সকলকেই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। এই বিজয় আমাদের আনন্দের এবং সুখের বিজয়। কারণ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আসলে বাংলাদেশের মানুষ তার মাতৃভাষা ও দেশকে রক্ষা করার জন্য বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দীর্ঘ নয় মাস বাংলাদেশের উপরে নির্যাতন চালায়। আর এই নির্যাতনে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে, রক্তে লাল হয়েছে রাজপথ। তবুও যেন বাঙালি হার মানে নিয়ে। তাদের মায়ের মুখের ভাষা জন্য এবং মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য, যেন জীবন বাজিয়ে রেখেছে। মৃত্যুকে তারা ভয় পায়নি। তাজা রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আর এই বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা যেন এক আনন্দের দিন পালন করছি আজ। আজ যেন বাংলাদেশের আনাচে কানাচে থেকে শুরু করে পৃথিবীর সকল দেশের বাঙালিরা আজ এই দিনটি উদযাপন করছে। তাই বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের এই দিনটি আমরা উদযাপন করেছি।


বিজয় মানে আনন্দ বিজয় মানে উল্লাস। প্রত্যেকটা বিজয় যেন মনের ভিতর এক অন্যরকম অনুভূতি আমাদের তৈরি করে দেয়। তেমনি রক্তের বিনিময়ে যখন স্বাধীনতা অর্জন করা যায় মুক্ত আকাশে পাখির মত উড়ে বেড়ানোর স্বাধীনতা পাওয়া যায়। সেটা আরো যেন আনন্দময় হয়ে থাকে। আমরা ছিলাম পরাধীন, আর পরাধীন জাতি সব সময় নির্যাতনের শিকার হত। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর হাতে। তারা যেন প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের সব সময় নির্যাতন চালিয়ে যেত। আর বাঙালির এই সন্তানেরা সেই নির্যাতনকে মেনে নিতে পারিনি। কারণ নির্যাতনের একটা শেষ রয়েছে। যখন পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যায়। তখনই যেন স্বাধীনতার জন্য ছাপিয়ে পড়েছে এদেশের লক্ষ লক্ষ বীর সন্তানেরা।

patriot-1019844_1280.jpg

Source

১৯৫২ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা যখন আমাদের মাতৃভাষাকে কেড়ে নিতে চায়। আমাদের মায়ের ভাষাকে কেড়ে নিয়ে উর্ধ্বকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা দিতে চাই। তখনই বীর সন্তানরা না না বলে প্রতিবাদ জানিয়ে তোলে এবং মায়ের ভাষাতে জন্য তারা যুদ্ধ করার জন্য প্রতিজ্ঞা করে। মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য মিছিলে বের হয়। আর এই মিছিলে বাঙালির সন্তানেরা অনেকেই শহীদ হয়। আর তাদের এই শহীদের অনুপ্রেরণা যেন মুক্তির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। ভাষা আন্দোলনে প্রতিবাদের মাধ্যমেই মুক্তির ন সংগ্রামের যেন অনুপ্রেরণা আমাদের এই বাঙালির সন্তানেরা তাদের বুকের ভিতর লালন করে। আর ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ যেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালির উপরের নির্মমভাবে হত্যা শুরু করতে থাকে। আর এই হত্যার মেনে নিতে পারেনি বাঙালি চেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

borders-2099198_1280.png

Source

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহর এই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।আর এই স্বাধীনতার ঘোষণায় পেয়ে বাঙালি বীর সন্তানের যেভাবে আছে সেখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঝাঁপিয়ে পরে। বাঙালি বীর সন্তানের নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে রক্ষা করার জন্য স্বাধীনতার জন্য এই রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকে। আর তারা তখনই যেন এ দেশকে রক্ষা করার জন্য এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে জীবনের কথা না চিন্তা করে। দেশকে রক্ষা করার জন্য মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য তারা প্রস্তুত থাকে। দীর্ঘ নয়মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর আর এই ১৬ ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবস আমরা বিজয় অর্জন করি। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী পরাজয় বরণ করে। তারা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। বাঙালির সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর লাল সবুজের একটি পতাকা পেয়েছি। সত্যি এই লাল সবুজের পতাকা এমনি এমনি পাইনি।শহীদের রক্তের বিনিময়ে হাজারো মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই দেশ বিজয় লাভ করেছে।

