বন্ধুত্বের বন্ধন বেঁচে থাকে সারাটা জীবন

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বন্ধুত্বের ভূমিকা অপরিসীম। আমরা কখনোই বন্ধুদের ছাড়া যেন লাইফের আসল আনন্দময় মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারি না। আর এই বন্ধুত্বের নিয়ে আমাদের জীবনের অনেক স্মৃতিময় গল্প রয়েছে। আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো কখনোই ভুলা যায় না। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি আমার বন্ধু সাজুকে নিয়ে। আমার বন্ধু সাজু তিন বছর আগে বিদেশে চলে গেছেছিলো। বিদেশে এতদিন থেকেছে এবং বিদেশ থেকে আসার এখন সময় হয়েছে। সাজু ছয় মাসের ছুটিতে আসবে, আর এই বন্ধু যখন আমাকে ফোনে বলল যে আমি বিদেশ থেকে আসব। তখন সেই অনুভূতি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজকে তাই আপনাদের সাথে আমার বন্ধুকে নিয়ে এই স্মৃতিময় গল্পটি শেয়ার করলাম।

আমার প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে সাজু ছিল অন্যতম। সাজুর সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আসলে স্কুল জীবনে এই সাজুর সাথে হাজারো গল্প রয়েছে।সাজু ছিলো স্কুলের সভাপতি ছেলে। যার কারণে সাজুর অন্যরকম একটা পাওয়ার ছিল। আর আমরা সাজুর সাথে সবসময় থাকতাম এবং সাজুর সাথে মেশার কারণে অন্যান্য ছেলেরা আমাদের দেখে ভয় পেত এবং আমাদের কিছু বলার সাহস পেত না। যার কারণে আমরা স্কুল জীবনে অনেক দাপটের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতাম। সত্যিই সাজুর মানসিকতা খুবই ভালো ছিল। আসলে সাজু অনেক সাহসী ছেলে ছিল। আর সাজুকে বন্ধু পেয়ে আমরা অনেক খুশিতে ছিলাম, কারণ যেখানে যেতাম সাজুর সাথে থাকতো এবং অনেক সাহস নিয়ে আমরা স্কুল জীবন পার করেছি।

বন্ধুদের সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আসলে সাজু ছিল আমাদের ক্লাসের ক্যাপ্টেন। যার কারণে সবাই ওর কথা মতো চলতো। আর আমিও সাজুদের সাথে থাকতাম আর সাজু এমনি খুবই দুষ্ট ছিল, তারপরে খুবই ভালো স্টুডেন্ট ছিল ও অনেক ভালো পড়াশোনা পারতো। যার কারণে স্যাররা ওকে বেশি বকা দিত না। এমনিতেই সভাপতির ছেলে তারপরে পড়াশোনার একটু ভালো। যার কারণে ওর দাপটে সব সময় যেন সবাই চুপচাপ থাকতো। আসলে যখন নাইনে পরীক্ষা দেওয়া হয় তখন সাজুর ভাই ছিল আমেরিকাতে।আর যার কারণে সাজু কেউ তখন বিদেশে নেওয়া হয় এবং তিনি বলল যে ওখানে গিয়ে নাকি দুই ভাই মিলে ভালো একটা ব্যবসা করবে। যার কারণে সাজু আমাদের ছেড়ে আমেরিকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। এখন তিন বছর পার হয়েছে সে খুব ভালো একটা পজিশনে চলে গিয়েছে। ওর সাথে অনেকবার কথা হয়েছে, ভিডিও কলে আমরা কথা বলেছি।আজকে যখন আমাকে বলল যে আর কিছুদিনের মধ্যে আমি দেশে আসবো, তোদের সবাই এক জায়গায় থাকিস। তোদের সাথে কিন্তু আমার অনেক সময় পার করতে হবে। এই কথাটা শুনতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।

আসলে প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে কেউ যদি দূরে চলে যায়। তার প্রতি অনেক বেশি মায়া থাকে এবং সে কবে আসবে সেই অনুভূতিটা সবসময় মনের ভিতর কাজ করে। তাই সাজু যখন আমাদের ছেড়ে চলে যায়। তখনই মনে হচ্ছিল কবে আবার দেশে আসবে। কবে বন্ধুর সাথে সময় পার করবো। বন্ধু চলে গিয়েছিল তিন বছর পার হয়েছে, তিন বছর হলো দেখিনা তিন বছরের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের হয়েছে বন্ধুর হয়েছে। তবে বন্ধুর পরিবর্তন হলেও বন্ধুদের সাথে স্মৃতিময় সেই দিনগুলোর কথা কখনোই পরিবর্তন হবে না। এই দিনগুলো যেন হৃদয়ের মাঝে এখনো গেঁথে রয়েছে। আর স্মৃতির পাতায় এই দিনগুলোর অনুভূতি যেন অসাধারণ। মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। তাই বন্ধু আসবে ফিরে সকল বন্ধুকে আমি জানিয়ে দিলাম এবং সবাইকে সাথে নিয়ে একটা প্ল্যান তৈরি করলাম। যে বন্ধু আসলে আমরা ভ্রমণে বের হব।