সবুজের সমারোহ দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। আমরা বেশ কিছুক্ষণ এই জায়গায় ঘুরাঘুরি করে, শ্রীমঙ্গল বাজারের দিকে চলে গিয়েছিলাম।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের সামনে থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। এই রিসোর্টের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ইচ্ছে ছিলো সেদিন এই রিসোর্টে ঢুকে লাঞ্চ করে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার। কিন্তু এই রিসোর্টে ঢুকতে হলে নাকি আগের দিন বুকিং দিতে হয় ফোনের মাধ্যমে। মূলত গেইটের সামনে থাকা সিকিউরিটি গার্ড বললো, তাদের নাকি ঢাকায় অফিস আছে। তাদের সাথে ফোনের মাধ্যমে কথা বলে লাঞ্চ কিংবা ডিনারের জন্য বুকিং দিতে হয় আগেই। তাছাড়া এই রিসোর্টে খুব সুন্দর সুন্দর রুম রয়েছে থাকার জন্য। যারা এই রিসোর্টে থাকতে যায়, তারা ভিতরে ঢুকে যেকোনো সময় রুম বুকিং এর ব্যাপারে কথা বলতে পারে। আমরা যেহেতু ১ দিনের ট্যুরে গিয়েছিলাম,তাই রুমে থাকার কোনো আগ্রহ ছিলো না আমাদের।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে খাসিয়া পল্লী। খাসিয়া পল্লীতে আদিবাসীরা বসবাস করে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে ঢুকে, হাঁটতে হাঁটতে একেবারে শেষ প্রান্তে চলে গিয়েছিলাম এই খাসিয়া পল্লী দেখতে। সেখানকার বাড়িঘর গুলো আসলেই অন্য রকম। বেশ কয়েকজন দেখলাম অনেক গুলো করে পানপাতা পরিষ্কার করছে। সেখানে ঘুরাঘুরি করে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে জবা ফুলের ফটোগ্রাফি। খাসিয়া পল্লীতে ঘুরাঘুরি করতে করতে হঠাৎ এই জবা ফুলটি দেখতে পেয়েছিলাম। জবা ফুল বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। খাসিয়া পল্লীতে বেশ কিছু ফুলের গাছ ছিলো। তবে তার মধ্যে এই ফুলটি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে ঢেঁড়সের ফটোগ্রাফি। ২/৩ দিন আগে বেলা ১২ টার দিকে সবজি কিনতে গিয়েছিলাম আমাদের মদনপুরের কাঁচা বাজারে। তো বিভিন্ন ধরনের সবজি কেনার পাশাপাশি ঢেঁড়স কিনেছিলাম। এই ঢেঁড়স গুলো একেবারে ফ্রেশ ছিলো। মানে ক্ষেত থেকে তুলে এনেছিল বিক্রি করার জন্য। একেবারেই পানি দেওয়া ছিলো না ঢেঁড়স গুলোতে। সেজন্য এই ঢেঁড়স ভাজি করে খেতে দারুণ লেগেছিল। এতগুলো তাজা ঢেঁড়স একসাথে দেখে খুব ভালো লেগেছিল। তাই আমি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে পাকা আমের ফটোগ্রাফি। পাকা আম পছন্দ করে না,এমন মানুষ খুব কমই আছে। আমার তো পাকা আম ভীষণ পছন্দ। এগুলো হচ্ছে হিমসাগর আম। সেদিন ৫ কেজি হিমসাগর আম কিনেছিলাম। তবে এই আমগুলো একটু ছোট ছিলো। আমি এগুলো না কিনে,এর পাশে থাকা বড় হিমসাগর আম কিনেছিলাম। আমগুলো প্রচুর মিষ্টি লেগেছিল খেতে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৮.৬.২০২৪ |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ। শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে চায়ের বাগান দেখে খুব সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি করলেন । আর সেটা আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি এর মধ্যে জবা ফুল মন কেড়ে নিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জবা ফুলটি সামনাসামনি দেখতে আরও বেশি সুন্দর লেগেছিল। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
চা বাগান এবং ঢেঁড়সের ফটোগ্রাফি গুলো আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে । এবং বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও আপনি অনেক প্রফেশনাল ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন যেটা দারুন একটা বিষয় । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
চেষ্টা করেছি প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করার জন্য। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ এবং প্রতিটি ছবি নিজস্ব একটি গল্প বলে। শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, খাসিয়া পল্লীর জীবনযাত্রা, এবং তাজা ঢেঁড়সের ফটোগ্রাফি—প্রতিটি মুহূর্ত অসামান্য সৌন্দর্যে ভরপুর। আপনার ফটোগ্রাফির প্রতি আপনার আন্তরিকতা এবং শিল্পীসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসনীয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছি। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির বেশ দারুন ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন আপনি। চা বাগানের ফটোগ্রাফি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন, জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফিই অসাধারণ লাগছে ভাইয়া।শ্রী মঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে চায়ের বাগান দেখে খুব সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি প্রতিটা ফটোর বর্ণনা অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে এমন মন্তব্য পেলে কাজের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সু স্বাগতম আপনাকে।
আপনার তোলা সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি করতে এবং দেখতে দুটোই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল ঢেঁড়সের ফটোগ্রাফিটি, কারণ ঢেঁড়স খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে বিশেষ করে ভুনা করে মাছ দিয়ে।
আপনার মতো আমারও ঢেঁড়স খুব পছন্দ। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া শ্রীমঙ্গল এমনিতেও অনেক সুন্দর। আমি গিয়েছিলাম। অনেক চা বাগান রয়েছে সেখানে। গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টটা অনেক সুন্দর। সেই জন্য এত ডিমান্ড। পরিবেশটা খুবই সুন্দর। সব গুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাইয়া। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই শ্রীমঙ্গল খুবই সুন্দর। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।