আজ ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিন। আর এই ১৬ই ডিসেম্বর বীর শহীদসন্তানদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।যাদের বিনিময়ে আজ আমরা মুক্ত আকাশে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছি। আসলে স্বাধীনতা আমাদের এক অন্যরকম অনুপ্রেরণা দিয়েছে। মুক্ত আকাশে পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর শান্তি অনেক।তেমনি আমরাও মুক্ত আকাশে স্বাধীনভাবে এদেশে বসবাস করতে পারছি। আর এই স্বাধীনতা দিয়েছে বীর সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে। তাই আজকে আমাদের আনন্দের দিন খুশির দিন। এই দিন আমরা আনন্দের সাথে পালন করছি। আর সেই সব বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মুক্ত হতে পেরেছি। তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, সেইসব বীর সন্তানরা যেন ওপারে সুখে থাকে ভালো থাকে এবং শান্তিতে থাকতে পারে। আশা করছি আপনারা সবাই সেই সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন এবং তাদের জন্য দোয়া করবেন।

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 7 months ago (edited)

কি করে মেনে নিবে ? এমন নির্যাতন কি আর মেনে নেওয়া যায়। না যায় না। যে ভাবে অসহায় বাঙালিদের উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ঝাপিয়ে পড়েছিল তাতে তো যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া ছাড়া আর কোন পথ ছিল না। আর একমাত্র যুদ্ধই পেরেছে বাঙালি জাতিকে বিজয় এতে দিতে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

 7 months ago 

আপনাকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। আসলে বিজয় দিবস বলে আমরা এত সহজে শেষ করে দিই। কিন্তু এর ভিতরে অনেক আত্মকাহিনী লোকিত রয়েছে। আমরা খুব সুন্দর একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। পেয়েছি আমরা সার্বভৌমত্ব একটি দেশ। রয়েছে আমাদের নিজস্ব একটি ভাষা। যে ভাষায় আমরা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি প্রতিনিয়ত সবার সাথে। আপনি বিজয় দিবসের অনুভূতি সুন্দর লিখলেন ধন্যবাদ।

 7 months ago 

প্রথমে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। আসলে সেইসব বীর সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশের মুক্ত আকাশে পাখির মতো উড়ে বেড়াতে পারছি, আর সেই সব বীর সন্তানদের জন্য আজ আমরা বিজয় দিবস উপভোগ করতে পারছি। না হলে পাকিস্তানে হানাদার বাহিনীর কাছে আজ আমরা পরাধীন থাকতাম। আমাদের স্বাধীনভাবে চলার শক্তি এবং স্বাধীন দেশে বসবাস করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সেই সব বীর সন্তানদের আবার গভীরভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং সেই সাথে মাতৃভাষাকে সুন্দরভাবে আমরা যেন ব্যবহার করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যেকের কাছে আশা করছি।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আপনাকেও মহান বিজয় দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাঙ্গালীদের উপরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অনেক বেশি নির্যাতন করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে এই যুদ্ধের জন্য। ওই মানুষগুলোর রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশটা বিজয় হয়েছে। আপনি এত সুন্দর করে পুরোটা লিখে শেয়ার করেছেন দেখে, আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। পুরোটা বেশ ভালোই উপভোগ করে পড়লাম। ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর করে সম্পূর্ণ পোস্ট লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

 7 months ago 

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা নিবেন ভাই। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, আর এই দিনে আমাদের এই বাংলাদেশ বিজয়ী হয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস অনেক বেশি রক্ত ঝরেছিল, বীর সন্তানদের মৃত্যু অর্থাৎ তাদের প্রাণের বিনিময় অনেক মাস পর এই দিনটার দেখা মিলেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বাঙালি মানুষদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমাদের এই দেশটা স্বাধীন। সত্যি পুরো লেখাটা পড়ে, আমি তো একেবারে হারিয়ে গিয়েছিলাম লেখাগুলোর মাঝে।

 7 months ago 

আপনাকেও মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
প্রতিবছর ঘুরে এই দিনটা এলে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি শহীদদের এবং উদযাপন করি বিজয় দিবসের উল্লাস।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন তাদের জন্য রইল গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57440.82
ETH 3108.89
USDT 1.00
SBD 2.42