আমার খালাতো ভাইয়ের নাম রোহান। চার বছর শেষ হয়ে পাঁচ বছর পরলো। এর আগেও রোহানকে নিয়ে একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছিলাম।আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম জন্মদিনের মুহূর্ত। আসলে রোহান খুবই দুষ্টু এবং ও যা বলে তাই সোনা লাগে, চার বছর শেষ করে পাঁচ বছরে পা দিল। তার পরেও যেন ওর দুষ্টুমির শেষ নেই। মাসে মাসেই ওর জন্মদিন পালন করতে বলে। বছরে তিন চারবার ওর জন্মদিন পালন করা লাগে। মানে যখনই কারো জন্মদিনের কেক কাটার দৃশ্য দেখে তখনই এসে যেন পাগল হয়ে যায় ওর জন্মদিন পালন করতেই হয়।তা না হলে খবর আছে। তাই মাঝে মধ্যে আমার খালু কেক নিয়ে আসে বাড়িতে কান্না থামাতে।এবার ও চার বছর শেষ করে ৫ বছর পরলো সেই উপলক্ষে সবাইকে দাওয়াত করেছিলো মোটামুটি অনেক মানুষ হয়েছিলো।
আর এই কেকের দায়িত্বে ছিলাম আমি। আমি খুবই সুন্দর একটি কেক অর্ডার করলাম। আর দুই পাউন্ডের কেক ছিল। কেকটি আমি নিজে অর্ডার করেছিলাম এবং ডিজাইনগুলো বলে দিয়েছিলাম। আর এই কেকে ওর নামও লিখে নিলাম।যখন বাসায় নিয়ে গেলাম তখন এই কেক দেখে খুবই খুশি হলো, তবে বাসায় আরো কিছু বাচ্চারা ছিল, ওদের জন্মদিন আমি সান্তনা দেওয়ার জন্য তিনটি জন্মদিন এর টুপি কিনে নিলাম। আসলে বাচ্চাদের মন তো জয় করতেই হবে। তা না হলে তাদেরকে থামানো কষ্টকর। একজন যদি কান্না করে দেয় তাহলে আনন্দটাই যেন মাটি হয়ে যায়। আর বাচ্চাদের কান্নার শুনলে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। যার কারণে ওদের জন্য তিনটা টুপি কিনে ছিলাম।কেক সামনে রেখে বাচ্চাদের মাথাই জন্মদিন টুপি পরিয়ে দিলাম।
আমার ছোট মামাকে সাথে নিয়ে ওরা দুজনকে কেক কাটা শুরু করে দিল। আসলে ওরা দুজন বন্ধুর মত সব সময়ই মিলেমিশে থাকে। তাই ওদের দুজনকে সাথে নিয়ে কেক কাটা শুরু করে দিলাম।আসলে এক ঢালে দুই পাখি মারা হলো। দুজনে বুঝতে পারল ওদের জন্মদিন। আমি বলেছিলাম তোদের জন্মদিন আজকেই। যার কারণে ওরা খুবই খুশি হল এবং আনন্দের সাথে সেই কেক কাটলো। আর আমি ফটোগ্রাফি করতে লাগলাম। আসলে ওদের আনন্দ দেখে আমারও খুবই ভালো লাগলো। আর পরিবারের সকলেই ছিল উপস্থিত, যার কারণে খুবই ভালো লেগেছে সেই মুহূর্তগুলো।
মামা কেক কেটে প্রথমে রোহানকে খাইয়ে দিল। আর খুবই খুশি রোহান।আসলে রোহান কেক খুবই পছন্দ করে। যার কারণে জন্মদিনের কেক খাওয়ার নানা বায়না করে থাকে। মাঝেমধ্যেই ওকে কেক খাওয়ার হয়। মাঝে মধ্যে জন্মদিন পালন করতে বলে, তখন আমার খালু ওর জন্য এক পাউন্ডের কেক নিয়ে এসে ওকে শান্ত করে।যাই হোক আজকে সবাই মিলে আনন্দের সাথে সেই মুহূর্ত উপভোগ করল।
রোহান আর রাহাত দুইজন সম্পর্কে মামা ভাগ্নে হলেও ওরা আসলেই বন্ধুর মত সবসময় মিশে থাকে।একই বয়সের দুজন। যার কারণে ওরা কখনোই মারামারি করে না। কিন্তু রোহান এত দুষ্ট ওর আশেপাশে অন্য কোন বড় মানুষ কিংবা ছোট মানুষ থাকলেই তাকে ধরে মারবেই। কিন্তু ওকে কখনো মারতে দেখিনি। ওদের মধ্যে অনেক মিল এটা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগে।
এই সেই নায়ক রোহান। যার কথায় আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। ওর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা পরিবারের সকলেই এক জায়গায় হয়েছিলাম। দিনটি খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। আর ওকে মাদ্রাসায় ভর্তি করা দেওয়া হবে, কোরআনের হাফেজ বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার কারণে আমরা সবাই এসেছি একটা দোয়া মাহফিল করার জন্য। তো আপনাদের সাথে জন্মদিনের সেই মুহূর্ত শেয়ার করলাম।আর আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন। ওযেন কোরআনের হাফেজ হতে পারে।বাবা -মার আশা পূরণ করতে পারে। |
প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ
Location
Device:Poco X2
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | রেডমি পোকো x2 |
ধরণ | ❝ ফটোগ্রাফি❞ |
ক্যমেরা মডেল | Poco X2 |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
ভাই ছোটদের বায়না গুলোই এমন, অন্য কারো জন্মদিনের কেক কাটার দৃশ্য দেখলে, তাদেরও কেক কাটার কথা মনে পড়ে যায়। আমার ছেলেও মাঝে মাঝে তার জন্মদিনের দিন গুনতে থাকে, আর মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করে আর কতদিন পরে আমার জন্মদিন আসবে। আর সেদিন আমি কেক কাটবো। আর ওর এসব কথা শুনে আমরা মাঝে মাঝে হেসে দিশেহারা হয়ে যাই। যাইহোক ভাই, আপনার খালাতো ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানটিতে অনেকেই দাওয়াত করেছে এবং সেই অনুষ্ঠানটি ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে, জেনে খুব খুশি হলাম। ছোট ভাইয়ের জন্মদিনের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই এক ডালে দুই পাখি মেরেছেন, দুটি বাচ্চা মনে করছে ওদের জন্মদিন। আপনি খুবই বুদ্ধি করে এই কাজটি করেছেন। যাই হোক ওর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। মা-বাবার আশা যেন পূরণ করতে পারি এবং কোরআনের হাফেজ হতে পারে।
https://twitter.com/mohamad786FA/status/1765574713626214842?t=caZFe2XylBohNKcHENcMdQ&s=19