গল্প// মনবতার হাত বাড়িয়ে দাও //পর্ব-১
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে, যারা সম্মান ও মর্যাদার রক্ষার কারণে কারো কাছে হাত পাতে না। তবে তাদেরকে যদি একটু সাহায্য করা যায়, তাহলে তারা অনেক ভালো পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তাই আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে থেকে আমাদের বের করতে হবে কাদেরকে সাহায্য করতে হবে এবং তাদের উপকার করলে, সেই উপকারের প্রতিফল হিসেবে ভালো কিছু পাওয়া যাবে।আসলে মানবতায় পরম ধর্ম, আর মানবতারবোধ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে সেই সমাজ ব্যবস্থা অনেক উন্নতি হবে। আমরা যদি মানবতার মূল্যবোধ হিসেবে মানুষের পাশে তারাই এবং মানুষকে সাহায্য করি, যদি অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে না পারি, তবে শারীরিক মানসিকভাবে সাহায্য করতে পারি। তাহলেও অনেক উপকার হবে। আমাদের সমাজে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যাদের একটু দিকনির্দেশনা এবং যাদেরকে একটু সাহায্য করলেই। তারা অনেক বড় পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তাই আমাদের সমাজব্যবস্থাকে উন্নতি করার জন্য আমাদের সকলকে এক হতে হবে এবং এক হয়ে কাজ করতে হবে।
তেমনি আমাদের সমাজে একজন মানুষ রয়েছে। যার নাম রতন ভাই। এই রতন ভাই অনেক ভালো মনের একজন মানুষ ছিল। কিন্তু রতন ভাইয়ের দোকান পুরে যাওয়ার কারণে সে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। আসলে রতন ভাই খুব ভালোভাবে তার সংসার চালাচ্ছিলো কিন্তু তার দোকানে আগুন লেগে যায়। কিভাবে আগুন লেগে যায় সেটা সে বলতে পারে না। সকলে বলছে বিদ্যুতিক ভাবে তার দোকানে আগুন লেগে যায় এবং দোকানটা পুরে যায়। কিন্তু রতন ভাই একটা ভালো পরিবারের মানুষ ছিল যার কারণে দোকান পুড়ে যাওয়ার কারণে সে কারো কাছে হাত হাতে পাততো না। আর রতন ভাই কারো কাছে হাত পাতার কারণে সে ভালোভাবে চলতে পারছিল না এমন সময় আমাদের সমাজে কিছু মানুষ তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল আর এই সাহায্যটা প্রকাশ ছিলো না। এই সাহায্য ছিল গোপনে এবং সকলেই সুন্দর একটি পরামর্শ দিল। যার কারণে রতন ভাই অনেকটাই খুশি হলো।
রতন ভাইয়ের দোকানে যখন আগুন লেগে যায়। তখন রতন পায় অনেকটাই কষ্ট পায়। আর রতন ভাই খুবই ভালো মনের মানুষ ছিল। যার কারণে এলাকার মধ্যে সকলেই তাকে পছন্দ করতে। এমনকি আমাদের গ্রামের চেয়ারম্যান তাকে খুব ভালবাসত। রতন ভাই খুবই সুন্দর একটি মনের মানুষ। আসলে ভালো মানুষের ব্যবহার তার ব্যবহারের মাধ্যমে ফুটে ও।ঠে আর ব্যবহার ভালো হলে সকলের কাছে সেই মানুষটা প্রিয় হয়ে যায়। তাই রতন ভাইয়ের দোকানে যখন আগুন লেগে যায়। রতন ভাইনি শেষ হয়ে যায় তার পরো কারও কাছে সাহায্যের হাত পাতেনি।মানবতার জন্য, কিন্তু তার সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছিলো।
তাই আমাদের গ্রামের সকল মুরুব্বীরা বসে ঠিক করলো। এই গ্রামের একমাত্র দোকান ছিল রতনের। যে দোকানে আমরা সকলেই কেনাকাটা করতাম এবং এই দোকান থেকে কখনোই আমরা খারাপ ব্যবহার বা খারাপ কিছু পায়নি। তাই আমাদের এভাবে রতনকে শেষ হতে দেওয়া যাবে না। রতনকে আমাদের প্রত্যেকের সাহায্য করতে হবে। তাই গ্রামের চেয়ারম্যানকে বলল হলো।চেয়ারম্যান বললো কোন সমস্যা নাই আমি টাকা দিচ্ছি। রতন এই টাকা নিয়ে ব্যবসা করবে। রতন বলল যে আমি এভাবে সাহায্য পেতে চাই না। আমাকে আপনি টাকাটা ঋণ দিন এবং আমি এই টাকা দিয়ে ব্যবসা করে সেটা আপনাকে পরে ফেরত দিবো।তখন চেয়ারম্যান বললো এই টাকাটা আমি তোর ব্যবসায়ী কাজে দিছি। তুই ব্যবসা করে উন্নত করলে এই টাকাটা তখন আমাকে ফেরত দিবি। আর গ্রামের সকল মানুষ তখন অনেক খুশি হলো এবং রতন ভাইয়ের দোকান তৈরি করার জন্য সকলে যেন একসাথে কাজ করতে লাগলো। সকলেই পরিশ্রমের মাধ্যমে দোকান তৈরি করে দিল। আর চেয়ারম্যান সাহেবের টাকাটা রতন ভাই ঋণ হিসেবে নিয়ে নিল। এই টাকা রতন ভাই ভালো ব্যবসা করলে ফেরত দেবে। আসলে রতন ভাইয়ের মন মানসিকতা এবং গ্রামবাসীর আর্থিকভাবে সাহায্য না করলেও শারীরিকভাবে সাহায্য করেছে। এটাই রতন ভাইয়ের জন্য অনেক। আসলে ভালো ব্যবহার করলে সমাজের মানুষ তাকেও ভালোবাসে।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
আসলে আমাদের সবারই উচিত মানবতার দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া। একটা মানুষ যদি মানবিক মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে তাহলে তার আর কিছুই লাগেনা। সমাজের মানবিক মানুষের গুরুত্ব অনেক বেশি। রতন অনেক ভালো মানুষ ছিল তার দোকান পুড়ে দেওয়ার কারণে সবাই তাকে সাহায্য করেছে। গ্রামের সকল যুবকেরা মিলে রতন ভাইয়ের দোকান তৈরিতে সাহায্য করেছিল। আসলেই ভালো মানুষদের সাহায্য করতে সবাই এগিয়ে আসে।
আসলে এখন তো সমাজে এরকম মানুষগুলো পাওয়া একেবারেই কঠিন ব্যাপার। আপনার পোস্টটা পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম। রতন ভাই অনেক ভালো মনের মানুষ ছিল। যার জন্য সবাই ওনাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। গ্রামের সবার সাহায্য যদিও তিনি প্রথমে নিতে চাননি কিন্তু সবাই ভালোবেসে দিয়েছিল, তাই ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন। আর ওনার ব্যবসা নতুন করে শুরু করতে সবাই অনেক বেশি সাহায্য করেছে, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আমাদের সবারই উচিত এরকম মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়ানো। তাদের পাশে যদি আমরা থাকি তাহলে নিজেরা অবশ্যই সাহায্য করবো। আর সবাই আমাদেরকেও অনেক বেশি ভালোবাসবে।
ভালো মানুষকে সাহায্যের লোকের অভাব হয় না। রতনের ক্ষেত্রেও ঠিকই একই অবস্থা হয়েছিল । ভালো মানুষ জন্যই সবাই চাচ্ছিলো যে তাকে সাহায্য করতে। চেয়ারম্যান তো নিজেই সাহায্যের জন্য টাকা দিল। রতন টাকাটি ধার হিসেবে নিয়েই প্রমাণ করে দিল যে সে কতটা সৎ এবং নিষ্ঠাবান। খুব ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে ভাইয়া।
আমাদের সমাজে এখনো ভালো মানুষ আছে যার কারণে একজনের বিপদে আরেকজন হাত বাড়িয়ে দেয়। রতন ভাইয়ের দোকান পুড়ে গেছে তাই সকলে সহযোগিতা করলো শুনে অনেক ভাল লাগলো। সহযোগিতা করার পরে রতন ভাইয়ের ব্যবসায় উন্নতি লাভ করলো। আপনি খুব সুন্দর একটি অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট করলেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।